Daffodil International University
Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Allah: My belief => Topic started by: Md. Zakaria Khan on September 16, 2010, 12:16:27 PM
-
বিশ্বনবী (সাঃ) আল্লাহর এবাদতের প্রতি এত বেশী অনুরক্ত ছিলেন যে কখনও কখনও তিনি এবাদতে আত্মহারা হয়ে যেতেন এবং অত্যধিক নামাজ আদায় করতে গিয়ে তাঁর পবিত্র পা-যুগল ফুলে যেতো ৷ পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাঁর এই অত্যধিক এবাদতের প্রশংসা করে বলেছেন, নিজেকে এভাবে কষ্ট দেয়ার জন্যে আমরা কোরআন নাজেল করিনি৷ পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহর সর্বশেষ রাসূল (সাঃ)কে বিভিন্ন অপবাদ ও তাঁর নিন্দার মোকাবেলা করে এবং তাঁর পবিত্রতার সাক্ষ্য দিয়েছে৷ সেই সূদূর অতীতকাল থেকে ইসলাম ও সত্য বিরোধী মহল বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)'র আলোকোজ্জ্বল চরিত্রকে কালিমালিপ্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে এসেছে যাতে বিশ্বের মানুষের কাছে তাঁর ও ইসলাম ধর্মের নজিরবিহীন প্রভাব ক্ষুন্ন বাধাগ্রস্ত করা যায়৷ কিন্তু মহান আল্লাহ তাদের বিরোধীতার জবাব দিয়েছেন৷ যেমন, ইসলাম বিরোধী কোনো কোনো মহল বলে, নবী (মুহাম্মাদ-সাঃ) যা বলেছেন তা জ্ঞানীদের কাছ থেকে শিখেছেন অথবা নিজের মন থেকে বানিয়ে বলেছেন বা নিজের খেয়ালী প্রবৃত্তি থেকে সেগুলো বলেছেন৷ কিন্তু পবিত্র কোরআন সূরা নজমে এসব ভিত্তিহীন দাবীর জবাব নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, সে কখনও মনগড়া কথা বলে না৷ কোরআন তো ওহী বা প্রত্যাদেশ যা তার ওপর নাজেল হয়েছে৷ তাকে শিখিয়েছেন বিরাট শক্তিমান৷
ইসলামের কোনো কোনো শত্রু রাসূল (সাঃ)কে কবি বলে অভিহিত করেছে৷ পবিত্র কোরআনের সূরা ইয়াসিনের ৬৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ এর জবাবে বলেছেন, আমরা কখনও তাকে কবিতা শিক্ষা দেইনি৷ তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়৷ এতো এক উপদেশ ও সুস্পষ্ট কোরআন৷ বিশ্বনবীকে কেউ কেউ যাদুকর, গনক বা অপ্রকৃতস্হ বলে যেসব অপবাদ দিয়েছে পবিত্র কোরআনের অন্য আয়াতে আল্লাহ তার যুক্তিগ্রাহ্য ও শক্ত জবাব দিয়েছেন এবং তিনি সঠিক সরল পথে আছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন৷
