Daffodil International University
Health Tips => Food => Topic started by: taslima on October 14, 2014, 04:13:39 PM
-
বাড়তি ওজন শরীরের জন্য ভালো নয়। সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য সব দিক দিয়েই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাই বলে ওজন কমাতে না খেয়ে থাকা নয়। তবে খাওয়াটা হবে হিসাব করে, পরিমাণমতো আর নিয়ম করে না খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যেসব খাবার নিয়ন্ত্রিতভাবে খেলে ওজন বাড়ে না, সে রকম একটি খাদ্যতালিকা দেওয়া হলো-
সকাল
হাতে বানানো আটার রুটি ২টি, কুসুম ছাড়া ডিম ১টি ও অল্প তেলে রান্না করা এক বাটি সবজি খেতে পারেন। এই খাবারগুলো শরীরে শক্তি জোগাবে ঠিকই, কিন্তু মেদ জমবে না।
মধ্য সকাল
যেকোনো একটি ফল। সে ক্ষেত্রে টক ফল খেতে পারেন।
দুপুর
দুপুরে পরিমাণমতো ভাত, এক টুকরো মাছ, এক বাটি পাতলা ডাল আর সবজি রাখুন। বেশি পরিমাণে ভাত খাওয়া ঠিক হবে না। ওজন কমাতে চাইলে ভাত কমিয়ে দিন। অনেকটা সবজি দিয়ে অল্প ভাত খান। মাছ বেশি খাওয়া যাবে। কারণ এর প্রোটিন শরীরের জন্য খুব দরকারি।
বিকেল
মুড়ি বা দুটি বিস্কুট খান। এতে ওজন বাড়বে না আবার খিদেও মিটবে।
রাত
রাতে দুটি রুটি খেতে পারেন, সঙ্গে মাছ। মাঝেমধ্যে এক বা দুই টুকরো মুরগির মাংস। পেট না ভরলে এক বাটি সালাদ খেতে পারেন।
যেসব খাবারে ওজন কমে
কাঠবাদাম
কাঠবাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল আছে, এক মুঠো কাঠবাদাম সারা দিন শরীরে এনার্জি সরবরাহ করে। কাঠবাদামের ফাইবার ক্ষুধা কমায়। সকালে এক মুঠো কাঠবাদাম খান। তবে লবণ দিয়ে কাঠবাদাম খাওয়া বাদ দিন।
ডিমের সাদা অংশ
অনেকেই মনে করেন, ডিম খেলে ওজন বাড়ে। কথাটি পুরোপুরি ঠিক নয়। ওজন কমাতে চাইলে ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে খেতে হবে। সকালে একটি বা দুটি ডিমের সাদা অংশ খেলে অনেকটা সময় ধরে ক্ষুধা পাবে না। ডিম প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। যাঁরা ডায়েট করেন, তাঁরা সকালের নাশতায় একটি ডিম খান। সারা দিন কাজ করার এনার্জি পাবেন।
আপেল
ওজন কমাতে আপেল অনেক বেশি কার্যকর। একটি আপেলে চার থেকে পাঁচ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা ক্ষুধা কমায় এবং শরীরে জমে থাকা ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
দারুচিনি
খাবারে চিনির বদলে দারুচিনি গুঁড়া দিয়ে দিন। খাবারে ভিন্ন স্বাদ যোগ করার পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
ক্যাপসিকাম
ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি। এই ভিটামিন-সি খুব সহজে ও দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করে। লাল, হলুদ বা সবুজ যেকোনো রঙের ক্যাপসিকাম রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া সালাদেও ক্যাপসিকাম খেতে পারেন। ওজন কমাতে বেশ সাহায্য করবে।
ওটস
সকালের নাশতায় এক বাটি ওটস খেলে ওজন দ্রুত কমে যাবে। কারণ এতে প্রচুর ফাইবার রয়েছে।