Daffodil International University
Faculty of Science and Information Technology => Science and Information => Topic started by: ehsan217 on October 22, 2014, 06:42:32 PM
-
বর্তমান মানবসভ্যতা গড়ে উঠেছে তেল, কয়লা ও গ্যাস ইত্যাদি জীবাশ্ম জ্বালানির ভিত্তিতে। আমরা শুধু শক্তির জন্যই এসব জ্বালানির ওপর নির্ভর করি না। জীবনের সব ধরনের কর্মকাণ্ডে এসব জ্বালানি ব্যবহার রয়েছে। এমনকি খাবার প্রস্তুতেও। তবে এসব জ্বালানির কারণে পৃথিবীর জলবায়ুর ওপর বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতাও বাড়ছে। তার পরও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাদ দেওয়া সহজ নয়।
পৃথিবীর সব জীবাশ্ম জ্বালানি যদি শেষ হয়ে যেত অথবা জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন করা অসম্ভব হতো, তবে কি মানবসভ্যতার ইতিহাস ভিন্ন হতো? বিশ্বে শিল্পবিপ্লব কি ঘটত? বর্তমান সভ্যতাই কি দেখা যেত?
মানবসভ্যতার ইতিহাস ঘেঁটে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন আগে মানুষ জীবাশ্ম জ্বালানি সম্পর্কে তেমন একটা জানত না। এর পরও তখনকার মানুষ কিছু জীবাশ্ব জ্বালানি ব্যবহার করত। তবে বর্তমানের মানুষের মতো এর ওপর অতি নির্ভরশীল ছিল না। চতুর্দশ শতাব্দীর ব্রিটেনে কয়লার কিছু ব্যবহার দেখা যায়, যা অষ্টাদশ শতাব্দীতে বৃদ্ধি পায়। তবে ওই সময় পর্যন্ত একে নোংরা হিসেবেই গণ্য করা হতো। বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বিশ্বে অধিকাংশ মালপত্র বহন ও বাণিজ্য ছিল নৌপথভিত্তিক। আর সপ্তাদশ শতাব্দীতে বায়ুপ্রবাহ ও পানির স্রোত ব্যবহার করে কিছু কারখানা গড়ে ওঠে, যা একবিংশ শতাব্দীর শুরুতেও দেখা গেছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, জীবাশ্ম জ্বালানিবিহীন পৃথিবীর কথা কল্পনা করা হলে প্রথমেই বিকল্প জ্বালানি হিসেবে মনে হয় বিদ্যুৎ শক্তির কথা। বাস্তবিকই এটি হতে পারে জীবাশ্ম জ্বালানির একমাত্র বিকল্প। আর বিদ্যুৎ তৈরির জন্য ব্যবহার হতে পারে নবায়নযোগ্য শক্তি বায়ুপ্রবাহ, পানির স্রোত, সূর্যের আলো ইত্যাদি। তখন শহরে প্রধান যানবাহন হিসেবে থাকবে বিদ্যুৎ-চালিত ট্রেন ও বাস। এ ছাড়া বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি, বিমানপ্রযুক্তিরও যথেষ্ট পরিবর্তন ঘটবে। আন্তর্জাতিক মালামাল পরিবহন অনেকাংশেই হবে নৌপথে। যেখানে বায়ুশক্তিচালিত জাহাজ চলাচল করবে। এই কারণে প্রচুর নদী ও খাল সৃষ্টি করা হবে।
অনেকের মতে, সস্তা জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহারের প্রযুক্তির যথেষ্ট উন্নতি হয়নি। তবে জীবাশ্ম জ্বালানি না থাকলে স্বাভাবিকভাবেই এমন প্রযুক্তির যথেষ্ট উন্নতি দেখা যাবে।
বিশ্বে অনেক স্থানে এখনই সৌরশক্তি ব্যবহার করে রান্না করা হয়। ভবিষ্যতে সৌরশক্তি ব্যবহারের প্রযুক্তির উন্নতি ঘটলে এটি ব্যবহার করে শিল্প-কারখানাও গড়ে উঠতে পারে।
বর্তমান বিশ্বে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১৬ শতাংশই আসে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। পৃথিবীর অনেক স্থানে এখনো জলবিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো যায়। নিউসায়েন্টিস্ট।
-
Hope to see that.
-
at first look, it may seem impractical, as we are very much dependent on the fossil fuel, however if you convert your high load bulbs in to low power LEDs, gasoline powered cars, trains to electric cars & trains and Cover the middle east with solar panels where you have the most shiny SUN, then this future is not that far.
-
many thanks for ur information