Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Public Health => Topic started by: Saqueeb on October 15, 2014, 05:08:35 PM
-
ট্রোক কী আর কেনই–বা হয়, এ নিয়ে অল্পবিস্তর জানা আছে অনেকেরই। তবে স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের মতো রোগ প্রতিরোধ করার উপায়গুলো জানা থাকাটা জরুরি। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম এ আজহার বলেন, মস্তিষ্কের রক্তনািল ছিঁড়ে গিয়ে বা বন্ধ হয়ে গিয়ে স্ট্রোক হতে পারে। স্ট্রোকের কারণে যে সমস্যাগুলো হয়, সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে তা অনেকাংশেই ভালো হয়ে যেতে পারে। তবে স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে সচেতন হওয়া জরুরি।
কারণ
মস্তিষ্কে রক্ত সংবহন করার জন্য যেসব রক্তনািল রয়েছে, সেগুলোর কোনোটি যদি অতিরিক্ত চাপে ছিঁড়ে যায় অথবা কোনোটির ভেতরে চর্বি জমাট বাঁধতে বাঁধতে যদি সেটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে মস্তিষ্কের কিছু অংশে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই স্ট্রোকের লক্ষণগুলো দেখা যায়।
লক্ষণ ও প্রতিকার
শরীরের যেকোনো এক পাশ দুর্বল হয়ে যাওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া অথবা মুখ বেঁকে যাওয়া স্ট্রোকের লক্ষণ। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। কারও মধ্যে স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা গেলে সত্বর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
কারা আছেন ঝুঁকিতে
বয়স বাড়লে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। পরিবারে কারও স্ট্রোক হয়ে থাকলে পরবর্তী সময়ে তা হতে পারে ওই পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের। ধূমপান স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও রয়েছেন ঝুঁকিতে। স্বাভাবিকের তুলনায় যাঁদের ওজন বেশি, যাঁরা কায়িক পরিশ্রম কম করে থাকেন এবং যাঁদের রক্তে চর্বির পরিমাণ বেশি, তাঁদেরও রয়েছে স্ট্রোকের ঝুঁকি।
জটিলতা
দীর্ঘদিন ধরে এ রোগে শয্যাশায়ী থাকলে ফুসফুসে সহজেই হতে পারে জীবাণুর সংক্রমণ। রোগীর দীর্ঘদিন ক্যাথেটার ব্যবহার করলে সংক্রমণ হতে পারে কিডনিতেও। একভাবে শুয়ে থাকলে শরীরের যেসব অংশে চাপ পড়ে, সেসব অংশে ঘা (প্রেশার সোর) হতে পারে৷ এ সমস্যা এড়াতে দুই ঘণ্টা পরপর রোগীকে পাশ পরিবর্তন করে শুইয়ে দিতে হবে।
রোগীর পায়ের রক্তনািলতে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। এ জমাট বাঁধা রক্ত ফুসফুসের রক্তনািলতে প্রবেশ করলে তা রোগীর জীবননাশের কারণও হতে পারে।
আর স্ট্রোকের কারণে যেসব রোগীর মস্তিষ্কের অধিক পরিমাণ অংশে রক্ত সঞ্চালন বিঘ্নিত হয় এবং যাঁদের স্ট্রোক হওয়ার আগে থেকেই স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি ছিল, তাঁদের সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা কম থাকে। এ ক্ষেত্রে রোগীর শরীরের দুর্বলতা রয়ে যেতে পারে দীর্ঘদিন পর্যন্ত, এমনকি সারা জীবনও।
প্রতিরোধ করুন স্ট্রোক
উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ধূমপান পরিহার করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, কায়িক পরিশ্রম করতে চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করুন। রক্তে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
-
very informative post!! :)