Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Faculty Forum => Topic started by: Jeta Majumder on April 24, 2014, 03:36:09 PM
-
বার্জারস ডিজিজ মূলত ধুমপায়ীদের একটি রোগ। দরিদ্র, অশিক্ষিত যুবক (বয়স ত্রিশ এর নীচে) যারা খালি পায়ে মাঠে বা রাস্তায় কাজ করে তাদেরই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। অনেক সময় রাস্তাঘাটে একধরনের অল্প বয়সের ভিক্ষুক দেখা যায় যাদের পায়ের আঙ্গুল বা পাতার অর্ধেক অথবা হাটুর নীচের অংশ কাটা থাকে। এদের একটা বিশাল অংশ বার্জারস ডিজিজ এর শিকার হয়ে ঐ পথ বেছে নিয়েছে।
বার্জারস ডিজিজ এ আক্রান্ত হয় মাঝারি মাপের ধমনীগুলো যা সাধারনত পা এবং হাতকে রক্ত সরবরাহ করে থাকে। অতিরিক্ত ধুমপান করার ফলে ধমনীর ভিতরের দিকে একধরনের প্রদাহ হয় এবং তা সরু হয়ে যেতে থাকে, এই প্রদাহ একসময় নিকটবর্তী স্নায়ু বা নার্ভেও (Nerve) ছড়িয়ে। এভাবেই ধীরে ধীরে তা বার্জারস ডিজিজ এ রুপান্তরিত হয়।
এই রোগের শুরুতে রোগী শুধু বেশ কিছুদূর হাটার পরে বা দৌড়ালে পায়ের মাংশপেশীতে (Calf muscle) ব্যথা অনুভব করে (Claudication pain), কিছুক্ষন বিশ্রাম নিলে আবার সেই ব্যথা ভালো হয়ে যায়। এ অবস্থায় ও রোগী যখন ধুমপান চালিয়ে যেতে থাকে রোগ ও তখন পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। আগের তুলনায় কম দুরত্ব অতিক্রম করলেও তখন রোগীর পায়ে ব্যথা দেখা দেয়। এক সময় বসে থাকা বা বিশ্রাম নেয়া অবস্থায়ও রোগী ব্যথা (Rest pain) অনুভব করে। এই অবস্থায় রোগটি বেশ জটিল অবস্থায় চলে গেছে বলে ধরে নেয়া হয়। এ সময় রোগীর পা ধীরে ধীরে সরু ও ঠান্ডা হয়ে যেতে শুরু করে। রোগীকে রাত্রে তীব্র ব্যথা ও যন্ত্রনার কারনে নিদ্রাহীন ভাবে বিছানার পাশে পা ঝুলিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। একসময় পায়ে ঘা বা ulcer দেখা দেয় এবং পরিশেষে পচন (Gangrene) ধরে। এই গ্যাঙ্গরিন পায়ের আঙ্গুল থেকে ক্রমশ উপড়ের দিকে উঠতে থাকে এবং এক সময় মুল্যবান পা টি কেটে ফেলে দেবার (Amputation) মাধ্যমে এই অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। এরপরও যদি রোগী ধুমপান চালিয়ে যায় তবে আবার আগের সমস্যা গুলো শুরু হয় এবং একসময় উরুর (Thigh) মাঝ বরাবর পা কেটে ফেলে দিতে হয়।
বোঝাই যাচ্ছে যে বার্জারস ডিজিজ এর শেষ পরিণতি পঙ্গুত্ব বরণ করা। তারপরও কিন্ত রোগটির বেড়ে চলা থেমে থাকেনা। এজন্য রোগটি নিয়ন্ত্রনে বিশেষ কিছু নিয়ম ও উপদেশ মেনে চলতে হয়। যেমন ধুমপান ও তামাক ব্যবহার ত্যাগ করা, খালি পায়ে না থাকা, বিশেষ ধরনের জুতা ব্যবহার করা, জীবনযাত্রার ধারা পরিবর্তন করা, নিয়মিত কিছু অসুধ সেবন করা ইত্যাদি। রোগের শুরুতেই যত্নবান হলে রোগটির বেড়ে চলাকে সহজেই নিয়ন্ত্রন করা যায়। যে সকল রোগীকে পেশার কারনে অনেক দুরুত্ব অতিক্রম করতে হয় তারা সাইকেল ব্যবহার করে এই সমস্যা এড়াতে পারেন।
একসময় বার্জারস ডিজিজ এর জন্য পেট কেটে লাম্বার সিমপ্যাথেকটমি (Lumbar sympathectomy) অপারেশন করা হতো, কিন্ত তা স্থায়ী সমাধান দেয়না বলে এখন আর এর প্রচলন নেই। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ধমনীতে বাইপাস (Bypass) অপারেশন করে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে দেখা গেছে। ভাসকুলার সার্জন গন বার্জারস ডিজিজ এর স্থায়ী চিকিৎসা বাইপাস অপারেশন করে থাকেন।
-
Thanks for sharing this.
-
Thanks for sharing. informative post.
-
informative
-
Thanks for sharing