একবার রাসূল (সাঃ)'র কোনো এক স্ত্রীর কাছে কোনো এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেন যে নূরনবী (সাঃ)'র চরিত্র কেমন ছিল? উত্তরে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, তুমি কি কোরআন পড়েছ? ঐ ব্যক্তি জবাব দিল, হ্যা পড়েছি৷ তখন রাসূল (সাঃ)'র স্ত্রী বললেন, তিনি নিজেই তো কোরআন৷ নূরনবী (সাঃ)'র জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তাঁর আচার আচরণ ও কর্মতৎপরতা ছিল পবিত্র কোরআনের উচ্চতর শিক্ষার জীবন্ত নমুনা৷ পবিত্র কোরআনের ভাষায় বিশ্বনবী (সাঃ) ছিলেন গোটা মানব জাতির জন্যে সতর্ককারী, যেমনটি পবিত্র কোরআন নিজেই সতর্ককারী৷ পবিত্র কোরআন মানুষের জন্যে রহমত বা আল্লাহর মহাঅনুগ্রহ, তেমনি নূরনবী (সাঃ)ও পবিত্র কোরআনের মতো মানুষকে অজ্ঞতার অাঁধার থেকে মুক্ত করে তাদের জন্যে রহমত হিসেবে নিয়োজিত হয়েছেন৷ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বিশ্বনবী (সাঃ)কে সিরাজুম মুনিরা বা প্রদীপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন৷ অথচ এখানে অন্য কোনো উপমা যেমন সূর্য বা নক্ষত্র বলা যেতো৷ কিন্তু তা না বলে তাঁকে প্রদীপ বলা হয়েছে৷ এর তাৎপর্য সম্ভবতঃ এটাই যে এক প্রদীপের আলো থেকে লক্ষ কোটি প্রদীপ বা বাতি জ্বালানো যায়৷ হেদায়াতের আলো এভাবে বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে বলে বিশ্বনবী (সাঃ)কে মহান আল্লাহ এই বিশেষ অভিধায় অভিহিত করে তাঁর উচ্চতম মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়েছেন৷
নূরনবী মোস্তফা (সাঃ)
মানব জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)'র জীবন সেই শৈশব থেকে ওফাত পর্যন্ত মোজেজা বা মহাবিস্ময়কর অনেক ঘটনায় ভরপূর ছিল৷ আমরা জানি মোজেজা বা অলৌকিক ঘটনা সাধারণ মানুষ বা সাধারণ কার্য-কারণ বা চালিকা শক্তির মাধ্যমে ঘটানো সম্ভব নয়৷ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)'র জীবনের অলৌকিক অথচ সন্দেহাতীত ঘটনাগুলো থেকে প্রমাণিত হয় যে তিনি মহান আল্লাহর পরম প্রিয়পাত্র এবং তাঁরই মনোনীত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব ৷
মোজেজা বা অলৌকিক ঘটনা সব নবী-রাসূলের জীবনেই ঘটেছে৷ কারণ প্রত্যেক নবী ও রাসূলের সাথে আল্লাহর যোগাযোগ ছিল৷ অন্য কথায় নবী-রাসূলগণ আল্লাহর কাছ থেকে বাণী ও দিকনির্দেশনা লাভ করতেন৷ তাঁরা নবুওত বা রেসালাতের বিষয়টি প্রমাণের জন্যে প্রয়োজনে যুক্তির পাশাপাশি মোজেজা বা অলৌকিক ঘটনাও ঘটাতেন৷ মোজেজা আল্লাহর নির্দেশেই ঘটতো এবং এ ধরনের ক্ষমতা আল্লাহ-প্রদত্ত ক্ষমতারই নিদর্শন৷ পবিত্র কোরআনে হযরত মূসা ও হযরত ঈসা (আঃ)'র মো'জেজাসহ অতীতের অনেক নবীর মো'জেজার কথা বলা হয়েছে৷ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)ও তাঁর পূর্ববর্তী নবীগণের মো'জেজার বা অলৌকিক ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন৷
