Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: mamun.113 on September 29, 2014, 03:54:23 PM
-
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী হাজারো আন্দোলনকারী পুলিশের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস উপেক্ষা করে রাজপথে অবস্থান করছেন। বিক্ষোভের কারণে হংকংয়ের যোগাযোগব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। রাজনৈতিক সংস্কার তথা পুরোপুরি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিক্ষার্থীসহ হংকংয়ের সর্বস্তরের মানুষ এই আন্দোলন করছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বিক্ষোভকারীদের হটাতে আজ সোমবারও তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে হংকংয়ের দাঙ্গা পুলিশ। তবে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের হামলা ও সরে যাওয়ার আহ্বান উপেক্ষা করে রাজপথে রয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের হটাতে রাতভর একই ধরনের চেষ্টা চালিয়েছে পুলিশ। তারা বিক্ষোভকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে আন্দোলনকারীদের ঘরে ফিরে যেতে বলেছে। তবে বিক্ষোভকারীরা এই আহ্বান গায়ে মাখেননি। রাতভর তারা সরকারি দপ্তরের বাইরে অবস্থান করেছেন। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড় বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় হংকংয়ের যোগাযোগব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবহন বিভাগ জানিয়েছে, দুই শতাধিক বাস চলাচলের পথ বন্ধ করা হয়েছে বা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ শিক্ষা ব্যুরো জানিয়েছে, যেসব এলাকায় বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছেন, সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
বিক্ষোভের কারণে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। অনেক ব্যাংক তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। হংকংয়ের বাণিজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৭টি ব্যাংক তাদের ২৯টি শাখা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল রোববার তারা ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর আগের দিন গ্রেপ্তার করেছে ৭০ জনকে।
রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে সপ্তাহব্যাপী আন্দোলনের পর গতকাল গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীরা হংকংয়ের সরকারি দপ্তরের বাইরে অবস্থান নেন। কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
চীনের অধীন আধা স্বায়ত্তশাসিত এ ভূখণ্ডে নতুন নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেইজিংয়ের বিধিনিষেধ বাতিল করার দাবিতে গণতন্ত্রপন্থীরা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নতুন করে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন।
হংকংয়ের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিওয়াই লিউং আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি ‘অবৈধ’ বিক্ষোভে অংশ না নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে নির্ধারিত সময়েই হংকংয়ের নতুন প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তার নির্বাচন হবে।
-
Thanks for this post.