Daffodil International University
General Category => Common Forum => Topic started by: M H Parvez on July 21, 2014, 05:29:59 PM
-
অনেক বিষয় আছে যা, আমরা রূপক অর্থে তরুণদের শেখাই। আর এসব বিষয় অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে গেলেই বাধে বিপত্তি। কারণ আমরা যা শেখাই তা থেকে মূল বিষয়টা ভিন্ন। আর এসব বিষয় পরিস্থিতি বুঝে পরিবর্তিত হয়ে যায়।
১. প্রেম যখন আসবে তখন নিজেই বুঝতে পারবে
জীবনে একসময় না একসময় প্রেম আসবে, আর তখন নিজেই বুঝতে পারবে। তার চোখের দিকে তাকালেই তুমি ভালোবাসা অনুভব করবে, এমনটা অনেকেই বলবেন। যদিও বিষয়টা সবার ক্ষেত্রে একরকম হয় না। আর তাই অল্পবয়সিদের এমন বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বলা উচিত নয়।
২. চিতাবাঘ তার দাগ বদলাতে পারে না
অনেকেই বলে থাকেন স্বভাব মরলেও পরিবর্তন করা যায় না। কিন্তু বাস্তবে আপনি তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় যে বন্ধুর কলম চুরি করেছিলেন এখন নিশ্চয়ই তা করেন না। আর ঐকান্তিক চেষ্টায় আপনিও পরিবর্তিত হতে পারেন।
৩. হাসি সবচেয়ে বড় ওষুধ
হাসি আপনার মানসিক অবস্থা ভালো করতে পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সব অসুখেরই সমাধান হাসি। গলা ব্যথা যদি হাসিতেই ভালো হতো তাহলে আর ডাক্তারের প্রয়োজন হতো না। যদি সত্যিকার অসুস্থ হন তাহলে আপনার চিকিৎসার প্রয়োজন আছে বৈকি।
৪. অনুপস্থিতিতে ভালোবাসা বাড়ে
আপনার সঙ্গে যদি কোনো বন্ধুর তিন মাস দেখা না হয় তাহলে তাকে দেখার জন্য আপনার মন ব্যাকুল হতে পারে। কিন্তু তা যদি হয় কয়েক বছর তাহলে ঠিক সেভাবে কাজ নাও করতে পারে তাকে দেখার আগ্রহ। যার অর্থ দাঁড়ায় ‘চোখের আড়াল তো মনের আড়াল’ কথাটি এক্ষেত্রে কার্যকর। অর্থাৎ এ বিষয়টি নির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা অসম্ভব।
৫. ভালো বিষয় দেরিতেই আসে
অনেকেই সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে পরামর্শ দেন অপেক্ষা করার জন্য। কারণ হিসেবে বলা হয়, ভালো জিনিস দেরিতেই পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবে কিছুদিন অপেক্ষা করার পর অনেকেই দেখতে পান, ভালো সঙ্গী হওয়ার উপযুক্তরা ইতোমধ্যেই সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।
৬. কথার তুলনায় কাজ কার্যকর
কারো সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির জন্য কথার তুলনায় কাজের গুরুত্ব বেশি। একটা কথার তুলনায় ভালোবাসার দৃষ্টিবিনিময়ের মতো দ্রুত কোনো কাজ কার্যকর এমনটাই ধারণা করা হয়। কিন্তু বাস্তবে অপর পক্ষের সঙ্গে অন্য কারো সম্পর্ক জানতে কথাবার্তার প্রয়োজন আছে।
৭. আপনার খাওয়াই আপনি
কয় প্লেট খাবার খেলেন তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনি কতোখানি স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন। আর বেশি খাওয়াই আপনার সবকিছুর শেষ নয়। তাই সমস্যা না হলে এজন্য অনুশোচনারও তেমন কিছু নেই।
সূত্র: কালের কন্ঠ