Daffodil International University
Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Islam & Science => Topic started by: BRE SALAM SONY on September 02, 2010, 12:44:00 AM
-
শাব্দিক অর্থে বেদআত البدع থেকে উদ্ভূত। যার অর্থ হচ্ছে,
الاختراع على غير مثال سابق.
অর্থাৎ অতীত দৃষ্টান্ত ব্যতীত নতুন আবিষ্কার।
এ থেকেই আল্লাহ তাআলার বাণী :
بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ. البقرة:(১১৭)
অর্থাৎ ‘অতীত দৃষ্টান্ত ব্যতীত আকাশ জমিনের সৃষ্টিকর্তা। এবং
قُلْ مَا كُنْتُ بِدْعًا مِنَ الرُّسُلِ (الأحقاف:৯)
অর্থাৎ ‘আমিই প্রথম ব্যক্তি নই যে আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের নিকট রিসালতের দায়িত্ব নিয়ে এসেছি।’ বরং আমার পূর্বে বহু রাসূল অতীত হয়েছেন। প্রচলন আছে : ابتدع فلان بدعة অর্থাৎ এমন পদ্ধতি শুরু করেছে যা ইতিপূর্বে কেউ করেনি।
শরয়ি পরিভাষায় বেদআত বলা হয়—
ما أحدث فى الدين على خلاف ماكان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من عقيدة وعمل.
‘দ্বীনের মধ্যে রাসূল সা. ও সাহাবা কর্তৃক প্রবর্তিত আক্বিদা ও আমল পরিপন্থী নতুন আক্বিদা ও আমলের প্রচলন ঘটানো।’
আবিস্কার দুই প্রকার :
(১) অভ্যাস (ও জাগতিক প্রয়োজনের) ক্ষেত্রে আবিষ্কার—যথা বর্তমানে প্রচলিত ও নিত্য নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারসমূহ। এগুলো মুবাহ (অনুআেদিত)। কারণ আদত ও অভ্যাসের ক্ষেত্রে আসল হচ্ছে ইবাহাহ الإباحة বা বৈধ হওয়া।
(২) দ্বীনের (ইসলাম ধর্মের) ক্ষেত্রে আবিষ্কার। এটি হারাম। কারণ দ্বীনের ক্ষেত্রে মূলনীতি হচ্ছে توقيف বা শরিয়তের সিদ্ধান্তের উপর অবস্থান করা।
রাসূলুল্লাহ সা. বলেন:—
من أحدث فى أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد.
‘যে আমাদের দ্বীনে নতুন কিছু সংযোজন ও সৃষ্টি করবে যা মূলত তাতে নেই সেটি পরিত্যাজ্য।’
এ হাদিস প্রমাণ করছে যে, দ্বীনের মধ্যে প্রত্যেক নতুন সৃষ্ট বিষয়ই বেদআত আর প্রত্যেক বেদআতই গোমরাহি ও পরিত্যাজ্য। এর অর্থ হচ্ছে ইবাদত ও আক্বিদার ক্ষেত্রে নতুন আবিষ্কার, যার নজির পূর্বে নেই—হারাম ও অবৈধ। তবে এ অবৈধতার প্রকৃতি ও ধরন বেদআতের ধরন অনুপাতে বিভিন্ন রূপের হয়। কিছু বিষয় আছে যা সরাসরি কুফুরী যেমন কবরবাসীদের নৈকট্য অর্জনের উদ্দেশ্যে কবর তাওয়াফ করা, কবরের উদ্দেশ্যে জবেহ করা, মান্নত প্রেরণ করা, কবরবাসীর নিকট দোয়া করা, ফরিয়াদ করা, সাহায্য প্রার্থনা করা, এমনি ভাবে গোড়া মু’তাযিলা ও জহমীদের আক্বিদা ও মাজহাব।
আবার কিছু বিষয় আছে যা শিরকের মাধ্যম। যেমন কবরের উপর সৌধ বা এ জাতীয় কিছু নির্মাণ করা কবরের নিকট সালাত আদায় করা, দোয়া করা—ইত্যাদি। কিছু বিষয় আছে যা ফিসকে ইতেকাদী বা বিশ্বাসগত ফিসক। যেমন কবিরা গোনাহে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কাফের বলে রায় দেয়া বা কবিরা গোনাহে লিপ্ত হওয়াকে কুফরি জ্ঞান করা। আমলকে ঈমানের সংজ্ঞা থেকে বহিষ্কার করা অর্থাৎ আমলকে ঈমানের অন্তর্ভুক্ত মনে না করা। আবার কিছু কিছু বেদআত আছে যা শুধুমাত্র গোনাহ ও নাফরমানি—যেমন বিবাহ শাদি পরিত্যাগ করা। রোদে দাঁড়িয়ে সিয়াম পালন করা।
-
Thank you very much for your nice posting.
Sharifur Rahman