Daffodil International University
Faculty of Humanities and Social Science => Law => Topic started by: safiullah on July 16, 2014, 03:37:27 PM
-
দায়িত্ব আছে বয়স্ক মা-বাবার প্রতি
বয়স্ক মা-বাবা থাকেন গ্রামের বাড়িতে। সন্তানেরা শহরে। ব্যস্ততার কারণে ঠিকমতো খোঁজখবর নেওয়া হয় না। কিন্তু অনেকেই জানেন না, মা-বাবা যখন বৃদ্ধ হয়ে যান, কর্মক্ষম সন্তানদের কাছ থেকে তখন তাঁদের আইনত কিছু প্রাপ্য রয়েছে।
প্রচলিত আইনে বৃদ্ধ মা-বাবা তাঁর সাবালক ও কর্মক্ষম সন্তানের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মান ও ভরণপোষণের জন্য আইনের আশ্রয় চাইতে পারেন। দেশে ‘পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন, ২০১৩’ বলবৎ রয়েছে। এই আইনে প্রত্যেক কর্মক্ষম সন্তানকে তার মা-বাবার ভরণপোষণের নিশ্চয়তা দিতে হবে—এই বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনো মা-বাবার একাধিক সন্তান থাকলে সে ক্ষেত্রে সন্তানেরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে তাদের বাবা-মায়ের ভরণপোষণ নিশ্চিত করবে।
কোনো সন্তান তার মা কিংবা বাবা বা উভয়কে তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো বৃদ্ধনিবাস কিংবা অন্য কোথাও একত্রে বা আলাদাভাবে বসবাস করতে বাধ্য করতে পারবে না। মা-বাবার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে হবে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ও পরিচর্যা করতে হবে। এমন যদি হয়, মা এবং বাবা আলাদা থাকেন, সে ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে উভয়ের সঙ্গে আলাদা করে নিয়মিত সাক্ষাৎ করাতে হবে। মা-বাবা স্বেচ্ছায় অন্য কোনো জায়গায় বাস করলে তাঁদের মাসিক বা বার্ষিক আয়ের যুক্তিসংগত অর্থ নিয়মিত প্রদান করতে হবে সন্তানকে।
মা-বাবাকে ভরণপোষণ প্রদান না করলে এবং আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন না করলে অভিযুক্ত সন্তানের তিন মাসের জেল অথবা এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে। এই আইন অনুযায়ী মা-বাবাকে প্রতিকার চাইতে হলে প্রথম শ্রেণির বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লিখিত আবেদন করতে হবে। এ আইনের অধীনে অপরাধ হবে আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য এবং আপসযোগ্য। আদালত ইচ্ছা করলে প্রথমেই বিষয়টি আপস-মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। বিষয়টি ইচ্ছা করলে আপস-নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা মেম্বার, কিংবা ক্ষেত্রমতো, সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়র বা কাউন্সিলর কিংবা অন্য যেকোনো উপযুক্ত ব্যক্তির কাছে প্রেরণ করতে পারবে। আদালত থেকে কোনো আপস-মীমাংসার জন্য পাঠানো হলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি বাবা, মা এবং সন্তান উভয় পক্ষের শুনািন শেষে নিষ্পত্তি করতে পারবে। কোনো অভিযোগ এভাবে নিষ্পত্তি হলে তা আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
লেখক:তানজিম আল ইসলাম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
-
very useful post ...
-
Applying Law is not always possible to get parents proper right rather we need to change our own mentality. We should do our best for our parents the way they did for us in our childhood.
-
দেশে ‘পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন, ২০১৩’ বলবৎ রয়েছে। এই আইনে প্রত্যেক কর্মক্ষম সন্তানকে তার মা-বাবার ভরণপোষণের নিশ্চয়তা দিতে হবে—এই বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা হয়েছে।