Daffodil International University

Faculty of Engineering => EEE => Topic started by: Kazi Taufiqur Rahman on October 15, 2014, 04:00:43 PM

Title: সাফল্য নিয়ে তরুণদের যা বললেন গুগলপ্রধান
Post by: Kazi Taufiqur Rahman on October 15, 2014, 04:00:43 PM
সবচেয়ে ভালো ডিগ্রি নিয়ে চাকরির বাজারে ঢোকাটাও আজকাল আর পেশাগত সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তাই পেশাগত সাফল্যের জাদুর কাঠি স্পর্শ করতে তরুণ পেশাজীবীদের আগ্রহের অন্ত নেই। কিন্তু যদি এ বিষয়ে গুগল চেয়ারম্যান এরিক স্মিডের মতো মহারথীর দিক নির্দেশনা পাওয়া যায় তাহলে! সত্যিই পেশাজীবনে সাফল্যের সঙ্গে পথ চলার জন্য তরুণ পেশাজীবীদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে এরিক স্মিডের ক্যারিয়ার পরামর্শের সারসংক্ষেপ এখানে তুলে ধরা হলো।

‘ব্যবসাক্ষেত্রে, বিশেষ করে প্রযুক্তি জগতের নিয়মটাই এমন যে, আপনি যে কাজ করেন, সেই কাজে দক্ষতাই যথেষ্ট নয়, বরং ওই অথৈ সাগরের একটা না একটা ঢেউয়ে আপনাকে চড়ে বসতে হবে এবং ওই ঢেউয়ে চেপেই পৌঁছাতে হবে তীরে।’ এভাবেই পেশাজীবনে সাফল্য পাওয়া যায় বলে মনে করেন গুগলের চেয়ারম্যান এরিক স্মিড এবং গুগলের পণ্য বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাথন রোজেনবার্গ। ‘গুগল কীভাবে কাজ করে’ শিরোনামে তাদের নতুন বইয়ে তাঁরা এমনটাই জানিয়েছেন। ওই বইয়ে তরুণ পেশজীবীদের উদ্দেশে তাদের পরামর্শের সারসংক্ষেপ—

চাকরি একটা ঢেউয়ে চড়ার মতো
‘ভাবুন যে আপনি সাগরে সার্ফিং করছেন। আপনার পেশাগত ক্ষেত্রটা হলো ওই সাগর, যেখানে আপনি সার্ফিং করছেন। আর আপনি যে কোম্পানিতে চাকরি করছেন, সেটা হলো ওই ঢেউ যাতে আপনি চড়ে বসেছেন। আপনি সব সময়ই সবচেয়ে বড় ঢেউটাতে চড়েই তো তীরে যেতে চান।’ চাকরির বিষয়টাকে এভাবে ব্যাখ্যা করে তাঁরা বলছেন, সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগ হতে পারে দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং রূপান্তরিত হচ্ছে এমন একটা ইন্ডাস্ট্রিতে বিশেষ কোনো ক্ষেত্রের দক্ষতা অর্জন করা।

‘চাকরি একটা ঢেউয়ে চড়ার মতো’। ছবি: এএফপিএমন কোম্পানিতে যান যেগুলো প্রযুক্তি বোঝে
আপনি হয়তো সিলিকন ভ্যালিতে কাজ করতে যাবেন না! তাতে ​কি। এমন একটা কোম্পানির সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করুন, যেগুলো প্রযুক্তি বোঝে এবং প্রযুক্তির গতিপ্রকৃতিতে তাদের ব্যবসাক্ষেত্রের সম্ভাব্য প্রভাবগুলো আঁচ করতে পারে। কেননা এ ধরনের কোম্পানিই দ্রুত বিকাশমান এবং বাকিগুলো হয় পিছিয়ে পড়ছে নয় হারিয়ে যাচ্ছে।

একটা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করুন
আপনি কি জানেন আগামী ১০ বছর পর আপনি পেশাক্ষেত্রে নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চান। উত্তরটা খোঁজার চেষ্টা করুন। আর সেই অনুযায়ী পাঁচ বছরের একটা প্রস্তুতি ও কর্মপরিকল্পনা করে ফেলুন। ওই পরিকল্পনায় অবশ্যই যেসব প্রশ্নের উত্তর থাকতে হবে, সেগুলো হলো—আপনি কী হতে চান? আপনি কী করতে চান? আপনি কতটা সাফল্য চান? পছন্দের চাকরিতে আপনার পদটা আসলে কী হবে? আপনার রিজিউমে বা জীবনবৃত্তান্তটা আসলে দেখতে কেমন? এসব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে মেলাতে আপনার সক্ষমতা ও দুর্বলতার দিকগুলো খুঁজে বের করুন। আর সেই অনুযায়ী পাঁচ বছরের প্রস্তুতি ও কর্মপরিকল্পনা ধরে এগিয়ে যান।

