Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: abdussatter on August 13, 2014, 10:23:36 AM
-
ওজনটা বাড়ছে। নিজেই বুঝতে পারছেন, এবার রাশ টানা দরকার। আজ-কাল-পরশু করে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু আর করা হয়ে উঠছে না। সত্যি বলতে কি, দিন-তারিখ দেখে হয়ও না এগুলো। আজকেই শুরু করুন। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অফিস কিংবা ক্লাস শেষে হেঁটেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করুন। হেঁটেই ফিরতে হবে, এমন নয়। যতক্ষণ ভালো লাগে, ততক্ষণই হাঁটুন। আধঘণ্টা হাঁটতে পারলে সবচেয়ে ভালো।
প্রথমেই নিজের ওজন কমানোর ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিন। আপনার নিজের ভালোর জন্য এই সিদ্ধান্ত প্রথমে আপনাকেই নিতে হবে। তবে একলা চলো নীতিকে প্রাধান্য না দিয়ে ভালো বন্ধুর সহায়তা নিন। বন্ধু কিংবা ভালো সঙ্গী আপনার মানসিক জোর বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে। দুদিন যেতে না যেতেই আপনার ইচ্ছেতে ভাটা পড়লে তিনিই আপনাকে নতুন করে উদ্বুদ্ধ করবেন। তাই এমন মানুষ নির্বাচন করুন, যিনি আপনার সত্যিকারের শুভাকাঙ্ক্ষী। সবচেয়ে ভালো হয় দুজন কিংবা কয়েকজন মিলে একসঙ্গে ব্যায়াম করলে।
ওজন কমানোর জন্য আগেই জেনে নিতে হবে আপনার আদর্শ ওজন কত হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে জেনে নিন আদর্শ ওজনের চেয়ে কত বেশি আছে ওজন। জেনে নিন আপনার কোনো শারীরিক সমস্যা আছে কি না।
বিষয়গুলো সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে ভালোভাবে জেনে তারপর ওজন নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হোন। ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমেই মনোযোগী হতে হবে ব্যায়াম আর খাবারে। এমনটা পরামর্শ দিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ।
বাড়িতেই ব্যায়াম
আমরা প্রায় সব বেলাতেই নানা ধরনের খাবার খাই। এই খাবার শরীরকে সচল ও কর্মক্ষম রাখে। খাদ্য থেকে পাওয়া শক্তির সবটাই কিন্তু খরচ হয়ে যায় না। অতিরিক্ত অংশ শরীরে জমা হয়ে ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই প্রতিদিনই নিয়ম করে খানিকটা ব্যায়াম করতে হবে। তাতে শরীরের গঠনও ঠিক থাকবে, অন্যদিকে ওজন বাড়ার প্রবণতাও কমবে। ফিটনেস ওয়ার্ল্ড হেলথ ক্লাবের প্রশিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, পরিমিত খাবার আর নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ্ রাখতে পারে। বাড়িতে করা যায় এমন কিছু ব্যায়ামের পরামর্শও দিলেন প্রশিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান। ব্যায়ামের শুরুতেই খানিকটা দৌড়ে নিতে পারেন। শরীর উষ্ণ হলে অন্য ব্যায়ামে মনোযোগ দিন। বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে দুই হাত মাথার ওপরে সোজা রেখে আস্তে-ধীরে বসুন। এবার হাত দিয়ে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। হয়তো শুরুতেই আঙুল ছুঁতে পারবেন না, তবে চর্চা করতে থাকুন। তারপর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দুই হাত দুদিকে প্রসারিত করুন। পর্যায়ক্রমে ডান হাত দিয়ে বাঁ পায়ের আঙুল এবং বাঁ হাত দিয়ে ডান পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। দড়িলাফে নিয়মিত হোন। ওজন কমাতে এটি কার্যকর। প্রতিদিন একবার করে আপনি সময়মতো এই হালকা ব্যায়ামগুলো করুন।
খাবারে বাছবিচার
‘ওজন আমি কমাবই’ এমন সংকল্পের পর খাবারের ব্যাপারে একটু সচেতন হোন। বেশি তেলে ভাজা খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন। চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। মিষ্টিজাতীয় খাবারে ক্যালরি বেশি থাকে, তাই পরিমাণে অল্প খাওয়াই শ্রেয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কম তেলে রান্না খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন। শরীর ভালো থাকবে, রোগ-ব্যাধিও এড়ানো যাবে। সবশেষে বারেবারে খান, অল্প করে খান।
Source: Prothom-alo
-
Nice & informative post.
-
Good post.
-
nice. Thank you for sharing
-
আমার মনে হয় ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ।
-
should take advices from me ....
-
Thanks for sharing.
-
ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য...
-
এমন ভাল একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য স্যার-কে ধন্যবাদ ।
-
good post. very helpful for me.
-
Thank you for sharing
-
Interesting....
-
Excellent Post.