Daffodil International University

Faculty of Science and Information Technology => Science and Information => Topic started by: khairulsagir on October 25, 2014, 12:11:46 PM

Title: যন্ত্র হয়ে যাবে মানুষ
Post by: khairulsagir on October 25, 2014, 12:11:46 PM
যন্ত্রকে মানুষের মতো বুদ্ধিমান করে তোলার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। যন্ত্র যাতে মানুষের মতো চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এ জন্য যন্ত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত করতে চায় গুগল। গতকাল বৃহস্পতিবার কৃত্রিম বুদ্ধিমান যন্ত্র তৈরির উদ্যোগ হিসেবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা গবেষকদের সঙ্গে চুক্তি করেছে গুগল কর্তৃপক্ষ। এএফপির এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ডার্ক ব্লু ল্যাবস ও ভিশন ফ্যাক্টরির গবেষকেরা মিলে গুগলের ডিপমাইন্ডের সঙ্গে কাজ করবেন। ডিপমাইন্ড হচ্ছে লন্ডনভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা গবেষণাপ্রতিষ্ঠান। এ বছর ডিপমাইন্ডকে কিনেছে গুগল।
গবেষকেরা জানান, গুগল ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা মিলে এমন যন্ত্র তৈরি করবেন, যা দেখতে পারে, থাকবে শোনার ক্ষমতা। বুদ্ধিমান কৃত্রিম সঙ্গী ও অনলাইন সার্চ টুল হিসেবেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে।
গুগল বর্তমানে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির গাড়ি, রোবট, কৃত্রিম বুদ্ধিমান যন্ত্র তৈরিতে কাজ করছে।

২০২৯ সালে রোবট মানুষ!
কবে তৈরি হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমান যন্ত্র? গবেষকেরা ভবিষ্যৎদ্বাণী করছেন, ২০২৯ সালের মধ্যেই মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির পর্যায়ে চলে আসবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্র। এ সময়ের মধ্যে রোবট বা কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রগুলো মানুষের মতো চিন্তা করতে পারবে, ভালো-মন্দের সিদ্ধান্ত নিতেও সক্ষম হবে। মার্কিন প্রকৌশলী ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষক রে কার্জউইল এ আশা ব্যক্ত করেছেন।
গুগলের গবেষক রে কার্জউইলের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হচ্ছে, এমন কম্পিউটার ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যা মানুষের বুদ্ধিমত্তার কাজে লাগানো যায়। মানুষের ক্ষেত্রে আবেগ শনাক্ত করাটা বুদ্ধিমত্তার একটি বড় বৈশিষ্ট্য। কৃত্রিম বুদ্ধিবৃত্তিক যন্ত্রের মধ্যেও এ বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন, যাতে মানুষের সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমানরা। আবেগ বুঝতে পারলে এসব যন্ত্র ভাষা বুঝতে পারবে আর ভাষা বুঝতে পারলেই জ্ঞানে ঋদ্ধ হবে রোবট।
আসছে মানুষের মতো বুদ্ধিমানেরা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে গবেষণার অগ্রগতি সম্পর্কে রে কার্জউইল বিবিসিকে জানিয়েছেন, বর্তমানে কৃত্রিম গবেষণা দ্রুত এগিয়ে চলছে। আইবিএমের তৈরি ওয়াটসন কম্পিউটার এখন ধাঁধা গেম খেলতে পারে। এ ছাড়া তৈরি হয়েছে স্বয়ংক্রিয় বা চালকবিহীন গাড়ি। এখন মুঠোফোনেও চলে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার।
রে কার্জউইল ভবিষ্যৎদ্বাণী করেছেন, ২০৪৫ সাল নাগাদ মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে যন্ত্রের বুদ্ধিমত্তা ছাড়িয়ে যাবে এমন ধারণা করা হলেও এ সময়ের আগেই তা অর্জন করা সম্ভব। ২০৩০ সাল নাগাদ মানুষের মস্তিষ্ক থেকে সরাসরি যন্ত্রে তথ্য স্থানান্তর করা যাবে।

