Daffodil International University
Entertainment & Discussions => Story, Article & Poetry => Topic started by: imam.hasan on November 10, 2014, 03:39:52 PM
-
পরপার থেকে নয়, মর্তের পৃথিবী থেকে ২৮ বছরের ‘মৃত’ গৃহবধূ গঙ্গা দেবীর কণ্ঠস্বর ভেসে আসে। গঙ্গা দেবী আদৌ মারা যাননি। তিনি প্রকৌশলী স্বামীকে ফেলে এক প্রতিবেশির হাত ধরে পালিয়ে যান। গত ৫ দিন ধরে তিনি তামিলনাড়ুর কয়িম্বাটোর নামে একটি শহরের হোটেলে প্রতিবেশি এই প্রেমিকের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমা উদযাপন করছিলেন। তার পরিবার পুলিশের কাছে লাশ দাবি করায় গঙ্গা দেবী বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। তাকে দেখে সবার আক্কেল গুড়ুম। সোমবার দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে একথা বলা হয়।
১৩ জুলাই গঙ্গা দেবী নিখোঁজ হয়ে যান। তামিলনাড়ুর ভেলোর জেলার কাবেরিপাক্কাম থানার পুলিশ গত বুধবার বস্তায় বন্দি এক মহিলার পচা গলা লাশ খুঁজে পাওয়ার পর ধারণা করা হ্চ্িছল গঙ্গা দেবী মারা গেছেন। কিন্তু শনিবার রাতে আত্মীয় স্বজনের কাছে টেলিফোন করে জানান তিনি জীবিত। নিখোঁজ মহিলার স্বামী সফটওয়্যার প্রকৌশলী সরাবানান ও তার পরিবার বস্তা বন্দি মহিলার পচা গলা লাশকে ভুল করে গঙ্গা দেবীর লাশ হিসাবে শনাক্ত করে।
কয়িম্বাটোরের একটি হোটেলে প্রেমিকের সঙ্গে অবস্থানকারী গঙ্গা দেবী পত্রিকার রিপোর্ট পাঠ করে জানতে পারেন তিনি ‘নিহত।’ তার পরিবার পুলিশের কাছে লাশ দাবি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। স্বামী সরাবানান বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে, বস্তায় ভরা লাশ তার স্ত্রীর। আত্মীয় স্বজনরা গঙ্গা দেবীর সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়ায় অবশেষে তিনি মেনে নেন। বস্তায় ভরা মহিলার লাশ ছিল উলঙ্গ। তার গলায় ছিল একটি ঝুলন্ত হার এবং একটি মণিবন্দ।
একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, লাশ এত বিকৃত হয়ে গিয়েছিল যে, আমরা পরিচয় শনাক্ত করতে অক্ষম হই। তারপর আমরা ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেই। পুলিশ জানায়, গঙ্গা দেবী তার ভাই সুগুমারানকে টেলিফোন করে জানান তিনি জীবিত। তবে তিনি বাড়ি ফিরতে ভয় পাচ্ছেন। কেননা তার পরিবার জানে তিনি তার প্রেমিক কার্তিকের সঙ্গে অবস্থান করছেন।
পরিবারের সদস্যরা পুলিশের কাছে লাশ চাওয়ায় গঙ্গা দেবী তার বর্তমান অবস্থান প্রকাশ করতে বাধ্য হন। সবাই জানতো তিনি খুন হয়েছেন। তাই তিনি সশরীরে ফিরে আসায় সবাই বিস্মিত হয়ে যায়। কয়িম্বাটোরে তার ও তার প্রেমিকের অর্থ ফুরিয়ে যায়। তিনি কিছু অর্থ নিয়ে ফের প্রেমিকের কাছে ফিরে যেতে চান। বেঁচে থাকার তাগিদে বিগত ৫ দিন প্রেমিক কার্তিক নিকৃষ্ট কাজ করেছে। গঙ্গা দেবী রবিবার কয়িম্বাটোরে একটি ট্রেনে চড়েন। সোমবার তিনি ভেলোর শহরে এসে পৌঁছান। কাবেরিপাক্কাম পুলিশকে এখন মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং বস্তায় ভর্তি মহিলার পরিচয় উদ্ধার করতে হবে।