Daffodil International University

IT Help Desk => Telecom Forum => Topic started by: najnin on March 29, 2014, 05:51:58 PM

Title: টেলিকমিউনিকেশানের টুকিটাকি, পর্ব-১
Post by: najnin on March 29, 2014, 05:51:58 PM
প্রিয় পাঠক, আপনাদের জন্য একটি ছোট্ট ধাঁধা! বলুন তো, 'হ্যালো!’ শব্দটা এসেছে কোথা থেকে?

বিজ্ঞানী গ্রাহাম বেল ১৮৭৫ সালে প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেন যার মাধ্যমে তিনি প্রথম শব্দকে ইলেকট্রিক্যাল তরঙ্গের মাধ্যমে দূরে প্রেরণ করতে সক্ষম হন। এর আগে মোর্স কোড ছিল শুধু প্রতীক, ডট এবং ড্যাস। গ্রাহাম বেল শব্দ এবং সুরের টোন এবং হারমোনিকস সম্বন্ধে বেশ গভীর জ্ঞান রাখতেন। তাই তার পক্ষে সহজ হয়েছে শব্দকে (acoustic signal) ইলেকট্রিক্যাল তরঙ্গে রূপান্তর করতে। এই আবিষ্কারে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন মি. ওয়াটসন।

টেলিফোনের মাধ্যমে প্রথম পাঠানো শব্দঃ টং (Twang)

আর প্রথম পাঠানো বাক্যঃ মিঃ ওয়াটসন, এদিকে আসো, আমি তোমাকে দেখতে চাই।

মজার তথ্য হলো গ্রাহাম বেলের প্রেমিকার নাম হলো ‘হ্যালো’! এটি আমি জেনেছি মিরপুর ১০ নম্বরে গণজাগরণের মঞ্চের এক বক্তার কাছ থেকে।

বেলের এই টেলিফোন আবিষ্কারের পেছনে অর্থায়ন করেছেন উনার হবু শ্বশুর, কারণ তিনি তখন ৩০ বছর ধরে চলতে থাকা টেলিগ্রাফের মনোপলি বিজনেস ভাংতে চেয়েছেন।

আমেরিকার বিখ্যাত ‘বেল টেলিফোন ল্যাবরেটরী’ এই অবিস্মরণীয় বিজ্ঞানীর নামেই, যেখানে অনেক অনেক বিখ্যাত আবিষ্কারের মধ্যে রয়েছে বিস্ময়কর ‘অপটিক্যাল ফাইবার’। আমাদের প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ডঃ জাফর ইকবাল স্যার এই ল্যাবেই কাজ করতেন, অপটিক্যাল ফাইবারের উপর উনারও কিছু প্যাটেন্ট আছে যতদূর জানি।

প্রথমেই আসা যাক আবিষ্কারের ইতিহাসে,

১। ১৮৩৭ সালে প্রথম টেলিগ্রাফ আবিষ্কারের মাধ্যমেই শুরু হয় ইলেক্ট্রনিক যোগাযোগের যাত্রা। আর তখন থেকেই পায়রারা অবসরে যেতে লাগলো। আর পায়রাদের অবসরে পাঠানোর মতো বৃহৎ কর্মটি সাধন করলেন বিজ্ঞানী স্যামুয়েল মর্স।

২। বিজ্ঞানী মর্স ১৮৪৪ সালে প্রথম টেলিগ্রাফ পাঠাতে সক্ষম হন। সেটি তিনি পাঠিয়েছিলেন ওয়াশিংটন ডিসি এবং বাল্টিমোরের মধ্যে। তাঁকে সম্মান জানিয়ে সেই ইলেক্ট্রনিক কোডের নাম রাখা হলো ‘মর্স কোড’।

৩। ইলেকট্রনিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে খটমটে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চারটি সূত্র আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী ম্যাক্সওয়েল এর কয়েক বছর পরেই, ১৮৬৪ সালে। আর তিনিই প্রথম অদৃশ্য রেডিও তরঙ্গ এর ধারণা পোষণ করেছিলেন।

৪। মাত্র তের বছর পরেই ১৮৯৪ সালে বিজ্ঞানী হার্জ পরীক্ষামূলকভাবে রেডিও তরঙ্গ প্রমাণ করেই ফেললেন। আর তারই নামানুসারে ফ্রিকুয়েন্সী বা কম্পাংকের একক হলো হার্জ।
Title: Re: টেলিকমিউনিকেশানের টুকিটাকি, পর্ব-১
Post by: arefin on April 07, 2014, 01:03:43 PM
Very useful post.  Even I did not know the history. Thanks.
Title: Re: টেলিকমিউনিকেশানের টুকিটাকি, পর্ব-১
Post by: R B Habib on April 07, 2014, 01:24:53 PM
Interesting. Thanks for sharing
Title: Re: টেলিকমিউনিকেশানের টুকিটাকি, পর্ব-১
Post by: najnin on May 07, 2014, 03:58:59 PM
আপনাদেরকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য।