Daffodil International University

Health Tips => Health Tips => Reduce Fat /Weight Loss => Topic started by: ariful892 on October 25, 2014, 11:24:09 AM

Title: Reduce pot belly
Post by: ariful892 on October 25, 2014, 11:24:09 AM
মেদবিহীন সুন্দর স্বাস্থ্যের জন্য জিমে যাওয়ার সময় নেই। এ জন্য আফসোস না করে নিজেই একটু উদ্যোগী হোন। প্রথমত বদঅভ্যাস ত্যাগ করুন। মিষ্টি ও ভাজাভুজি বাদ দিন। ভাত খান নামমাত্র। প্রতিদিন হাঁটা, সাঁতার বা ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম যেকোনো একটি বেছে নিন। আরো জানতে বিস্তারিত পড়ুন।
মোটা হওয়ার কারণ
* ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত খাওয়া। নিয়ম অনুযায়ী খাবেন।
* ক্ষুধা নেই অথচ ভালো খাবার দেখলে খেতে ইচ্ছে করে আর খান। ফলে শরীরে মেদ জমে মোটা হয়ে যান।
* শারীরিক পরিশ্রম কম করলেও ওজন বাড়ে।
* বংশগত কারণে অনেকের মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকে। খাবার যখন পাকস্থলীতে কম থাকে, তখন জিন শরীরে ফ্যাটের স্টোরেজ বাড়িয়ে দেয়। এরপর খাবার বেশি খেলে এবং শক্তি ক্ষয় কম হলে ওজন বেড়ে যায়
ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর প্রাকৃতিক উপায় হলো এমন ডায়েট মেনে চলা, যাতে বেশি পরিমাণে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার থাকে। মাঝারি পরিমাণে প্রোটিন এবং কম পরিমাণে ফ্যাট থাকে।
ডায়েট টিপস
* আলু, কুমড়া, কাঁচকলা খাবেন না।
* ডুবো তেলে ভাজা কিছু খাবেন না।
* এনার্জি ড্রিংকস, হেলথ ড্রিংকস, সফট ড্রিংকস খাবেন না।
* চিনি একেবারেই খাবেন না।
* গরু, খাসির মাংস ও চিংড়ি মাছ মোটেই খাবেন না।
* খাদ্যাভ্যাস ও বাজেটের ওপর ভিত্তি করে ডায়েট চার্ট তৈরি করে নিন
* কোন ধরনের কাজের সঙ্গে আপনি যুক্ত তার ওপর নির্ভর করবে আপনার ডায়েট চার্ট
* খাদ্যতালিকায় ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যাতে যথেষ্ট পরিমাণে থাকে সেদিকে লক্ষ রাখুন।
* প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে ফল, শাকসবজি ও পানি পান করুন।
অসময়ে খিদে পেলে

দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝামাঝি সময়ে খুব খিদে পেলে শুকনো রুটি বা টোস্ট বিস্কুট খান। ফল, সবজি বা এক বাটি মুড়ি খেতে পারেন। বেশি রাতে কার্বোহাইড্রেট-জাতীয় খাবার কম খাবেন।
বাড়িতেই ব্যায়াম
* বাড়িতে কিছু ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম করুন। সময় একেবারেই কম লাগে। অথচ আপনি ফিট থাকতে পারবেন এবং অতিরিক্ত মেদ শরীরে জমা হবে না।
* বাড়িতে যত সময় অবস্থান করবেন সে সময় শুয়ে-বসে না থেকে হাঁটাচলা করুন। আপনার বাড়িতে লিফট থাকলেও দৈনিক কয়েকবার সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন। আরো ভালো হয় যদি হালকা জিনিসপত্র বহন করা যায়। এতে মাসল টোনড হবে।
* বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেচিং ব্যায়াম, যেমন- আর্ম স্ট্রেচিং বা লেগ লিফটিং করতে পারেন। রক্তসঞ্চালন ভালো হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের মেদ কমে যাবে।
* হার্ট সুস্থ রাখার জন্য জগিং খুব ভালো ব্যায়াম। বাড়ির যেকোনো জায়গায় আপনি স্পট জগিং করতে পারেন। এ সময় উপযুক্ত জুতা পরবেন, যাতে পায়ের ওপর স্ট্রেস না পড়ে।
* দুই হাত সোজা করে ওপরের দিকে রাখুন। পায়ের পাতার ওপর ভর দিয়ে যতটা পারেন লাফান। কোনো বিরতি ছাড়া এভাবে এক মিনিট লাফান। এক মিনিট ব্রেক দিয়ে দিয়ে দুই থেকে তিনবার রিপিট করুন।
*পেটের মাসলের স্ট্রেংথ বাড়ানোর জন্য সিট-আপস জাতীয় ব্যায়াম করতে পারেন। মাটিতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাঁটু ভাঁজ করুন। ডান হাত বা কাঁধের ওপর এবং বা হাত ডান কাঁধের ওপর রাখুন। এরপর আস্তে আস্তে শরীরের ওপরের অংশ মাটি থেকে তোলার চেষ্টা করুন। মাঝামাঝি অবস্থানে যেতে কয়েক সেকেন্ড থাকুন। পরে ক্রমেই শোয়া অবস্থায় ফিরে যান। শুরুতে তিন থেকে পাঁচবার করলেই যথেষ্ট।
সতর্কতা
*কোমলপানীয় একেবারেই খাবেন না। কোল্ড ড্রিংকস মোটা হওয়ার আশঙ্কা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে দেয়।
* রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
* বারবার অল্প করে খাবেন। দুপুর ও রাতে অবশ্যই কম খাবেন।