বিশ্বমানবতার মুক্তির মহাকান্ডারী ও একত্ববাদের বিজয়-গাঁথার সর্বশ্রেষ্ঠ নিশানবরদার রাসূলে পাক (সাঃ)ও অনেক মো'জজা দেখিয়েছেন৷ পবিত্র কোরআন তাঁর সর্বত্তোম মো'জেজা এবং তাঁর রেসালাত ইসলাম ধর্মের সত্যতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ৷ এ মহাগ্রন্থ খোদায়ী নিদর্শন ও জ্ঞানে পরিপূর্ণ৷ তাই পবিত্র কোরআন চিরন্তন ও অবিনশ্বর৷ কোরআনের বাণী নির্দিষ্ট স্থান, জাতি ও কালের গন্ডীতে সিমীত নয়৷ এর বাণী, বিষয় ও শিক্ষা সব সময়ই নতুন, হৃদয়স্পর্শী ও স্পষ্ট এবং মানব জীবনের সর্বোত্তম দিশারী৷ মহান আল্লাহই এ মহাগ্রন্থের রচয়িতা বলে কোরআনের বাণীর মতো বাণী আর কেউই সৃষ্টি করতে সক্ষম নয়৷ কিন্তু পবিত্র কোরআনের বাণী এত আকর্ষণীয় ও অলৌকিক হওয়া সত্ত্বেও অজুহাতকামী ও একগুঁয়ে শ্রেণীর লোকেরা বিশ্বনবী (সাঃ)'র আহবানে সাড়া দেয় নি, বরং তারা রাসূলে পাক (সাঃ)কে যাদুকর বলে অপবাদ দিয়েছে৷ তারা বলতো কেবল বাহ্যিক কিছু অলৌকিক ঘটনা দেখালেই আমরা আপনাকে নবী হিসেবে মেনে নেব৷ পবিত্র কোরআনেই অযৌক্তিক ঐসব দাবী সম্পর্কে বলা হয়েছে, আমরা অবশ্যই এ কোরআনে মানুষের জন্যে সব কিছুর নিদর্শন বর্ণনা করেছি৷ কিন্তু অধিকাংশ মানুষই অবিশ্বাস করেছে৷ তারা বলেছে, আমরা কখনও তোমাকে নবী বলে বিশ্বাস করবো না যদি না তুমি শুস্ক প্রান্তরে ঝর্ণা প্রবাহিত কর, অথবা তোমার জন্যে থাকুক খেজুর ও আঙুরের বাগান যাতে তুমি ঝরণারাজি উৎসারিত করে বইয়ে দেবে, অথবা আকাশকে খন্ড-বিখন্ড করে আমাদের ওপর নামাবে যেভাবে তুমি ইচেছ কর, কিংবা তুমি আল্লাহ ও ফেরেশতাগণকে সরাসরি আমাদের সামনে হাজির কর৷ অথবা স্বর্ণখচিত একটি ঘর বা বাড়ি তোমার জন্যে নিয়ে আস, কিংবা আকাশের দিকে উড়ে যাও৷ আকাশে বা উধর্বলোকে তোমার আরোহনকে আমরা কখনও বিশ্বাস করবো না যতক্ষণ না তুমি আকাশ থেকে একটি চিঠি বা বই আমাদের জন্যে নামিয়ে আনবে যা আমরা পড়তে পারি৷ আর কেবল তা পারলেই আমরা তোমাকে নবী বলে মনে করবো৷ হে রাসূল! আপনি বলুন, সকল মহিমা আমার প্রভুর, আমি কি একজন মানুষ ও আল্লাহর রাসূল ছাড়া অন্য কিছু?
