Daffodil International University

Faculty of Allied Health Sciences => Public Health => Topic started by: rumman on May 07, 2014, 08:09:57 PM

Title: পশুও দান করবে অঙ্গ!
Post by: rumman on May 07, 2014, 08:09:57 PM
ব্যক্তির নিজের বা কোনো স্বজনের কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর তা প্রতিস্থাপনের জন্য আপনাকে কত কি-ই না করতে হয়। স্বজনদের কেউ কিডনি দিলে ভালো। না হলে কিডনি কিনতে গিয়ে কত আইনি মারপ্যাঁচ আর অনেক টাকা আপনাকে খরচ করতে হয়। কিন্তু সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন মানুষের পেছনে না ছুটে আপনার পরিচিত কোনো জীবজন্তুর কিডনিই আপনি শরীরে প্রতিস্থাপন করতে পারবেন। হ্যাঁ, অঙ্গ প্রতিস্থাপন প্রযুক্তির অগ্রগতি সে কথাই বলছে।
পশুর অঙ্গ মানবদেহে প্রতিস্থাপনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে একধাপ অগ্রসর হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী। এ লক্ষ্যে তাঁরা সম্প্রতি জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে উদ্ভাবিত (জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড) একটি শূকরের হৃদযন্ত্র বেবুনের দেহে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। এখনো পর্যন্ত প্রযুক্তিটির যতটুকু অগ্রসর হয়েছে, তাতে প্রতিস্থাপিত হৃদযন্ত্রটি নিয়ে ৫০০ দিনেরও বেশি বাঁচতে পারবে বেবুনটি। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হার্ট, লাঞ্জ, অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউটের ট্রান্সপ্লান্টেশন বিভাগের প্রধান ডা. মুহাম্মদ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে পশু থেকে পশুতে অঙ্গ প্রতিস্থাপন গবেষণাটি চলছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, পশু থেকে অঙ্গ সংগ্রহ করে (জিনোট্রান্সপ্লান্টেশন) তা মানবদেহে প্রতিস্থাপন করা পুরোপুরিই সম্ভব। যদি অনাগ্রহ কিংবা কোনো সমস্যা হয়ও, সে ক্ষেত্রে মানব অঙ্গ না পাওয়ার আগ পর্যন্ত সাময়িকভাবে হলেও পশুর অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যাবে। তবে সহসায়ই এমনটি সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, তাতে অঙ্গ গ্রহীতার ইমিউন সিস্টেমের (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) দ্বারা যে ‘টিস্যু রিজেকশন’ (কলা সংযোগ প্রত্যাখ্যান) ঘটে, সেটাই পশু থেকে মানবদেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে বড় বাধা।
গবেষণায় বিজ্ঞানী মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ও তাঁর সহকর্মীরা জেনেটিক্যালি উদ্ভাবিত একটি শূকর থেকে হৃদযন্ত্র সংগ্রহ করেন। শূকরের দেহের গঠনতন্ত্র (অ্যানাটমি) মানুষের মতোই এবং শূকর খুব দ্রুত পরিপক্ব হয় বলে এ ক্ষেত্রে শূকরকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা জানান। গবেষকদলটি শূকরের হৃদযন্ত্রটি নিয়ে বানরটির তলপেটে প্রতিস্থাপন করেন এবং বানরটির আগের হৃদযন্ত্রটি রেখে দিয়েই প্রতিস্থাপিত হৃদযন্ত্রটিকে এর রক্ত সঞ্চালনের পদ্ধতির (ব্লাড সার্কুলেশন) সঙ্গে সংযুক্ত করে দেন। বিজ্ঞানী মহিউদ্দিন বলেন, ‘এখন আমরা গবেষণার সেই ধাপে আছি, যাতে টিস্যু রিজেকশনকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেটা আবিষ্কার করা। এই গবেষণায় এটাই সবচেয়ে জটিল বিষয়।’
তাঁদের গবেষণাটি সম্প্রতি টরেন্টোতে অনুষ্ঠিত ‘আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর থোরাসিক সার্জারির সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। লাইভসায়েন্স সাময়িকী এসংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।