Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: farahsharmin on July 06, 2014, 02:02:47 PM
-
এই রোদ এই বৃষ্টি। সময়টাই যেন এমন। সঙ্গে রয়েছে ভাপসা গরম। আবহাওয়ার এমন আচরণে চলতি পথে পড়তে হয় বিপাকে। ধরুন, সকালে দেখলেন রোদের ঝিলিক, মাঝপথে বৃষ্টি। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই নিজেকে বাঁচানোর। শুধু পোশাক বাঁচালেই তো হবে না, সঙ্গে থাকা ব্যাগটিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিদিনের দরকারি জিনিসপত্র। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কাগজও থাকে। তাই তো এ সময় নিজের থেকে ব্যাগ বাঁচানোই বেশি জরুরি হয়ে পড়ে। আর পোশাক বাছাইয়ের বেলাতেও সচেতনতা প্রয়োজন। বিশেষ করে তরুণদের। পথেঘাটে তারাই বেশি বিপত্তিতে পড়ে। রিকশায়, বাসে কিংবা হেঁটে চলাচল করতে হয়। রোদ-বৃষ্টি থেকে নিজেকে সব রকমে বাঁচাতে চাই পূর্বপ্রস্তুতি।
এ সময় পোশাক চিন্তাভাবনা করে পরা উচিত। কেননা বৃষ্টির পাশাপাশি গরমও থাকে। সে কারণে সুতির কাপড় পরা ভালো। তাতে করে গরম কম লাগবে। হালকা আকাশি, হালকা গোলাপি, হালকা হলুদ রঙের পোশাক পরতে পারেন। তবে পাজামা বা সালোয়ারটা গাঢ় রঙের হলে ভালো হয়। কাদা-পানি ছিটকে এলেও সহজে বোঝা যাবে না। মেয়েরা ফতুয়াও পরতে পারেন। কিন্তু জিনসের সঙ্গে না পরাই ভালো। জিনস ভিজলে ভারী হয়ে যায়। ফলে হাঁটাচলায় অসুবিধা হতে পারে। বেড়াতে যাওয়ার সময় ফতুয়া-ক্যাপ্রিও পরতে পারেন। তবে পোশাকটি যেন আরামদায়ক হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে স্কার্ট পরতে পছন্দ করেন। হাল ফ্যাশনের স্কার্টগুলো লম্বাই হয়। সে ক্ষেত্রে রাস্তাঘাটে কাদাপানিতে এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের পোশাক এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। বললেন নগরদোলার হেড অব অপারেশনস আলী আফজাল।
নিত্য উপহারের স্বত্বাধিকারী বাহার রহমান মনে করেন, টি-শার্ট, ফতুয়া এ সময় তরুণদের জন্য উপযুক্ত পোশাক। বৃষ্টির দিনে গাঢ় রংকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। ভেজা শরীরের সঙ্গে পোশাক এঁটে থাকলেও খারাপ দেখাবে না। যে ধরনের প্যান্টে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, তাই পরতে পারেন। তবে গ্যাবার্ডিন কাপড়ের প্যান্ট, ট্রাউজার পরা যেতে পারে। জিনস এড়িয়ে যাওয়াই ভালো, বৃষ্টির দিনে শুকানোর ঝামেলা থাকে। খেয়াল রাখবেন, পোশাকটির রং পাকা কি না। তা না হলে বৃষ্টির পানিতে পোশাকের রং মিশে একাকার হয়ে যাবে। টি-শার্ট, ফতুয়া হাতাকাটা শার্ট অবশ্যই যেন সুতির হয়। নিচটা আর কাদা থেকে বাঁচতে প্যান্টের নিচটা একটু গুটিয়ে পরা উচিত। আবহাওয়া যেমনই থাকুক, ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ব্যাগটি দেখে নিন।
‘এ সময়ের প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক জিনিস নিতে ভুলবেন না। ব্যাগে অবশ্যই ছাতা কিংবা বর্ষাতি, ছোট তোয়ালে, চিরুনি ও প্লাস্টিকের বাড়তি ব্যাগ রাখবেন।’ বললেন কিউবেলার রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান। এ সময় পানিরোধক ব্যাগ ব্যবহার করাই ভালো। রেকসিন, ছাতার কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চামড়ার ব্যাগ ব্যবহার করা উচিত নয়। এ সময়টাতে সাজসজ্জায়ও সচেতন হতে হবে। মেয়েরা চুল পনিটেইল, ফ্রেঞ্চ বেণি কিংবা খোঁপা করতে পারেন। চুলটা যেন খোলা না থাকে। বৃষ্টিতে চুল ভিজলে বাসায় ফিরে অবশ্যই ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। গরমও বেশ থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজপড়ুয়াদের মেকআপ করার প্রয়োজন নেই। সকালে ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। বেরোনোর আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। বয়ঃসন্ধিকালে ব্রন ওঠার প্রবণতা দেখা যায় অনেকের মধ্যে। তারা মেডিকেটেড সানস্ক্রিন লোশন বা স্ক্রিম ব্যবহার করবেন। কাজল, আই লাইনার, মাশকারা অবশ্যই পানিরোধক হতে হবে। সানস্ক্রিন দেওয়ার ১৫ মিনিট পরে প্রেসড পাউডার ব্যবহার করতে হবে। আসল কথা, এ সময়টাতে হালকা সাজ তরুণীদের জন্য মানানসই। যখনই বের হোন না কেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আলাদা প্লাস্টিকের ব্যাগে রেখে দিন। ক্যালকুলেটর কিংবা মোবাইল ফোন রাখার জন্য পানিরোধক মোড়ক আগেই কিনে রাখুন।
রাস্তায় অনেক সময় ছাতা নিয়ে চলাচলে অসুবিধা হয়। সে ক্ষেত্রে রেইনকোট কিনে নিতে পারেন। এতে করে পুরো শরীর এমনকি সঙ্গে থাকা ব্যাগটিও বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাবে। কাদা ছিটকে এসে পোশাক নষ্ট হওয়ার ভয়ও থাকে না। নিউমার্কেটের রহিম জেনারেল স্টোরের আবদুর রহিম বলেন, পানিরোধক নানা মোড়ক পাওয়া যায়। এসব কিনলে বইখাতা, কাগজ, মোবাইল ফোন ও ক্যালকুলেটর পানি থেকে বাঁচানো যাবে। রেইনকোটের ক্ষেত্রে ছাতার কাপড়েরটা কেনা ভালো। কিন্তু পায়ে স্যান্ডেলটা কী পরবেন, তা নিয়েও তো কম ঝক্কি পোহাতে হয় না। এ বিষয়ে গ্যালারি অ্যাপেক্সের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এ সময় প্লাস্টিক, পিভিসির পানিরোধক স্যান্ডেল পরা উচিত। একদম চটি না পরে হালকা উঁচু স্যান্ডেলই ভালো। এতে করে কাদা-ময়লা পানি পায়ের ভেতরে ঢুকবে না। চামড়া, রেকসিনের তৈরি স্যান্ডেল, জুতো এড়িয়ে যাওয়া ভালো। ছেলেরা প্লাস্টিকের জুতো পরতে পারেন। একটু খোলা স্যান্ডেল পরুন, যাতে বাতাস ঢুকতে পারে। ব্যস, আপনার প্রস্তুতি শেষ। এবার নির্ভাবনায়, নিশ্চিন্তে বেরিয়ে পড়ুন। তারুণ্যের চিরচেনা রূপে মাতিয়ে তুলুন চারপাশ।
-
Excellent post