Daffodil International University

Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: farahsharmin on July 06, 2014, 02:01:43 PM

Title: তেলে তাজা
Post by: farahsharmin on July 06, 2014, 02:01:43 PM
জলে চুন তাজা, তেলে চুল তাজা—এ প্রবাদ তো সবারই জানা। এবার এর সঙ্গে যোগ করুন আপনার ত্বকও। শুধু চুল আর ত্বকই নয়, তেলে কিন্তু মনও থাকে তাজা। তেলের হরেক রকম ব্যবহার আর গুণাগুণ নিয়ে বলেছেন হারমনি স্পার রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।
সুপ্রাচীনকাল থেকে এর বহুল ব্যবহার ছিল। সচেতন মানুষের শরীরের সুস্থতাও। প্রচলিত নারকেল তেল, সয়াবিন তেল, জলপাই তেল, সরিষার তেলের পাশাপাশি এখন যোগ হয়েছে সূর্যমুখীর তেল, তিলের তেল, নিম তেল, তিসির তেল, ভুট্টার তেল। এসব তেলের সঙ্গে আবার ফুল, লতাপাতার মূলের নির্যাস যোগ করে সুগন্ধিযুক্ত উপকারী তেলের ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে।

নারকেল তেল
সৌন্দর্যচর্চায় বিশেষ করে চুলের যত্নে যুগে যুগে সেরা হিসেবে খ্যাত নারকেল তেল। চুল পড়া বন্ধ করে, চুলের গোড়া শক্ত করে এই তেল। এ ছাড়া ত্বকে মালিশ করলেও উপকার পাওয়া যায়।

সরিষা তেল
সরিষার তেল ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে পারে। শীতে ফাটা ত্বকে এর মালিশ খুব উপকারী। শিশুর ত্বকেও খাঁটি সরিষার তেলের ম্যাসাজ অন্য রাসায়নিকযুক্ত তেলের তুলনায় নিরাপদ। ঠান্ডার সময় উষ্ণতাও দেয় এই তেল। ঠান্ডা, কফ, মাথাব্যথা—এসব কমাতে সরিষার তেলের ম্যাসাজ উপকারী।

তিলের তেল
ছোট ছোট সাদা ফুল থেকে হয় কালচে তিলের দানা। এ দানার গুণাগুণের শেষ নেই। এ থেকে হয় তিলের তেল। তিলের তেলের ব্যবহারে ত্বক হয় সজীব। যাঁদের ত্বকে রোদে পোড়া ভাব রয়েছে, তাঁদের ওই পোড়া দাগ দূর করতে পারেন এ তেল ম্যাসাজের মাধ্যমে। এই তেল ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হয়। মাথাও ঠান্ডা থাকে। শীতের সময় রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য কর্পূর তিলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে উষ্ণতা পাওয়া যায়। তিলের তেল চুলের খুশকিও দূর করে। এ জন্য সপ্তাহে একবার নারকেলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন।

তিসির তেল
ত্বকের কোমলতা ফিরিয়ে আনতে ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন তিসির তেল। এতে ত্বকের ভাঁজগুলো ধীরে ধীরে কমে যায়। তিসির তেল খেতেও পারেন। এতে মেধা বাড়ে। চোখের দৃষ্টির জন্যও ভালো।

জলপাই তেল
যাঁদের কোলস্টেরলের মাত্রাটা বেশি, তাঁদের জন্য জলপাই তেলের কোনো বিকল্প নেই। এ তেলের রান্না যেমন ভালো, ত্বকে এর ব্যবহারও উপকারী। যাঁদের ত্বকে চুলকানির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা নির্দ্বিধায় এ তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। শিশুর ত্বকেও নিরাপদ। জলপাই তেল মাথার ত্বকের খুশকি দূর করার জন্যও উপকারী।

বাদাম তেল
পুষ্টি আর শক্তি—এ দুটো একসঙ্গে পেতে বেছে নিতে পারেন আমন্ড বাদাম তেল। চেহারায় লাবণ্য ছড়ায় এ তেল। মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। শরীরে ম্যাসাজ করতে পারেন ময়েশ্চারাইজার হিসেবে। চিনাবাদামের তেল খেতেও পারেন বিস্কিট বা কেকের সঙ্গে বেক করে।

সূর্যমুখী তেল
এই তেলের সুবিধা হলো, ত্বকে ব্যবহার করলে কোনো অস্বস্তিকর তেলতেলে অনুভূতি হয় না। বরং বেশ ভালো বোধ হয়। ত্বক সজীব ও লাবণ্যময় করতে সূর্যমুখীর তেল ম্যাসাজ করতে পারেন।

নিম তেল
যাঁদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁরা নিম তেল ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে দুই দিন। দু-এক ফোঁটা নিম তেল খেতেও পারেন প্রতিদিন।

এসেনশিয়াল অয়েল
তেলের ব্যবহার শুধু খাওয়া আর রূপচর্চায় সীমাবদ্ধ নেই। এখন মনকে প্রফুল্ল করতেও তেলের ব্যবহার দেখা যায়। রাহিমা সুলতানা বলেন, তেলের সঙ্গে বিভিন্ন গাছের ফুল, লতাপাতা, মূলের নির্যাস মিশিয়ে এখন তৈরি করা হচ্ছে এসেনশিয়াল অয়েল। সুগন্ধির পাশাপাশি বেশ উপকারীও এটি। আমরা তেলের সঙ্গে বিভিন্ন ভেষজ উপাদান ও সুগন্ধি যোগ করে পেতে পারি সজীবতা ও সতেজতা। যেমন:
 লবঙ্গ, রোজমেরি, লেবু একসঙ্গে তেলে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে সতেজ হওয়া যায়।
 জায়ফল, কমলা, ভ্যানিলা একসঙ্গে তেলে মিশিয়ে ম্যাসাজ করে আপনার স্নায়ুবিক চাপ কমিয়ে ফেলতে পারেন।
 ক্যামোমাইল, ল্যাভেন্ডার, গোলাপের নির্যাস তেলে মিশিয়ে শরীরের আবর্জনা দূর করুন।
 ত্বকের উজ্জ্বলতা আনতে তেলে লেবুর নির্যাস ও জেসমিন যোগ করে ম্যাসাজ করতে পারেন।
নানারকম এসেনশিয়াল অয়েল পাবেন যেকোনো সুগন্ধির দোকানেই। এছাড়া নানা বিউটি পার্লারেও এসব তেল কিনতে পাওয়া যায়।
Title: Re: তেলে তাজা
Post by: R B Habib on July 07, 2014, 02:11:38 PM
জলে চুন তাজা, তেলে চুল তাজা
Epic. Even the hair oils are not good these days :(
Title: Re: তেলে তাজা
Post by: kwnafi on July 16, 2014, 09:15:41 PM
Excellent post