Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Nutrition and Food Engineering => Topic started by: Mafruha Akter on February 13, 2014, 12:47:14 PM
-
পরীক্ষাগারে ইঁদুরের ক্যান্সার বিনাশে থেরাপির পাশাপাশি শরীরে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ‘সি’ প্রবেশ করিয়ে বেশ ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে বলে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন।
বলা হচ্ছে, উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি দেহে ক্যান্সার প্রতিরোধী কেমোথেরাপির ক্ষমতা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
ইনজেকশনের মাধ্যমে ভিটামিন সি প্রয়োগ করে কম খরচে অনেক নিরাপদ এবং কার্যকরভাবে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার ও অন্যান্য ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যেতে পারে। বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা।
ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে কেমোথেরাপির পাশাপাশি ভিটামিন ‘সি’ও একটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছে নতুন এ গবেষণা।
বিবিসি জানিয়েছে, গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রথম ছাপা হয় ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন নামক সাময়ীকিতে। ক্যান্সার চিকিৎসায় ভিটামিন সি সেবন করা একটি প্রাচীন পদ্ধতি বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
গবেষকরা সরকারি উদ্যোগে নতুন এই গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তা যাচাইয়ের দাবি তুলেছেন। তবে এর মেধাসত্ব এখনো স্বীকৃতি না পাওয়ায় কোম্পানিগুলো এখনো এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ঘটাতে পারেনি।
১৯৭০ সালে রসায়নবিদ লিনাস পাওলিং জানিয়েছিলেন, ক্যান্সার রোগীর শিরায় ভিটামিন সি প্রয়োগ করা ক্যান্সার উপশমে খুবই কার্যকর। তবে পরীক্ষমূলকভাবে ভিটামিন সি মুখে খাইয়ে কোনো উপকার না মেলায় তখন গবেষণা কাজটি স্থগিত রাখা হয়।
তবে ‘ইউনিভার্সিটি অব কানসাস’ এর বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইনজেকশনের মাধ্যমে ভিটামিন সি দিলে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এটি দেহের অন্যান্য কোষের কোনো ক্ষতি ছাড়াই ক্যান্সার কোষগুলো ধ্বংস করতে পারে।
গবেষকরা পরীক্ষাগারে ইঁদুরের দেহ ছাড়াও মানুষের ডিম্বাশয়ের কোষ এমনকি ডিম্বশয়ের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর দেহেও ভিটামিন সি ইনজেকশন দিয়েছেন।
এতে দেখা গেছে, ভিটামিন সি দেহের সাধারণ কোষগুলোর কোনো ক্ষতি ছাড়াই ক্যান্সার কোষের ওপর কাজ করেছে।
-
সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার ছয়টি কৌশল
কালের কণ্ঠ অনলাইন
আপনি হয়তো মনে করতে পারেন সকালে তাড়াতাড়ি ওঠা শুধুই নিয়ম রক্ষার মাধ্যমেই সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে এটা শুরু করতে গেলেই আপনি দেখবেন ব্যাপারটা মোটেও ততোটা সহজ নয়। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার শরীরের সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটাই দেরি করে ঘুমানোর জন্য তৈরি হয়ে যায়। যখন আপনি এতে পরিবর্তন আনতে চান, তখন বহু সমস্যা পথরোধ করে। তবে এগুলোকে অতিক্রম করা অসম্ভব নয়। মর্গেনস্টার্নের পরামর্শ অনুসারে বিজনেস ইনসাইডার প্রকাশিত সকালে তাড়াতাড়ি উঠার এ ছয়টি পরামর্শ মেনে চললেই এ সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
১. মানসিকতার পরিবর্তন করুন
ঘুমাতে যাওয়ার বিষয়ে বহু মানুষই ইতস্তত করেন। কারণ তারা আরো কাজ করতে চান। দিন থেকেই তাদের মনে উদ্বেগ বাসা বাঁধে। কিন্তু এ সমস্যার সমাধান করতে হবে একটু ভিন্নভাবে। সেটা হল, ঘুমকে আগামীকালের শুরু হিসেবে বিবেচনা করুন। এর ফলে ঘুম সম্পর্কে আপনার মনোভাব পরিবর্তন হবে। ঘুমকে দিনের জন্য ব্যাটারি চার্জ করার মতো বিষয় হিসেবে বিবেচনা করুন।
২. ঘুমের সময় ঠিক করুন
আমাদের অনেকেই ঘুমবিমুখ এবং প্রায়ই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ঘণ্টাখানেক সময় দেরিতে ঘুমাতে যাই। এর একমাত্র সফল সমাধান হলো তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া। তারপর যতোক্ষণ ঘুমাতে পারেন সেখান থেকে উল্টোদিক দিয়ে হিসাব করে নির্ণয় করুন আপনার ঘুমের চাহিদা। এরপর সেই অনুযায়ী ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন।
৩. রাতের অন্য কাজগুলো সমন্বয় করুন
রাতের খাওয়া ও পড়ার মতো কাজগুলো পুনর্বিন্যাস করুন। আপনি যদি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে সব কাজ সে সময় অনুযায়ী শেষ না করেন, তাহলে বিষয়টা বাস্তবসম্মত হবে না। তাই নতুন সময়সূচি অনুযায়ী সব কাজ শেষ করলেই আপনার সময়মতো ঘুম আসবে। এছাড়া রাতের খাওয়া খেতে হবে ঘুমানোর কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে।
৪. সকালের কাজের প্রস্তুতি নিন
সকালের কাজগুলো অনেক সময় ক্লান্তিকর হয়ে ওঠে। এ কারণে আগেই আপনার সকালের কাজগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। সকালে ব্যায়াম করতে চাইলে সেজন্য জিমের পোশাকগুলো ঠিক করে রাখুন, তাড়াতাড়ি অফিসে যেতে হলে জুতা-মোজাসহ সব পোশাক রেডি রাখুন, খাবারের পরিকল্পনা করে রাখুন।
৫. ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্র বন্ধ রাখুন
ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে ৯০ মিনিট আগে আপনার ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রগুলোর প্লাগ খুলে দিন। টিভি দেখা, ইমেইল চেক করা, ই-রিডারে পড়াশোনা করা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করা বন্ধ করুন। এসব উদ্দীপনামূলক কাজের বদলে ঘুমানোর আগে আপনাকে শিথিল কাজ করতে হবে। ঘুমানোর আগে যেসব কাজ করতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে গান শোনা, ছবি আঁকা বা আগামীকালের জন্য খাবার তৈরি করা।
৬. ঘুমানোর আগের রুটিন তৈরি করুন
নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যাওয়ার জন্য ঘুমানোর আগের একটি রুটিন তৈরি করুন। এর মধ্যে থাকতে পারে সামান্য হাঁটাহাটি, বাসার জানালা-দরজা চেক করা, লাইট, ফ্যান নেভানো ইত্যাদি।
-
Very informative post and also like the 1st reply post.