Daffodil International University
International Affairs => International Activity => Study Abroad => Topic started by: ariful892 on May 29, 2014, 10:33:04 AM
-
বহু মানুষকেই প্রতি বছর নানা কাজে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হয়। আর মার্কিনিদের নানা আচার-আচরণে তাদের অনেকেই অবাক হয়ে যান। যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া এক বিদেশি ছাত্রের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এ ধরনের ১৬টি পয়েন্ট প্রকাশ করেছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. মার্কিনিরা যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করে ‘আপনি কেমন আছেন?’ বা ‘দিনকাল কেমন যাচ্ছে?’ তাহলে এ প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিলেও চলবে। কারণ এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর তারা না দিতেই অভ্যস্ত। বরং এমন প্রশ্ন তারা অন্যকে অভিনন্দন জানানোর জন্যই ব্যবহার করে। আর এর জবাবে অনুরূপ পাল্টা প্রশ্ন করলেই হবে।
২. বখশিশ দেওয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে বহুল প্রচলিত। কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে ক্ষেত্রবিশেষে এটি ১৫ থেকে ২০ ভাগ পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়াও ট্যাক্সি ও চুল কাটাতে গেলেও বখশিশ দেওয়ার প্রচলন রয়েছে।
৩. সম্পূর্ণ অপরিচিত মার্কিনিরাও আপনার সঙ্গে হাসিমুখে কুশল বিনিময় করবে। আর এর বিনিময়ে শুধু হাসি দিলেই চলবে আপনার। বিশ্বের অন্যান্য বহু স্থানের মানুষের তুলনায় মার্কিনিরা বন্ধুবৎসল।
৪. তারা এখনও বিভিন্ন দূরত্ব প্রকাশে মাইল ব্যবহার করে। এ ছাড়াও ফারেনহাইট, পাউন্ড ইত্যাদি ব্যবহার করে নানা ক্ষেত্রে। যদিও এসব পুরনো পদ্ধতি এবং ডেসিমেল পদ্ধতিতে প্রকাশ করা যায় না।
৫. কৃত্রিমতা মার্কিনিদের সব খাবারের স্বাদেই পাওয়া যায়। এমনকি মার্কিন কোকা কোলার স্বাদও অন্যান্য দেশের তুলনায় ভিন্ন। সুপারমার্কেটে বিক্রি হওয়া মুরগিও কেমিক্যালে পূর্ণ থাকে। রান্নার পরেও এ থেকে কেমিক্যালের স্বাদ যায় না। আমেরিকান চকলেটের স্বাদও অনেকের কাছে অত্যন্ত বাজে বলে মনে হয়।
৬. আপনি মার্কিনিদের সম্বন্ধে যাই শুনে থাকেন, মার্কিনিদের ভদ্রতা সত্যিই বলার মতো। নিউ ইয়র্ক শহর কিছুটা ব্যতিক্রম হলেও তা সম্পূর্ণ আমেরিকা নয়। মার্কিনিরা লেন ধরেই রাস্তায় গাড়ি চালায়। কোথাও ঢুকতে গেলে সামনের মানুষ আপনার দরজা মেলে ধরবে এবং তা অন্যদের কাছেও আশা করবে।
৭. ব্যক্তিগত স্থান বজায় রাখতে পছন্দ করে মার্কিনিরা। কোনো মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় তারা কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখে। ব্যক্তিগত বিষয়গুলোতেও একইভাবে তারা দূরত্ব বজায় রাখে।
৮. মার্কিনিরা খাবারের ব্যাপারে খুবই সচেতন। অনেকে শুনলে অবাক হবেন যে, তাদের অনেকেই বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করে না, তার বদলে রেস্টুরেন্টের খাবারেই দিন কাটায়। আর এর ফলে প্রচুর মার্কিনি হয়ে গেছে মোটা।
৯. যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত এশিয়ান খাবার বাস্তবে এশিয়ান খাবার নয়। বরং এগুলো এশিয়ান খাবারের মার্কিন রূপ।
১০. যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাক্সিক্যান খাবার বলতে যা বোঝায় তাও বাস্তবে মার্কিন খাবার।
১১. মার্কিন পানীয় অন্যান্য দেশের পানীয়ের তুলনায় ভিন্ন স্বাদের।
১২. মার্কিনিরা ধর্মপ্রাণ।
১৩. খুব ছোটবেলা থেকেই বহু মার্কিনিরা ন্যায়পরায়নতা শিখে থাকে। এখানে বিশ্বাস অনেক বেশি। এখনও বহু মানুষ তাদের ঘরের দরজায় তালা লাগায় না।
১৪. মার্কিনিরা রাজনৈতিক আলাপ পছন্দ করে না। আর রাজনৈতিক আলাপ চলে যায় অতিরিক্ত ডানপন্থি কিংবা অতিরিক্ত বামপন্থীদের দিকে।
১৫. মার্কিনিরা সাধারণভাবে দেশপ্রেমিক। তবে তাদের মাঝে কিছু বামপন্থী আছে যারা মনে করে এ দেশটিই বিশ্বের সব শয়তানির কেন্দ্রবিন্দু।
১৬. যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘অ্যালামনাই’ ব্যাপারটি বেশ জনপ্রিয়। বহু মানুষকেই তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম বা মনোগ্রাম লাগানো টিশার্ট পরে জগিং করতে দেখা যায়।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2014/05/28/89745#sthash.Jm9iJESq.dpuf
-
intresting...........