Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Sports Zone => Topic started by: kwnafi on July 16, 2014, 10:39:08 PM

Title: বাংলাদেশের আমজাদের খবর ফিফার ওয়েবসাইটে
Post by: kwnafi on July 16, 2014, 10:39:08 PM

বাংলাদেশের পল্লীতে বসে আমজাদ হোসেনের জার্মানির তিন হাজার গজ দীর্ঘ পতাকা তৈরির খবর স্থান করে নিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার ওয়েবসাইটে।
Print Friendly and PDF
0
 


4
 

5718
 


Related Stories

    জার্মানভক্ত আমজাদের অন্যরকম এক বিকাল

    2014-07-12 20:37:43.0

ব্রাজিল বিশ্বকাপের মধ্যে ফিফার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ফটো সেকশনে ধার-দেনা করে আমজাদের তৈরি করা পতাকাটির ছবি তোলা হয়েছে।

এই পতাকা তৈরির জন্য আমজাদকে জার্মান ফুটবল দলের ফ্যান ক্লাবের আজীবন সদস্যপদ দিয়েছে জার্মানি। ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের কর্মকর্তারা ফাইনালের আগে গত শনিবার মাগুরার এই কৃষকের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন। জার্মান দূতাবাস সূত্রেই এই ছবিটি পেয়েছে ফিফা।

আমজাদের সমর্থিত দল জার্মানি রোববার আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় শিরোপাটি জয় করেছে। সোমবার গ্রামবাসীকে নিয়ে এই জয়ে উচ্ছ্বাসও দেখিয়েছেন আমজাদ।

মাগুরার ঘোড়ামারা গ্রামের আমজাদ বলেন, কোনো লাভের আসায় তিনি জার্মানির সুবিশাল এ পতাকা তৈরি করেননি। জার্মান ফুটবল দলের প্রতি ভালবাসা থেকে তিনি এ কাজ করেছেন।

এবারের বিশ্বকাপ শুরুর আগেই জার্মানির সুবিশাল এই পতাকা তৈরিতে হাত দেন আমজাদ। আড়াই লাখ টাকা খরচে এই পতাকা তৈরিতে জমি বিক্রি করতে হয়েছে তাকে।

জার্মানির শিরোপা জয়ে আমজাদের উল্লাস

জার্মানির শিরোপা জয়ে আমজাদের উল্লাস
স্থানীয় অনেকের ভাষায় আমজাদের এই ‘পাগলামির’ খবর সংবাদ মাধ্যমে এলে তা নজরে আসে ঢাকায় জার্মান দূতাবোসের কর্মকর্তাদের। তখন তারা পতাকাটি দেখতে এবং আমজাদের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয়।

জার্মান ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের আসার খবরে মাগুরা জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা আমজাদের পতাকাটি মাগুরা শহরে আনার ব্যবস্থা করেন।

ঘোড়ামারা গ্রাম থেকে শনিবার দুপুরে আমজাদ মাগুরা শহরে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে আসেন। গ্রামবাসীই বহন করে আনে লাল-কালো-হলুদের দীর্ঘ এই পতাকা।

জার্মান ফুটবল দলের খেলা পছন্দের পাশাপাশি ইউরোপের দেশটির প্রতিও অনুরাগ রয়েছে আমজাদের।

কী তার কারণ- জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালে দুরারোগ্য এক অসুখে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন পথ্য ব্যবহার করেও তিনি কোনো সুফল পাননি। শেষে জার্মানি থেকে আনা ওষুধ সেবনে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। তারপর থেকেই তিনি জার্মানির প্রতি অনুরক্ত।