Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Faculty Forum => Topic started by: utpalruet on August 11, 2014, 02:11:40 PM
-
শীতের সময় অনেকেই পরিবার নিয়ে বেড়াতে যান। কিন্তু বেড়াতে গিয়ে অসুস্থ হলে পুরো আনন্দই মাটি হয়ে যাবে। তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ব বিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন এবিএম আবদুল্লাহ দিয়েছেন কিছু পরামর্শ। তিনি বলেন, ‘ভ্রমণকালীন বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন—মাথা ঘোরানো, বমি বা বমি বমি ভাব, পাতলা পায়খানা, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, জ্বর, মাথাব্যথা, ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি ইত্যাদি। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এসব সমস্যা বা রোগ এড়ানো সম্ভব। আর যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি রোগ, যেমন ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগে ভুগছেন, তাঁরা বেড়াতে যাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে যাবেন।
মাথা ঘোরানো ও বমি
মাথা ঘোরানো ও বমি (মোশন সিকনেস) ভ্রমণের সময় হতেই পারে। এ থেকে বাঁচার উপায় হলো, জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকা। বড় বড় শ্বাস নিতে হবে। প্রয়োজন হলে চোখ বুজে থাকুন। বই পড়বেন না বা স্থির কোনো কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। যাঁদের বেশি সমস্যা হয়, তাঁরা গাড়িতে ওঠার ঘণ্টা খানেক আগে চিকিৎসকের পরামর্শে মাথা ঘোরা বা বমির ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন।
ভ্রমণে ডায়রিয়া
বেড়াতে গিয়ে নানা কারণে পেট খারাপ হতে পারে। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন অল্প সেদ্ধ মাংস, সামুদ্রিক খাবার, অপাস্তুরিত দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার, পানি ইত্যাদির মাধ্যমে এটি ছড়ায়। তাই খাবার এবং পানির ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। এ জন্য সঙ্গে খাওয়ার স্যালাইন রাখা উচিত।
পাহাড় ভ্রমণ
পার্বত্য এলাকায় ভ্রমণের আগে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ম্যালেরিয়ার প্রতিরোধক ওষুধ খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। কেননা পাহাড়ি এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব থাকে। এ ছাড়া মশা নিধনকারী সেপ্র, মশারি ব্যবহার করবেন।
আকাশে ভ্রমণ
উচ্চতার কারণে আকাশপথে ভ্রমণের সময় সমস্যা হয়। ফলে মাথা ঘোরা, কানে তালা লাগা ও বমির ভাব হতে পারে। চুইংগাম চিবানো, ঘনঘন ঢোক গেলা, ফলের রস খাওয়া ইত্যাদি হতে পারে এর সমাধান। তবে যাঁদের শ্বাসকষ্ট, হূদ্যন্ত্রে সমস্যা, বুকে ব্যথা প্রভৃতি সমস্যা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো আরও জটিল হতে পারে। ঠান্ডা, সর্দি, নাক বন্ধ থাকলে বিমান ভ্রমণ অস্বস্তিকর হতে পারে। বেড়ে যেতে পারে সাইনাসের সংক্রমণ। তাই আগেভাগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শিশু সুস্থ থাকুক
ভ্রমণে শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। কোনোভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। গরম কাপড়, মাফলার, কানটুপি নিয়ে নেবেন।
-
Thanks for the post.
-
helpful post....
-
Thanks for sharing..
-
Helpful post. Thanks. :)