Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Travel / Visit / Tour => Topic started by: mustafiz on November 11, 2014, 03:37:44 PM

Title: ঘুরে আসুন অযোধ্যা মঠ
Post by: mustafiz on November 11, 2014, 03:37:44 PM

স্থাপত্য নান্দনিকতায় বাংলাদেশের সবচাইতে সুন্দরতম মঠ অযোধ্যা। কোদলা মঠ নামেও পরিচিত এই প্রাচীন স্থাপনা বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামে অবস্থিত।

(http://d30fl32nd2baj9.cloudfront.net/media/2014/11/10/02_kodla-math-or-ajodhya-math_101114_0007.jpg/ALTERNATES/w300/02_Kodla+Math+or+Ajodhya+Math_101114_0007.jpg)
(http://d30fl32nd2baj9.cloudfront.net/media/2014/11/10/02_kodla-math-or-ajodhya-math_101114_0008.jpg/ALTERNATES/w300/02_Kodla+Math+or+Ajodhya+Math_101114_0008.jpg)


লাল ইটের তৈরি মঠের বাইরের দিকের পুরোটাই পোড়া মাটির অলঙ্করণে আবৃত। বাগেরহাট শহর থেকে খুব সহজেই দেখে আসতে পারেন এই মঠ।

বাগেরহাট শহর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে এর অবস্থান। পুরানো বাগেরহাট-রূপসা সড়কে যাত্রাপুর বাজার থেকে প্রায় প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে প্রাচীন ভৈরব নদীর পূর্ব দিকে এই মঠ।

অযোধ্যা গ্রামে অবস্থিত বলে এ নামেই বেশি পরিচিত। তবে কোদলা মঠ নামেও একে চেনেন অনেকে। কোদলা অযোধ্যার পার্শ্ববর্তী গ্রামের নাম। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হলেও অনেকটাই অযত্নে পড়ে আছে মহা মূল্যবান প্রাচীন এই স্থাপনা। মঠের উপরিভাগে বেড়ে ওঠা পরগাছা নষ্ট করছে বাইরের দেয়াল।

বর্গাকারে নির্মিত চারকোণাকৃতির ভিতের উপর নির্মিত এই মঠ। ভূমি থেকে উচ্চতা প্রায় ১৮.২৯ মিটার। ভেতরে বর্গাকার প্রতিটি দেয়ালের দৈর্ঘ্য প্রায় ২.৬১ মিটার। দেয়ালগুলো পুরুত্ব প্রায় ৩.১৭ মিটার। মঠে প্রবেশের জন্য তিনটি দরজা আছে। ধারণা করা হয় দক্ষিণের দরজাটি ছিল মূল প্রবেশপথ। বাকি দুটি প্রবেশ পথ পূর্ব ও পশ্চিম দিকে। দক্ষিণের দেয়ালে কোনো দরজা নেই।

প্রবেশপথগুলোর উপরে পোড়া মাটিতে খোদাই করা লতা-পাতা, ফুল ইত্যাদি এখনো দৃশ্যমান। ভেতরের দিকে প্রায তের ফুট পর্যন্ত লম্বা গম্বুজ উপরের দিকে উঠে গেছে।

অযোধ্যা মঠের নির্মাণকাল নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থাপত্যিক বৈশিষ্টানুসারে অনুমান করা হয় এটি ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে কিংবা সপ্তদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে নির্মিত।

বহুকাল আগে মঠের দক্ষিণ কার্নিসের নিচে প্রায় অদৃশ্যমান দুই লাইনের একটি ইটে খোদাই করা লিপি ছিল। সে লিপি অনুযায়ী সম্ভবত ১৭ শতকের প্রথম দিকে দেবতার অনুগ্রহ লাভের আশায় কোনো এক ব্রাহ্মণ মঠটি নির্মাণ করেছিলেন।

এছাড়াও জনশ্রুতি আছে রাজা প্রতাপাদিত্য তার গুরু অবিলম্ব সরস্বতীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই মঠ নির্মাণ করেন।

প্রায়োজনীয় তথ্য

বাগেরহাট শহর থেকে অটো রিকশায় মঠে যেতে সময় লাগে কম বেশি ত্রিশ মিনিট। রিজার্ভ নিয়ে গেলে যাওয়া আসার ভাড়া ৪শ’ থেকে ৭শ’ টাকা।

রাজধানী থেকে বাগেরহাট যেতে পারেন সড়ক পথে। ঢাকার সায়দাবাদ ও গাবতলী বাস স্টেশন থেকে বাগেরহাটের বাস ছাড়ে। এছাড়া সড়ক কিংবা রেল পথে খুলনা এসে সেখান থেকেও সহজেই বাগেরহাট যা্ওয়া যায়।

বাগেরহাট শহরে থাকার জন্য সাধারণ মানের কিছু হোটেল আছে। ৫শ’ থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকায় কক্ষ মিলবে এসব হোটেলে।