Daffodil International University
Entertainment & Discussions => Life Style => Satire => Topic started by: imam.hasan on September 07, 2014, 12:45:56 PM
-
‘অশুভ শক্তির কুনজর থেকে নিজেকে ও সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে’ ভারতের ঝাড়খণ্ডে অষ্টাদশী এক তরুণীকে কুকুরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের পশ্চাৎপদ একটি উপজাতীয় গ্রামের শিরু নামে একটি বোবা কুকুরের সঙ্গে ম্যাংলি মুণ্ডা নামে ওই তরুণীর এ বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গ্রামের তরুণ-তরুণীদের অশুভ শক্তির কুনজর এবং ম্যাংলির পরিবার ও সম্প্রদায়কে অনভিপ্রেত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্যই মা-বাবার সম্মতিতে গ্রামের মোড়লরা এ বিয়ের আয়োজন করে।
বিয়ের আয়োজনে ‘হতভম্ব’ কুকুরটিকে কনের পিত্রালয়ে সাজিয়ে বরযাত্রী নিয়ে হই-হুল্লোড় করে নিয়ে এসেছেন কনের বাবাই।
কুকুরের সঙ্গে বিয়ের ব্যাপারে নিরক্ষর ম্যাংলি জানায়, এই বিয়েতে সে খুশি নয়। কিন্তু এ বিয়ে তার অদৃষ্টকে পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে। তাই সে এতে রাজি হয়েছে।
নিজের অদৃষ্ট নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ম্যাংলি আরও জানায়, গ্রামের মুরুব্বিরা বলেছেন, কুকুরকে বিয়ে করলে তার ওপর থেকে অশুভ নজর সরে যাবে এবং তা ওই কুকুরের উপর ভর করবে। এ কারণেই সে বিয়ে করেছে।
সাময়িকভাবে কুকুরকে বিয়ে করলেও অশুভ শক্তির ভর সরে যাওয়ার পর একজন মানুষকে বিয়ে করে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করার ইচ্ছে আছে বলেও জানায় অষ্টাদশী ওই তরুণী।
ম্যাংলির বাবা শ্রী অ্যামুণ্ডা বিয়েতে নিজের সম্মতির কথা জানিয়ে বলেন, গ্রামের গুরুজনরা বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি আমরা এ বিয়ে সম্পন্ন করতে পারবো, তত তাড়াতাড়ি আমরা নিশ্চিত অশুভ শক্তির খপ্পর ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবো।
ম্যাংলির বাবা বলেন, কপালের গেরো থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথই হচ্ছে মেয়েকে কুকুরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া।
আশ্চর্যজনক হলো, এই গ্রামে মেয়েদের কুকুরের সঙ্গে এটাই প্রথম কোনো বিয়ে নয়।
অ্যামুণ্ডা বলেন, আমাদের গ্রাম ছাড়াও প্রতিবেশী বেশ কয়েকটা গ্রামে এ ধরনের বিয়ে হয়েছে। যা এখন প্রথায় পরিণত হয়ে গেছে। এটা সবাই বিশ্বাস করে।
গ্রামের প্রথা অনুসারে, এই বিয়ে ম্যাংলির জীবনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। সে ওই কুকুরকে তালাক দেওয়া ছাড়াই যে কাউকে বিয়ে করতে পারবে।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যগত বাদ্যের তালে নৃত্য পরিবেশন করা হয়। এতে ৭০ আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও স্থানীয়রা অংশ নেয়।
ম্যাংলির মা শিমস দেবী বলেন, সাধারণত একজন বরকে আমরা যেভাবে সম্মান দিই। ঠিক সেভাবেই যাবতীয় রীতি-নীতি অনুসরণ করে কুকুরকে তা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, সাধারণ বিয়ের মতোই এই বিয়েতে টাকা-পয়সা খরচ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য থেকে পরিত্রাণ পেতে মেয়েকে কুকুরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
-
very sad incident .....