Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Faculty Forum => Topic started by: Shabnam Sakia on August 15, 2014, 10:54:04 PM
-
আমড়াঃ বৃক্ষগুলি ২০-৩০ ফুট উঁচু হয়, প্রতিটি যৌগিক পাতায় ৮-৯ জোড়া পত্রক থাকে পত্রদন্ড ৮-১২ ইঞ্চি লম্বা এবং পত্রকগুলো ২-৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। কাঁচা ফল টক বা টক মিষ্টি হয়, তবে পাকলে টকভাব কমে আসে এবং মিষ্টি হয়ে যায়। ফলের বীজ কাঁটাযুক্ত। ৫-৭ বছরেই গাছ ফল দেয়। এই ফল কাচা ও পাকা রান্না করে বা আচার বানিয়ে খাওয়া যায়। ফল, আগস্ট মাসে বাজারে আসে আর থাকে অক্টোবর পর্যন্ত। আমড়া কষ ও অম্ল স্বাদযুক্ত ফল। এতে প্রায় ৯০%-ই পানি, ৪-৫% কার্বোহাইড্রেট ও সামান্য প্রোটিন থাকে। ১০০ গ্রাম আমড়ায় ভিটামিন-সি পাওয়া যায় ২০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম, সামান্য ভিটামিন-বি, ক্যালসিয়াম ৩৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪ মিলিগ্রাম। আমড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ পেকটিনজাতীয় ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টজাতীয় উপাদান থাকে। আমড়া একটি ভিটামিন-সি-সমৃদ্ধ ফল (প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় ২০ মিলি গ্রাম পাওয়া যায়)। ইহা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ওজন কমাতে সহায়তা করে, রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টজাতীয় উপাদান থাকায় আমড়া বার্ধক্যকে প্রতিহত করে।
আমলকীঃ আমলকী গাছ ৮ থেকে ১৮ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট হতে পারে, পাতা ঝরা প্রকৃতির। হালকা সবুজ পাতা, যৌগিক পত্রের পত্রক ছোট, ১/২ ইঞ্চি লম্বা হয়। হালকা সবুজ স্ত্রী ও পুরুষফুল একই গাছে ধরে। ফল হালকা সবুজ বা হলুদ ও গোলাকৃতি ব্যাস ১/২ ইঞ্চির কম বেশি হয়। কাঠ অনুজ্জল লাল বা বাদামি লাল। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে ই দেখা যায়। গাছ ৪/৫ বছর বয়সে ফল দেয়। আগষ্ট - নভেম্বর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। বীজ দিয়ে আমলকির বংশবিস্তার হয়। বর্ষাকালে চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। আমলকির ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ দরকার। দিনে দুটো আমলকি খেলে এ পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে। স্কার্ভি বা দন্তরোগ সারাতে টাটকা আমলকি ফলের জুড়ি নেই। এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী। লিভার ও জন্ডিস রোগে উপকারী বলে আমলকি ফলটি বিবেচিত। আমলকি, হরিতকী ও বহেড়াকে একত্রে ত্রিফলা বলা হয়। এ তিনটি কনো ফল একত্রে রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা ছেঁকে খালি পেটে শরবত হিসেবে খেলে পেটের অসুখ ভালো হয়। বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিতে আমলকি ব্যবহার হয়। কাঁচা বা শুকনো আমলকি বেটে একটু মাখন মিশিয়ে মাথায় লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। কাঁচা আমলকি বেটে রস প্রতিদিন চুলে লাগিয়ে দুতিন ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এভাবে একমাস মাখলে চুলের গোড়া শক্ত, চুল উঠা এবং তাড়াতড়ি চুল পাকা বন্ধ হবে।