বুদ্ধিমান যন্ত্র তৈরি সম্ভব?
মানুষের মতো বুদ্ধিমান কম্পিউটার কী আদৌ তৈরি করা সম্ভব? আর যদি তা হয়ও, তবে কম্পিউটারের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াবে? এ প্রশ্নটির উত্তরও খোঁজার চেষ্টা করছেন গবেষকেরা।
বর্তমান বিশ্বের কিংবদন্তি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং মনে করেন, বুদ্ধিমত্তার দিকে থেকে যন্ত্র অনেক এগিয়ে যাবে। মানুষের চেয়ে যন্ত্রের বুদ্ধি হবে বেশি। যেকোনো কিছুতেই নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এবং ভবিষ্যতে মানুষের জন্য বিপদই ডেকে আনবে।
যে কারণে মানুষ বিলুপ্ত হতে পারে
গুগলের গবেষণা

বোস্টন ডাইনামিকসসহ আটটি রোবট নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান কেনার পর প্রযুক্তি-বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, রোবট নিয়ে বড় ধরনের পরিকল্পনা করছে গুগল। কিন্তু কী সেই পরিকল্পনা? গুগলের ‘এক্স ল্যাব’ নামের একটি গোপন পরীক্ষাগারের অস্তিত্বের কথা প্রায়ই শোনা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, গুগলের এক্স ল্যাবে নতুন কিছু তৈরি হচ্ছে। এই গোপন পরীক্ষাগার থেকেই এসেছে স্মার্টগ্লাস, স্মার্ট কার। মার্কিন গবেষকেরা ধারণা করছেন, রোবট নিয়ে ভিন্ন কোনো পরিকল্পনা রয়েছে গুগলের। প্রযুক্তি-বিশ্লেষক কেভিন ও’রেইলি জানিয়েছেন, গুগল সম্ভবত উন্নত সেন্সর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে চায়। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান উন্নত সেন্সর ও সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করে, সেগুলোকেই কিনেছে গুগল।
গুগলের কর্মকর্তা অ্যান্ডি রুবিন জানান, বুদ্ধিমান রোবট তৈরির ক্ষেত্রে সফটওয়্যার ও সেন্সরের উন্নয়ন করার প্রয়োজন পড়বে। একদিন এ ক্ষেত্রটিতেও গুগল নজর দেবে বলে আশা করছেন তিনি। কোয়ান্টাম কম্পিউটারের জন্য কোয়ান্টাম ইনফরমেশন প্রসেসর তৈরিতে নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে গুগল কর্তৃপক্ষ। সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রনিকসের ওপর ভিত্তি করে এই চিপ তৈরিতে কাজ করবেন গুগলের গবেষকেরা। এ প্রকল্পের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সান্তা বারবারার পদার্থবিদ জন মার্টিনিস গুগলে যোগ দিয়েছেন। গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত কোয়ান্টাম কম্পিউটার অপ্টিমাইজেশনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন কোয়ান্টাম আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স ল্যাবের গবেষকেরা। এই ল্যাব তৈরি হয়েছে গুগল, নাসার আমেস রিসার্চ সেন্টার ও ইউনিভার্সিটিস স্পেস রিসার্চ সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ে।
গুগলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক হার্টমুট নেভেন বলেন, ‘হার্ডওয়্যার গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে কোয়ান্টাম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের টিমের সদস্যরা এখন নতুন ধরনের কোয়ান্টাম প্রসেসর, চিপ বা এক্ষেত্রের নতুন ধারণা বাস্তবায়ন করতে পারবেন।’[/size]

http://paimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/643x0x1/uploads/media/2014/10/24/f5de2893c827228f46f023be026504d3-artificial_intelligence_005.jpg




Source:www.prothom-alo.com
Title: Re: যন্ত্র হয়ে যাবে মানুষ
Post by: smriti.te on December 09, 2014, 10:35:57 AM
interesting
Title: Re: যন্ত্র হয়ে যাবে মানুষ
Post by: ayasha.hamid12 on December 10, 2014, 04:18:58 PM
Interesting post...