তথ্য-উপাত্ত আর সংখ্যা নিয়ে স্বচ্ছন্দ হোন
‘আমরা এখন বিপুল তথ্য আর সংখ্যার যুগে বাস করছি। কিন্তু এই তথ্য-উপাত্তকে কাজে লাগাতে হলে পরিসংখ্যানবিদের প্রয়োজন হয়। তথ্যের গণতন্ত্রয়াণের এই যুগে যাঁরা এই তথ্য-উপাত্তকে যত বেশি বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা রাখেন, তাঁরাই তত বেশি সফল হবেন। তথ্যই একুশ শতকের তলোয়ার। যাঁরা এটা ঘরে তুলতে পারবেন, তাঁরাই এখানে সামুরাই।’ এরিক স্মিড আর জনাথন রোজেনবার্গ এভাবেই এই যুগকে ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু তার মানে এই না যে, আগে পড়া না থাকলেও আপনাকে এখনই পরিসংখ্যানের বই কিনতে বাজারে যেতে হবে। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত-সংখ্যা বিশ্লেষণের সঙ্গে পরিচিত হোন। একটা স্তরের পর পেশাগত ক্ষেত্রে এটা খুবই জরুরি।

নিজের পেশাক্ষেত্র, নিজের কোম্পানি সম্পর্কে জানুন
আপনি প্রযুক্তি, জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, ফার্মাসিউটিক্যালস, বিজ্ঞাপন, গণমাধ্যম, বিনোদন, ব্যাংকিং কিংবা কনজিউমার ইলেকট্রনিকস—যে ক্ষেত্রের পেশাজীবীই হন না কেন, নিজের ক্ষেত্র সম্পর্কে বিশদভাবে জানার চেষ্টা করুন। নিজের পেশার গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখুন। আপনার পেশার অন্যদের সঙ্গে এসব খবর আদান-প্রদান করুন এবং এভাবে নিজেদের একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন। টুইটার, লিঙ্কডইন বা এ ধরনের সামাজিক যোগাযোগের সাইট ব্যবহার করেও তা করতে পারেন।

নিজের কাজ আর অবস্থানটা স্পষ্ট করে বুঝুন
ভাবুন অফিসে হঠাৎ করেই আপনার সিইওর সামনে পড়ে গেলেন এবং তিনি জানতে চাইলেন আপনি এখন কী করছেন। মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে আপনি তাকে কীভাবে বলবেন যে, আপনি এখন ঠিক কোন কাজটা করছেন এবং এটা কোম্পানির কোন প্রকল্প বা কোন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে করা হচ্ছে। ফলে আপনাকে কোম্পানিতে নিজের কাজ এবং অবস্থানটা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানতে ও বুঝতে হবে। ঠিক যেমন একটা নতুন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেলে মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই ওই চাকরির জন্য আপনার যোগ্যতার সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক অংশটুকু বলে ফেলতে পারতে হবে।

নতুন কোথাও যান
স্মিড ও রোজেনবার্গ বলেন, আপনার যদি নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের ক্ষেত্রের বাইরে কোথাও কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়, তাহলে আপনার সেখানে যাওয়া উচিত। তাঁরা বলেন, ‘ব্যবসা, তা তার আকার বা সুযোগ যত বড় বা ছোটই হোক, সব সময়ই বৈশ্বিক। কিন্তু মানুষ সহজাতভাবেই আঞ্চলিক।’ এমন ভাবার কোনো কারণ নেই যে, আপনার সব ক্রেতা এবং আপনার ব্যবসাক্ষেত্রের বাকিরাও আপনি জগতের যেখানে বাস করেন, সেখানেই সীমাবদ্ধ। তাঁদের পরামর্শ, তরুণ বয়সে সুযোগ পেলে চাকরি নিয়ে বিদেশে কাজ করে আসুন। বিদেশ সফরের সময় ভাবুন আপনার কোম্পানির যে কাজ তা ওই দেশে কীভাবে হয়। ধরুন, আপনি একটা সংবাদপত্রে কাজ করেন। মনোযোগ দিয়ে ওই দেশের সংবাদপত্রের খবরগুলো বিশ্লেষণ করুন, আপনার পত্রিকা কীভাবে লেখে আর ওরা কীভাবে লেখে তা বিশ্লেষণ করুন।
Title: Re: সাফল্য নিয়ে তরুণদের যা বললেন গুগলপ্রধান
Post by: abdussatter on November 01, 2014, 10:18:33 AM
Inspiring...
Title: Re: সাফল্য নিয়ে তরুণদের যা বললেন গুগলপ্রধান
Post by: mahzuba on November 02, 2014, 12:43:51 PM
Go ahead.
Title: Re: সাফল্য নিয়ে তরুণদের যা বললেন গুগলপ্রধান
Post by: mahmud_eee on November 19, 2014, 02:16:04 PM
good infos
Title: Re: সাফল্য নিয়ে তরুণদের যা বললেন গুগলপ্রধান
Post by: Kazi Taufiqur Rahman on December 08, 2014, 01:43:30 PM
 :)
Title: Re: সাফল্য নিয়ে তরুণদের যা বললেন গুগলপ্রধান
Post by: saikat07 on November 21, 2016, 12:17:13 AM
Thanks for sharing