Daffodil International University
Entertainment & Discussions => Sports Zone => Football => Topic started by: maruppharm on May 31, 2014, 10:43:31 AM
-
মারিও বালোতেল্লি। বিতর্ক যাঁর ছায়াসঙ্গী। বিতর্ক পিছু ছাড়েনি ইতালির বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে। সেখানেও বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন বলে নতুন করে তোলপাড়। ফোরফোরটু সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বর্ণবাদসহ আরও বেশ কিছু বিতর্কিত বিষয়ে বললেন বালোতেল্লি—
ম্যানচেস্টারকে আর মিস করেন না?
ভক্তদের মিস করি। যদিও কিছু কিছু জিনিস মিস করি না। খাবার অথবা আবহাওয়া মিস করা হয় না; কিংবা সেখানখার অদ্ভুতগাড়ি চালানোর নিয়ম! কিন্তু হ্যাঁ, ম্যান সিটির ভক্তরা, তাদের মিস করি। মিলান ভক্তরা কোনো অংশে কম নয়; তবুও সুখকর স্মৃতিগুলোর বেশির ভাগই ম্যানচেস্টারে।
ব্রিটিশ মিডিয়ায় খুব হইচই হয়েছিল অনুশীলনে আপনার বাগবিতণ্ডা নিয়ে। সেসব এখন আর ইতালিতে আসার পর খুব একটা শোনা যায় না...
দুর্ভাগ্যক্রমে কিছু মানুষ তিলকে তাল করে দেখতে চায়। কিন্তু সেসব ঘটনা বড় করে দেখার মতো কিছুই নয়। একসঙ্গে কাজ করার সময় অনেক কিছুই হয়। কিন্তু এ নিয়ে ইতালিতে কেউ শোরগোল তোলে না। বলছি না ইতালির সাংবাদিকতা ব্রিটেনের চেয়ে ভালো। সত্যি বলতে, তারা সমানে সমান খারাপ হতেও পারে। কিন্তু ইংল্যান্ডের মিডিয়া আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতেই বেশি ভালোবাসত। সব সময় পরিবার নিয়ে খোঁচাত।
তাহলে কি ইতালিয়ান মিডিয়ার সঙ্গে আপনার ভালো সম্পর্ক?
মিডিয়ার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্কই নেই।
ম্যানচেস্টার ডার্বির সেই ‘why always me’ টি-শার্টটা এখনো আছে?
[হেসে] কেন? আপনি কিনতে চেয়েছিলেন?
আমরা ১০ ইউরো দিতে পারি।
কী! এটা অবশ্যই তার চেয়ে দামি!
রবার্তো মানচিনির সঙ্গে কথা হয়?
না, ক্লাব ছেড়ে আসার পর তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি। তাঁকে পছন্দ করি। আমার খেলোয়াড় হিসেবে বেড়ে ওঠার পেছনেও তিনি অনেক অবদান রেখেছেন। তাঁকে কোচ হিসেবে ভালো লাগে, মানুষ হিসেবেও। হ্যাঁ, সামান্য মনোমালিন্য হয়েছিল আমাদের, কিন্তু এখন সব ঠিকঠাক। যা বলছিলাম, একসঙ্গে কাজ করতে গেলে এসব হয়ই।
ইতালির মিডিয়ায় আপনার এই মৌসুমের ডিসিপ্লিনারি রেকর্ড নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আপনি কি মনে করেন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়েরা ইচ্ছা করেই আপনাকে উসকে দেন?
আমি নিশ্চিত না যে তারা এটা ইচ্ছাকৃতভাবে আমার সঙ্গে করছে কি না। স্ট্রাইকারদের ব্যাপারটাই এমন হয় সাধারণত। প্রতিপক্ষের প্লেয়ার আপনাকে সামলাতে না পারলে যে করে হোক, থামাবেই! বেশির ভাগ রেফারি জানেন যে মাঠে কী ঘটছে। তাঁরা দেখতে পান। আর দর্শক? যদি তাদের কথাগুলো বর্ণবাদী ধরনের না হয়, তবে ঠিক আছে। আর যদি তা-ই হয়ে থাকে, হ্যাঁ আমি মাঠ থেকে বেরিয়ে যাব।
বলা হয়ে থাকে যে বর্ণবাদ আপনার একাকিত্ব বাড়িয়ে দেয়...