পবিত্র কোরআন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)'র অতুলনীয় ব্যক্তিত্বের সমর্থনে বক্তব্য রেখেছে এবং তাঁর সম্পর্কে যাদুকর বা অপ্রকিতস্থ হবার অপবাদ খন্ডন করেছে৷ পবিত্র কোরআন বিশ্বনবী (সাঃ)'র কয়েকটি মো'জেজা বা অলৌকিক ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছে৷ উধর্বলোকে তাঁর সফর বা মেরাজ গমন এমনই একটি মোজেজা৷ কোনো এক রাতে রাসূলে পাক (সাঃ) আল আকসা মসজিদ থেকে উধর্বজগতে আরোহন করে বেহেশত ও দোযখসহ সমস্ত বিশ্ব জগত ভ্রমণ করেন৷ এ সংক্ষিপ্ত অথচ অলৌকিক সফরে অতীতের নবীগণের সাথে তাঁর সাক্ষাৎসহ অনেক বিস্ময়কর ব্যাপার ঘটেছে এবং তিনি অনেক বিস্ময়কর বিষয় প্রত্যক্ষ করেন৷ আমাদের এই ধারাবাহিক আলোচনার একটি অনুষ্ঠানে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ পবিত্র কোরআনে বিশ্বনবী (সাঃ)'র অন্য যেসব মো'জেজার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেসবের মধ্যে চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করার ঘটনা অন্যতম৷
আবুজেহেল ও ওয়ালিদ বিন মুগিরাহসহ মক্কার কোরাইশ ও মুশরিকদের একদল নেতা একবার বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)'র কাছে আসেন৷ সে সময় রাতের বেলায় পূর্ণ চাঁদ দেখা যাচিছল৷ ওরা রাসূলে পাক (সাঃ)কে বললো, তোমার নবুওতের দাবী যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে এই চাঁদকে দ্বিখন্ডিত হতে বল৷ রাসূলে খোদা (সাঃ) বললেন, এ কাজ করলে কি তোমরা ঈমান আনবে? তারা বললো হ্যা৷ রাসূল (সাঃ) আল্লাহর কাছে এ মো'জেজা ঘটানোর প্রার্থনা করেন৷ হঠাৎ সবাই দেখলো, চাঁদ এত স্পষ্টভাবে দুই খন্ড হয়ে গেছে যে দ্বিখন্ডিত চাঁদের মাঝখানে হেরা পর্বত দেখা যাচেছ৷ এরপর দ্বিখন্ডিত চাঁদ আবার জোড়া লেগে যায় এবং তা পূর্ণ চাঁদে পরিণত হয়৷ এ সময় রাসূলে পাক (সাঃ) বলছিলেন, সাক্ষী থাক ও দেখ৷ মুশরিকরা তো এই অসাধারণ দৃশ্য দেখে বিস্ময়ে হতবাক! কিন্তু তাদের কেউ কেউ ঈমান না এনে বললো, মুহাম্মাদ আমাদেরকে যাদু করেছে৷ পবিত্র কোরআনে এ ঘটনা সম্পর্কে বলা হয়েছে, সেই সময় বা কিয়ামত সমাগত এবং চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়েছে৷ আর যখন ওরা কোনো নিদর্শন বা মো'জেজা দেখেছে তখন ওরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে৷ ওরা বলে, এ এক চিরাচরিত যাদু৷ ফাখরে রাজী তাফসীরে মাফাতিহুল গাইবে সূরা ক্বামারের তাফসীরে লিখেছেন, সমস্ত তাফসীরকার এ ব্যাপারে একমত যে চাঁদে ফাটল বা ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিল এবং গোটা চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিল৷ এ ঘটনা সম্পর্কে হাদীসের প্রায় বিশটি বর্ণনা রয়েছে এবং এ ঘটনার সত্যতার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই৷ এবার আমীরুল মুমিনিন হযরত আলী (আঃ) ও ওয়ারাকা বিন নওফেলের মাধ্যমে বর্ণিত বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)'র এক মো'জেজার বর্ণনা দেব৷ আমীরুল মুমিনিন হযরত আলী (আঃ) বলেছেন, একদিন আমি রাসূলে পাক (সাঃ)'র সাথে থাকা অবস্থায় কোরাইশ গোত্রের একদল লোক