Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: mahzuba on September 17, 2014, 04:01:46 PM
-
ব্রণের সমস্যায় ভোগেননি বা ভুগছেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ছেলে মেয়ে উভয়েই ব্রণের সমস্যায় পড়তে পারেন যে কোনো কারণে। ব্রন যে কোনো ধরণের ত্বকেই হতে পারে। এই ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য কত কিছুই না করেন সবাই। কিন্তু কতটুকু কার্যকর হয় এত কিছু করা? কত ধরণের ক্রিম বা চিকিৎসা নেওয়া হয়, কত রূপচর্চা আর পার্লারে দৌড়া দৌড়িও হয়। কিন্তু আসলেই কি এই নাছোড়বান্দা ব্রণের পিছু ছাড়ানো যায়?
আচ্ছা, যদি ব্রণের সমস্যাকে নির্মূল করা যায় দেহের ভেতর থেকে, তাহলে কেমন হয়? খুব সহজেই দূর হবে ব্রণের উপদ্রব কিছু খাবারের মাধ্যমে। হ্যাঁ, প্রকৃতি তার অনেক কিছুর মাঝেই অনেক সমস্যার সমাধান রেখে দিয়েছে। দরকার শুধু এগুলোকে খুঁজে বের করা ও কাজে লাগানো।
আজ আপনাদের জন্য রইল ব্রণের সমস্যাকে চিরবিদায় জানানোর জন্য যে খাবারগুলো সাহায্য করবে তার একটি তালিকা। মৌসুম অনুযায়ী প্রতিদিন খাবার তালিকায় এই খাবারগুলো থেকে ব্রন সমস্যার সমাধান করুন সহজেই।
শসা : শসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ই, জল এবং অ্যামিনো অ্যাসিড। যা ত্বকে ব্রণের ব্যাকটেরিয়ার জন্ম প্রতিরোধ করে ব্রণের সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে। শসার জুস করেও খেতে পারেন। এতে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করবে।
তাজা সবুজ শাক : হজম ক্রিয়ায় সমস্যা বা বদহজম হলে ব্রণের উপদ্রব বাড়ে। তাই আমাদের খেতে হবে হজমে সাহায্যকারী সবুজ শাক যেমন, লেটুস, পালংশাক, বাঁধাকপি, ডাটা শাক ইত্যাদি। এই সবুজ শাক হজমের ক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং ব্রণের সমস্যার সমাধান করে।
কাঁচা রসুন : গন্ধের জন্য কাঁচা রসুন কেউ খেতে চান না। কিন্তু কাঁচা রসুনে যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে তা রক্ত শোধনে কাজ করে ও দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে। ফলে ব্রণের আক্রমণ থেকে রক্ষা পায় ত্বক। দিনে অন্তত ১ কোয়া কাঁচা রসুন খাবার অভ্যাস করুন।
টমেটো : টমেটোতে বিদ্যমান প্রচুর পরিমাণে সি যা ব্রণের সমস্যার সমাধানে কাজ করে। এছাড়াও টমেটোর বায়োফ্লেভানয়েডস ক্ষতিগ্রস্থ ত্বকের কোষ সুস্থ করে। এতে করে ত্বকে ব্রণের জন্য সৃষ্ট ক্ষতের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।
গ্রিন টী : চা/ কফি আমরা প্রতিদিনই পান করি একটি রিফ্রেসিং এবং এনার্জি ড্রিংক হিসেবে। কিন্তু ব্রণ দূর করতে চাইলে প্রতিদিন চা/ কফি পান করার অভ্যাস বদলে গ্রিন টী পান করার অভ্যাস করুন। গ্রিন টী দেহের টক্সিক পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে।
অলিভ অয়েল : খাবারে আমরা বেশিরভাগ সময়ই সয়াবিন তেল ব্যাবহার করি। মাঝে মাঝে সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সয়াবিন ও সরিষার তেল ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী। আজ থেকে যতটা সম্ভব সয়াবিন ও সরিষার তেল এড়িয়ে চলুন। খাবারে ব্যবহার করুন অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েল দেহে খুব সহজে হজম হয় এবং ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে সাহায্য করে। এর সাথে সাথেই ব্রণের সমস্যারও সমাধান করে অলিভ অয়েল।
-
thanks for this post.