না, না। আমি কখনোই তা বলিনি। পরিবারের কাছাকাছি কখনোই আমি একা নই। বন্ধুরাও আছে।
কিন্তু ছেলেবেলায় আপনি নিজেকে ‘পরিত্যক্ত’ মনে করতেন। এটা কি আপনাকে ফুটবলার হওয়ার পথে কোনোভাবে প্রভাবিত করেছে?
বেড়ে ওঠার সময়ে সব সময় মাকে বলতাম, ‘আমি ফুটবলার হতে চলছি।’ বিশ্বাস করতাম, জানতাম যে আমি পারব। বর্ণবাদী আচরণ কি আমাকে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করেছে? না, এটা নিয়ে ভাবা হয়নি কখনো। সব সময় ফুটবল নিয়ে ভাবতাম, এখনো তা-ই আছি। অনেক কিছুই আছে যেগুলো সুখকর নয়। মানে এই মুহূর্তটা খারাপ না। কিন্তু কেউ না কেউ সব সময় আমার ছবি তুলছে কিংবা সবার মনোযোগ আমার দিকে এটা কেমন যেন! খেলায় যখন ভালো কিছু করি, যখন ভক্তরা আমাকে নিয়ে গর্বিত, তখন ভালো লাগে বৈকি। তবে এই যে এসব (আঙুল দিয়ে ক্যামেরা এবং লাইটের দিকে ইঙ্গিত করলেন) ফুটবলেরই অংশ। আমি এ নিয়েই বেশ আছি।
বিশ্বকাপে ভালো খেললে সর্বকালের সেরা হতে চাওয়ার যে ইচ্ছা আপনার, সেটা তো অনেকটাই পূরণ হতে পারে?
আমি নিজেকে উপভোগ করব বিশ্বকাপে। এটা আমার প্রথম বিশ্বকাপ। ব্রাজিলে ভালো সময় কাটাতে চাই। প্রত্যাশা থাকবে। আসলে এটাকে খুব বড় করে দেখতে চাইছি না। আমি শুধু সেখানে গিয়ে অভিজ্ঞতাটাকে উপভোগ করতে চাই। এবং তাই-ই করব।
ইতালির জাতীয় দলে খেলাটা আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তাই নয় কি?
যেসব খেলোয়াড় ক্লান্তি কিংবা অন্য কিছুর অজুহাত দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলতে চায় না, আমি তাদের ধাঁচ বুঝে উঠতে পারি না। আমার জন্য ইতালির জাতীয় দলে খেলাটা অনেক বড় কিছু। আমি জানি, সতীর্থদের জন্যও এটা অনেক কিছু। আজ্জুরির হয়ে খেলতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। ইতালির হয়ে খেলতে আমি ভালোবাসি।
ইংল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম খেলা থাকছে আপনাদের?
হ্যাঁ, ইংল্যান্ড। ড্রয়ের পর ইংল্যান্ডকে পেয়ে খানিকটা হেসেছি। পুরোনো কিছু বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে, ভালোই লাগবে। স্কোর নিয়ে কোনো আন্দাজ আছে কি না? না, নেই! (হাসি)।
ধরুন খেলার মাঝে ইতালি পেনাল্টি পেল। জো হার্টের সামনে আবার বল নিয়ে দাঁড়ানোটা কি উপভোগ করবেন?
হ্যাঁ, হ্যাঁ। গোল কি দিতে পারব? (হাসি) তাকে জিজ্ঞেস করুন, সে ঠেকাতে পারবে কি না!