তাঁর কাছে এসে বললো, হে মুহাম্মাদ, তুমি বেশ বড় মাপের দাবী করছ৷ এ ধরনের দাবী তোমার পূর্বপুরুষ ও আত্মীয়-স্বজন কখনও করেনি৷ তুমি যদি আমাদের একটি বিশেষ দাবী পূরণ করতে পার তাহলে আমরা তোমার রেসালাতে বিশ্বাস করবো৷ আর তুমি তা না পারলে তোমাকে স্রেফ যাদুকর ও মিথ্যাবাদী ছাড়া অন্য কিছু মনে করবো না৷ রাসূলে আকরাম (সাঃ) বললেন, তোমরা কি চাও? ওরা বললো, আমরা চাই তোমার নির্দেশে এই গাছটি যেন শেকড়সহ মাটি থেকে উঠে তোমার কাছে চলে আসে৷ রাসূলে পাক (সাঃ) বললেন, মহান আল্লাহ সর্বশক্তিমান৷ তিনি তোমাদের এ দাবী পূরণ করলে তোমরা কি ঈমান আনবে এবং সত্যের সাক্ষ্য দেবে? ওরা বললো, হ্যা৷ রাসূলে খোদা (সাঃ) বললেন, তোমাদের দাবী পূরণ করবো, তবে আমি জানি যে তোমরা ঈমান আনবে না৷ এরপর তিনি ঐ গাছকে সম্বোধন করে বললেন, যদি আল্লাহ ও বিচার বা পুণরুত্থান দিবসে বিশ্বাস কর এবং আমাকে আল্লাহর রাসূল বলে মনে কর তাহলে আল্লাহর নির্দেশে আমার কাছে চলে আস৷ হযরত আলী (আঃ) আরো বলেন, আল্লাহর কসম, গাছটি শেকড়সহ মাটি থেকে উঠে রাসূল (সাঃ)'র দিকে এগুতে লাগলো৷ এ সময় পাখীদের উড়াল দেয়া বা পাখা ঝাপটানোর শব্দের মতো শব্দ শোনা গেল৷ গাছটি রাসূলে করিম (সাঃ)'র সামনে এসে থেমে যায় এবং গাছটি তার কিছু শাখা-প্রশাখা তাঁর পবিত্র মাথার ওপর মেলে দেয় এবং কিছু শাখা আমার কাঁধের ওপর ছড়িয়ে দেয়৷ আমি রাসূলে খোদা (সাঃ)'র ডান পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম৷ কোরাইশরা এ ঘটনা দেখার পরও ঔদ্বত্য দেখিয়ে বললো, এই গাছকে বল তার অর্ধেক যেন তোমার কাছে আসে এবং অর্ধেক নিজ অবস্থানে থেকে যায়৷ রাসূলে(সাঃ)'র নির্দেশে তাও বাস্তবায়িত হয়৷
এরপরও ঐ কুরাইশরা বললো, গাছের যে অর্ধেক তোমার কাছে এসেছে তা তার বাকী অর্ধেকের কাছে ফিরে গিয়ে আবার পরিপূর্ণ গাছে পরিণত হোক৷ রাসূল (সাঃ)'র নির্দেশে গাছটি আবার পরিপূর্ণ হল৷ আমীরুল মুমিনিন আলী (আঃ) বলেন, এ ঘটনার পর আমি বললাম, এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো খোদা বা প্রভু নেই, হে প্রিয় রাসূল৷ আমিই প্রথম আপনার প্রতি ঈমান এনেছি এবং আমি সাক্ষ্য দিচিছ যে এই গাছের যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তা আল্লাহর নির্দেশে হয়েছে এবং আপনি যে আল্লাহর রাসূল তা প্রমাণের জন্যেই ঘটেছে৷ কিন্তু কোরাইশ লোকগুলো বললো, তুমি তো বিস্ময়কর যাদুকর ও মিথ্যাবাদী৷ এরকম লোক (হযরত আলী আঃ) ছাড়া আর কেউ কি তোমাকে আল্লাহর রাসূল মনে করে? নবী-রাসূলগণের দাওয়াত বা সত্যের আহবান অস্বীকার বা উপেক্ষার ঘটনা শুধু অতীতকালেই সিমীত থাকে নি৷ এখনও অনেক লোক খোদায়ী বাস্তবতা বা সত্যকে বুঝতে অক্ষম৷ আজও এক শ্রেণীর দাম্ভিক ও স্বার্থান্ধ লোক নবী-রাসূলগণকে যাদুকর বলে অপবাদ দেয়৷ তারা এটা বোঝে না যে নবী-রাসূলগণ বাহানাবাজদের কথামত চলেন না৷ নবী-রাসূলগণ দর্শকদের জন্যে বিস্ময়কর কিছু দেখাতে অভ্যস্ত গাঁজাখোরি গল্পের অভিনেতা বা ভেলকীবাজ নন৷ বরং তাঁরা মহান ও এক আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্যে প্রাণ-সঞ্চারী ও জরুরী বার্তা প্রচারের জন্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন ৷ মানুষকে সুপথ দেখানো ও তাদের মুক্তি বা কল্যাণের ব্যবস্থা করাই ছিল নবী-রাসূলগণের মিশনের উদ্দেশ্য ৷
