Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Faculty Forum => Topic started by: Rozina Akter on July 22, 2014, 02:53:55 PM
-
চীনের প্রাচীর টপকে আসা নকল হাঁস-মুরগির ডিমে ছেয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশসহ গোটা ভারতজুড়ে। বাংলাদেশ-ভারতের আম-জনতার কাছে আসল-নকলের কবলে পড়ার কথা অজানা থাকলেও, চাঞ্চল্যকর এই তথ্য প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং ইনডিপেন্ডেন্ট মর্নিং নিউজ এজেন্সিসহ বেশ কয়েকটি বিদেশি সংবাদমাধ্যম। এই সমস্ত সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনসহ ওই দেশের বিভিন্ন এলাকায় সীমান্তের চোরাপথে চীন থেকে কৃত্রিম ডিম পাচার হচ্ছে। চোরাপথে সেই ডিম ভারতসহ আশপাশের অন্যান্য দেশেও বিস্তৃত হয়েছে নকল ডিমে ৷যা দেখতে একেবারে হাঁস-মুরগির মতো।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সাল থেকেই তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম ডিম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘দ্য ইন্টারনেট জার্নাল অব টক্সোকোলজি’তে কৃত্রিম ডিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে ৷ তাতে অবশ্য এ কথাও বলা আছে যে, কৃত্রিম ডিমে কোনো খাদ্যগুণ নেই ৷কোনো প্রোটিনও নেই। বরং তা মানবদেহের মারাত্মত ক্ষতি করছে।
কিভাবে তৈরি হয় কৃত্রিম ডিম?
বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, কুসুম ও সাদা অংশের সমন্বয়ে কৃত্রিম ডিম তৈরি করতে প্লাস্টিকের ছাঁচ ব্যবহৃত হয়। তবে, তার আগে কুসুম তৈরি করা হয় বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে। সরাসরি ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ও কালারিং ডাই দিয়ে লাল বা গাঢ় হলুদ রংয়ের কুসুম তৈরি করা হয়। তার ওপর অতি পাতলা স্বচ্ছ রাসায়নিকের আবরণ তৈরি করা হয়। যাতে কুসুম ও সাদা অংশ এক না হয়ে যায়। সাদা অংশ তৈরিতে ব্যবহার হয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রিজিন জিলাটিন ও এলাম।
প্লাস্টিকের ছাঁচ ডিমের সাদা অংশ তৈরি করে তার মাঝখানে ডিমের কুসুম তৈরি করা হয়। শেষ ধাপে ডিমের উপরের শক্ত খোলস তৈরি করা হয়। এর জন্য ব্যবহার করা হয় ওয়াক্সের ৷ মিশ্রণটিতে ব্যবহার করা হয় প্যারাফিন, বেনজয়িক এসিড, বেকিং পাউডার, ক্যালসিয়াম কার্বাইড। সাদা অংশকে ওয়াক্সের দ্রবণে কিছুক্ষণ নাড়ানো চাড়ানো হয়। বাইরে থেকে স্বল্প তাপ প্রয়োগ করা হয়। এতেই তৈরি হয়ে যায় হুবহু ডিমের মতো দেখতে একটি বস্তু।
নকল ডিম চেনার উপায় :
কৃত্রিম ডিম অনেক বেশি ভঙ্গুর। অল্প চাপে ভেঙে যায়। এই ডিম সিদ্ধ করলে কুসুম বর্ণহীন হয়ে যায়। ভাঙার পর আসল ডিমের মতো কুসুম এক জায়গায় না থেকে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। কৃত্রিম ডিম আকারে আসল ডিমের তুলনায় সামান্য বড় এবং এর খোলস মসৃণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনে তৈরি হওয়া এসব কৃত্রিম বা নকল ডিম এক কথায় বিষাক্ত। কৃত্রিম ডিম তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রেসিন, জিলেটিন মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন এই ধরনের ডিম খেলে স্নায়ুতন্ত্র ও কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফুসফুসের ক্যান্সারসহ জটিল রোগের কারণ।
-
everyone should check it out :P
-
Informative. Thanks for sharing.
-
according to latest source, this egg is actual healthier than the natural one!!!!!!!!