Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: Mostakima Mafruha Lubna on February 05, 2014, 11:51:14 AM
-
ছোট বেলা একটা গল্প শুনেছিলাম, কার কাছে বা ঠিক কবে তা মনে নেই। গল্পটা ছিল এই রকম যে পৃথিবী নাকি একটা গরুর দুইটা শিং এর উপর দাঁড়িয়ে আছে !! মাঝে মাঝে নাকি গরুর চুলকানী লাগলে বা অন্য কোন কারনে নড়াচড়া করলে তার শিং নড়ে উঠে এর ফলে নাকি ভুমিকম্প হয়। ব্যাপারটা তখন মেনে নিয়েছিলাম, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা তখনও হয় নি কিনা। একটু বড় হবার পরে যখন মনে পড়ত তখন হাসতে থাকতাম। ইদানিং জানলাম তত্ত্বটা আসলেই ছিল । সাথেই থাকুন জানতে পারবেন তাহলে এই অদ্ভুত কাল্পনিক অদ্ভুত গল্পের পিছনে কারা ছিল।বিশ্ব নিয়ে নিয়ে মানুষের ভাবনার অন্ত নেই । সেই আদি কাল থেকে শুরু হয়ে আজ অবধি চলছে, চলবে পৃথিবী ধ্বংসের মুহূর্ত পর্যন্ত। তাও মর্তের মানুষের এ গবেষনার শেষ পাওয়া যাবে না। অতিপ্রাচীনকাল থেকে একে নিয়ে নানা তত্ত্ব প্রদান করেছেন নানা সভ্যতার মানুষ। এই আধুনিকও যুগে আমরা কিছু দিন পর পর দেখা যাচ্ছে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। চলুন ঘুরে আসি আদিম যুগ থেকে। উল্লেখ্য তথ্যগুলো কিন্ত আমার নিজস্ব না, বিভিন্ন বই, সাইট থেকে পাওয়া শুধু নিজের ভাষায় বর্ণনা করা।
ব্যাবিলনীয়রা মনে করতো, এই বিশ্ব কঠিন মোড়কে ঢাকা একটি শামুকের মত। যার উপরে এবং নিচে রয়েছে পানি আর পানি। আমাদের পৃথিবীর অবস্থান হচ্ছে এই শামুকের কেন্দ্রে ঠিক একটা ফাঁপা পর্বতের মত। পৃথিবী পানিতে ভাসছে আর পৃথিবীর নীচের পানি ফোয়ারা ও ঝর্ণা হয়ে উঠে আসে। আমরা যে বৃষ্টি পাই সেটা হল উপরের পানি। পৃথিবীর উপরের পানি গোলকের ভিতর দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে।
মিশরীয়রা মনে করতো, এই বিশ্ব একটা চৌকোনা বাক্সের মত। পৃথিবী হল বাক্সটির মেঝে আর আকাশ হচ্ছে পৃথিবীর চার কোণের চারটি পা রেখে দাঁড়ানো একটি গরু, বা দুইটী কনুই ও দুইটি হাঁটু রেখে উবু হয়ে থাকা একটি নারী, বা লোহার পাতের একটি ঢাকনা। বাক্সটির ভেতরের দিকে দেওয়ালে রয়েছে এক ধরনের তাক দেওয়া গ্যালারি। এই গ্যালারি দিয়ে বয়ে যাচ্ছে একটি নদি। এই নদীর ওপর দিয়ে পানসি ভাসিয়ে যান সূর্যদেবতা ও চন্দ্রদেবতা। তাদের আসা-যাওয়ার জন্যে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দরজা। গ্রহগুলি চলছে নৌকা ভাসিয়ে এক একটি খালের উপর দিয়ে। স্থির নক্ষত্রগুলি হচ্ছে বাতি, গোলক থেকে বা এক একজন দেবতার হাতে ধরা।
এবার আসি আমাদের ভারত বর্ষের ভাবনা নিয়ে। আমাদের উপমহাদেশের হিন্দুরা মনে করতো বাসুকি নামে একটি সাপ তার ফনার ওপর পৃথিবীকে ধরে আছে। চন্দ্রগ্রহণ হয় রাহু নামে একতা রাক্ষসের গ্রাসে। চন্দ্রেরর কলা হচ্ছে প্রজাপতি দক্ষের অভিশাপে চন্দ্রের ক্ষয়রোগগ্রাস্ত হওয়ার ফল ইত্যাদি। এদিকে চিনারা ভাবত একটি ড্রাগন সূর্যকে গ্রাস করে বলেই সূর্যগ্রহণ ঘটে। সমস্বরে চিৎকার জুড়ে দিয়ে তারা এই ড্রাগনকে তাড়াবার চেষ্টা করত।
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এই রকম অজস্র অঞ্চলে পৃথিবী , সূর্য , চাঁদ, গ্রহ, নক্ষত্র নিয়ে এমনি সব উদ্ভুট কাহিনী প্রচলিত ছিল। এসব কাহিনী যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উদ্ভুট তার পরও বোঝা যায় মানুষ অতি প্রাচীনকাল থেকে মহাবিশ্বকে নিয়ে ভাবতে শুরু করে। এই সব প্রচলিত ঘটনা থেকেই আস্তে আস্তে বর্তমানের আধুনিক মহাকাশ বিজ্ঞানের সূত্রপাত ঘটে।
-
interesting... enjoyed it all :)
-
Nice post
-
I also heard such kind of stories. I heard the earth is supported on the back of the Elephant rather than the horns of the cow.
-
when i was child i heard some of these stories & then i made my own idea. world is like a room, sky is the roof, soil is floor, sun is light & it's switch off when time to sleep, moon is dream-light, rains when God cry. thanks
-
Interesting...
-
Had real fun reading why & how earthquakes happen, what earlier inhabitants of the world used to think of Earth ...hahahhha. Hilarious
-
so funny :D
-
Imaginary talks take us to a fairy world. Earthquake brings us back to the real world. Frightening :'(
-
Interesting post...........
-
Interesting.....
-
Interesting!
-
Excellent post
-
Interesting stories....
-
good one madam....
-
Interesting post!!! I heard about elephant...not about the cow.