নূরনবী মোস্তফা (সাঃ)
বিশ্বের সমস্ত মুসলমান এ ব্যাপারে একমত যে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল এবং ইসলামী বিধান বা শরিয়ত খোদায়ী ধর্মগুলোর মধ্যে পরিপূর্ণতম৷ রাসূল (সাঃ) যে সর্বশেষ নবী এ বিশ্বাস ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক বিশ্বাসগুলোর মধ্যে অন্যতম৷ এই বিশ্বাসের সপক্ষে পবিত্র কোরআন ও হাদীসে অনেক স্পষ্ট দলীল-প্রমাণ রয়েছে৷ এ ছাড়াও ইসলামী বিধি-বিধানের প্রকৃতি থেকেও ইসলামী বিধানের স্থায়ীত্ব ও সার্বজনীনতা স্পষ্ট৷ (বাজনা) পবিত্র কোরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)'র পর আর কোনো নবী আসবেন না৷সূরা আহযাবের ৪০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, মুহাম্মাদ তোমাদের মধ্যকার কোনো পুরুষের পিতা নয়, কিন্তু তিনি আল্লাহর রাসূল এবং সর্বশেষ নবী৷ আল্লাহ সবকিছু সম্পর্কে অবহিত৷
অন্যদিকে পবিত্র কোরআনের আয়াতে ইসলামকে চিরন্তন ও সর্বজনীন ধর্ম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে৷ ইসলামের বিধানও কোনো স্থান বা সময়সীমার গন্ডীতে সিমীত নয়৷ যেমন, সূরা ফোরক্বানের এক নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, কত মহান তিনি যিনি তাঁর দাসের প্রতি ফোরকান (কোরআন) নাজিল করেছেন, যাতে সে বিশ্বজগতের জন্যে সতর্ককারী হতে পারে৷
মহান আল্লাহ নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন মানুষকে শির্ক বা অংশীবাদিতা থেকে একত্ববাদ এবং অজ্ঞতা থেকে বুদ্ধিবৃত্তি ও কল্যাণকর বা সৌভাগ্যময় জীবনের দিকে আহবান জানাতে৷ যুগে যুগে মানুষের চাহিদার পরিবর্তন ঘটায় ধর্ম-বিধান পরিবর্তিত হয়েছে এবং প্রত্যেক যুগেই মানব &
-
Nice Post. It touches my heart. I didn't know the full story before. Thank you.
-
ধন্যবাদ, অনেক কিছু জানলাম। ভবিষ্যতে আরো এ ধরনের পোষ্ট চাই আপনার কাছ থেকে।
-
many many thanks for posting such an important information.
-
Mohammad (SA) is a greatest person in the world..We should follow him ....
-
Thanks for the posting. Muhammad (SA) is a great person in this world. If we want to be successful in this world and hereafter we must follow him as an ideal model.
-
Who created this poll? Muslims should be recognized as only muslims; not sia or sunni or hanafi or shafi
-
One simple AYAT of the GLORIOUS QURAN about RASULALLAH(S.M) that touches my heart and very finely describes the great person's characteristics and that is,
BISMILLAH HIR RAHMANIR RAHIM "TRUTH HAS ARRIVED AND FALSEHOOD HAS PERISHED, FOR FALSEHOOD IS BY ITS NATURE BOUND TO PERISH"-17:81...
Now my request to the authority is to provide a common religious thread in the forum, so that the students can exchange their religious views and know about respective religions.