Daffodil International University
Faculties and Departments => Allied Health Science => Life Science => Topic started by: rumman on February 01, 2014, 12:30:38 PM
-
যুক্তরাষ্ট্রে দুই ব্যক্তির চোখে সফলভাবে কৃত্রিম রেটিনা প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন দুই চিকিৎসক। এর মাধ্যমে অন্ধত্ব দূরীকরণে আরেক ধাপ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞানে। বিজ্ঞানীদের প্রত্যাশা, রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে যে রাতকানা রোগ, আলোক সংবেদনশীলতা, প্রায় অন্ধত্ব এবং ধীরে ধীরে পুরোপুরি অন্ধত্ব দেখা দেয়- এই সাফল্য সেসব সমস্যা দূর করতে বিরাট ভূমিকা রাখবে।
চক্ষুগোলকের পেছনের দিকে স্নায়ুকোষযুক্ত পাতলা স্তরটিই হলো রেটিনা, যা স্নায়ুর সঙ্গে চোখের সংযোগ স্থাপন করে। কয়েক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রেই প্রথম কৃত্রিম রেটিনা আবিষ্কার করে ক্যালিফোর্নিয়ার ‘সেকেন্ড সাইট’ নামে একটি কম্পানি। ২০১২ সালে এর আরো উন্নত সংস্করণ তৈরি করে কম্পানিটি, যার নাম দেওয়া হয় ‘আরগাস ২ রেটিনাল প্রস্থেসিস সিস্টেম’। গত বছরের শেষের দিকে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন লাভ করে।
এই কৃত্রিম প্রত্যঙ্গটিই যুক্তরাষ্ট্রের দুই ব্যক্তির চোখে প্রতিস্থাপন করেন দেশটির মিশিগান ইউনিভার্সিটি কলেজ আই সেন্টারের থিরান জয়াসুন্দরা ও ডেভিড এন জ্যাকস নামের দুই সার্জন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁরা গত ১৬ জানুয়ারি প্রথমে এক ব্যক্তির চোখে এবং গত ২২ জানুয়ারি আরেক ব্যক্তির চোখে কৃত্রিম রেটিনা প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হন। দুই ব্যক্তির একটি করে চোখে ‘আরগাস ২’ প্রতিস্থাপন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যে দুজন ব্যক্তির চোখে কৃত্রিম রেটিনা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে তাঁরা প্রায়ই অন্ধ। তাঁরা চোখের জন্মগত রোগ ‘রেটিনিটিস পিগমেনটোসা’ (আরপি) রোগে ভুগছিলেন, যে রোগটি চোখের রেটিনার আলোক সংবেদনশীল কোষগুলোকে ক্রমান্বয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং একপর্যায়ে মানুষকে পুরোপুরি অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যায়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের ধকল পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠার পরই কেবল এই কৃত্রিম রেটিনা রোগীর চোখে কাজ করবে। তবে বিষয়টি আপনাতেই ঘটবে না। এ জন্য রোগীদের এক থেকে তিন মাসের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসকের মতে, কৃত্রিম রেটিনা প্রতিস্থাপন করার পর রোগীদের বিশেষ একধরনের চশমা পরতে হবে। এতে একটি সূক্ষ্ম ক্যামেরা যুক্ত থাকবে, যা কোনো বস্তুকে ধারণ করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইলেকট্রিক পালসে পরিণত করবে এবং পালসগুলো বিনা তারে কৃত্রিম রেটিনায় পৌঁছবে। পরে পালসগুলো রেটিনার বাকি কোষগুলোকে উজ্জীবিত করে স্নায়ুর সঙ্গে যুক্ত করবে। সূত্র : জিনিউজ অনলাইন।