চালতাঃ চালতা ফল দিয়ে চাটনি ও আচার তৈরি হয়। এটি স্থানবিশেষে চালিতা, চাইলতে ইত্যাদি নামেও অভিহিত। গাছটি দেখতে সুন্দর বলে শোভাবর্ধক তরু হিসাবেও কখনো কখনো উদ্যানে লাগানো হয়ে থাকে। চালতা গাছ মাঝির আকারের চিরহরিৎ বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। এ গাছ উচ্চতায় ১৫ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। গাছের গায়ে লালচে রঙের চকচকে বাকল থাকে। পাতার কিনারা খাঁজ কাটা, শিরা উঁচু সমান্তরাল। চালতার সাদা রঙের ফুল দেখতে সুন্দর ; এটি সুগন্ধযুক্ত। ফুলের ব্যাস ১৫-১৮ সেন্টিমিটার। ফুলে পাঁচটি মোটা পাঁপড়ি থাকে ; বৃতিগুলো সেসব পাঁপড়িকে আঁকড়ে ঘিরে রাখে। বছরের মে-জুন মাসে ফুল ফোটার মৌসুম। ফল টক বলে চালতার আচার, চাটনি, টক ডাল অনেকের প্রিয় খাদ্য। পাকা ফল পিষে নিয়ে নুন-লংকা দিয়ে মাখালে তা বেশ লোভনীয় হয়। গ্রাম এলাকায় সাধারণত জঙ্গলে এ গাছ জন্মে ; কখনো কখনো দু’একটি গাছ বাড়ির উঠানে দেখা যায়। চালতা ফলের যে অংশ খাওয়া হয় তা আসলে ফুলের বৃতি। প্রকৃত ফল বৃতির আড়ালে লুকিয়ে থাকে। ফল বাঁকানো নলের মত ; ভিতরে চটচটে আঠার মধ্যে বীজ প্রোথিত থাকে। চালতা অপ্রকৃত ফল; মাংসল বৃতিই ভক্ষণযোগ্য।
করমচাঃ করমচা হল টক স্বাদের ছোট আকৃতির একটি ফল। ইংরেজিতে একে natal plum বলা হয়। Carissa গণভুক্ত কাঁটাময় গুল্মজাতীয় করমচা উদ্ভিদটি এশিয়া, আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে পাওয়া যায়। কাঁচা ফল সবুজ, পরিণত অবস্থায় যা ম্যাজেন্টা লাল-রং ধারন করে। অত্যন্ত টক স্বাদের এই ফলটি খাওয়া যায়, যদিও এর গাছ বিষাক্ত। করমচার ঝোপ দেখতে সুন্দর।
জামরুলঃ জামরুল আমাদের দেশের গ্রীষ্মকালীন ফল। দেখতে সুন্দর ও লোভনীয় হলেও খেতে তত সুস্বাদু নয়। জামরুল সাদা ও মেরুন বর্ণের হয়। এই ফল ডায়াবেটিক রোগীর জন্য খুব উপকারী। ফলটি রসাল ও হালকা মিষ্টি। পুষ্টিগুণ অন্য ফলের মতো স্বাভাবিক। এতে মোট খনিজ পদার্থের পরিমাণ কমলার তিন গুণ ও আম, আনারস ও তরমুজের সমান।
সফেদাঃ সফেদা ফল বড় উপবৃত্তাকার 'বেরি' জাতীয়। এর ব্যাস ৪-৮ সেমি হয়। দেখতে অনেকটা মসৃণ আলুর মত। এর ভেতরে ২-৫ টি বীজ থাকে। ভেতরের শাস হালকা হলুদ থেকে মেটে বাদামি রঙের হয়। বীজ কালো। সফেদা ফলে খুব বেশি কষ থাকে। এটি গাছ থেকে না পাড়লে সহজে পাকে না। পেড়ে ঘরে রেখে দিলে পেকে নরম ও খাবার উপযোগী হয়। সফেদা ফল বেশ মিষ্টি। কাঁচা ফল শক্ত এবং 'স্যাপোনিন' (saponin) সমৃদ্ধ। সফেদা গাছ উষ্ণ ও ক্রান্তীয় অঞ্চল ছাড়া বাঁচে না। শীতল আবহাওয়ায় সহজেই মরে যায়। সফেদা গাছে ফল আসতে ৫-৮ বছর লাগে। এতে বছরে দুইবার ফল আসতে পারে যদিও গাছে সারা বছর কিছু কিছু ফুল থাকে।
কামরাঙাঃ কামরাঙা বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফল। এর স্বাদ টক-মিষ্টি। কামরাঙা ও এর ঘনিষ্ট বিলিম্বি (Averrhoa bilimbi) সম্ভবত দক্ষিণ-পুর্ব এশিয়ায় ( মালয় উপদ্বীপ হতে ইন্দোনেশিয়া উৎপন্ন ) দেখা যায়। টক মিষ্টি এই ফলটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি ফল। আমাদের দেশে প্রচুর জন্মায় এই ফলটি। গ্রামাঞ্চলে কামরাঙ্গার ভর্তা একটি জিভে জল আনা খাদ্য।
-
Thanks for sharing..
-
:)
-
Thanks for sharing
-
Lot of information about the mouth watering Bangladeshi fruits.
-
Bahh!!!! besh bhalo to... :)
-
nice post ..............now I done a lot of tree plantation in my home.So it is necessary post for me.
-
Local or native trees also ensure bio-diversities. Nice post.
-
nice one....