Daffodil International University
Faculties and Departments => Allied Health Science => Life Science => Topic started by: khairulsagir on November 20, 2014, 10:00:27 AM
-
শীত কড়া নাড়ছে দরজায়। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শিশুরা ভোগে নানান সমস্যায়। সামান্য শীতেই ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি, ব্রঙ্কিওলাইটিস এমনকি নিউমোনিয়া হতে পারে। মনে রাখা দরকার, প্রতিবছর একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু নিউমোনিয়ার কারণে বাংলাদেশে মারা যায়। তাই আগে থেকে সাবধান হওয়া চাই।
নিউমোনিয়া কী?
নিউমোনিয়া হলো ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের রোগ। সংক্রমণ এবং এর পরবর্তী প্রদাহ থেকে এ রোগ হয়। সংক্রমণ হতে পারে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি দিয়ে। সব সর্দি-কাশিই নিউমোনিয়া নয়। যখন জ্বর এবং এর সঙ্গে থাকে কফ এবং শ্বাসকষ্ট, তখনই কেবল শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ হয়েছে বলে ধরা হয়। দুই মাসের নিচের শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসের হার মিনিটে ৬০ বারের বেশি, এক বছরের নিচে ৫০ বার বা তার বেশি এবং এক বছর থেকে পাঁচ বছরের শিশুর মিনিটে ৪০ বার তা তার বেশি শ্বাস-প্রশ্বাস হলে তাকে শ্বাসকষ্ট বলা হয়। তাই জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত শিশু এ রকম ঘন ঘন শ্বাস নিলে বা শ্বাসের সঙ্গে বুক বা পাঁজর নিচে দেবে যেতে থাকলে সতর্ক হোন, হয়তা সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।
হাসপাতালে নিতে হবে?
সাধারণ নিউমোনিয়ার চিকিৎসা বাড়িতেই সম্ভব। এ জন্য সঠিক ওষুধের পাশাপাশি এ সময় শিশুর খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। দুই বছরের নিচের শিশুদের বুকের দুধ বন্ধ করা যাবে না । এর সঙ্গে প্রচুর পানিও দিতে হবে। গলা ভেজা রাখার জন্য ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশুদের কুসুম গরম পানি, লবণপানি বা লাল চা দেওয়া যেতে পারে। নাকে নরমাল স্যালাইন, নরসল ড্রপ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু অন্য কোনো ওষুধজাতীয় ড্রপ দেওয়া যাবে না। বুকে তেল, ভিক্স বাম ব্যবহার করাও উচিত নয়। শিশুদের সামান্য কাশিতে অহেতুক সাকশন যন্ত্র দিয়ে কফ পরিষ্কার বা নেবুলাইজার যন্ত্র ব্যবহারও ঠিক নয়।
তবে শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে অর্থাৎ খুব বেশি শ্বাসকষ্ট, সবকিছুই বমি করে দিলে, শিশু অজ্ঞান হয়ে গেলে বা খিঁচুনি হলে অবশ্যই দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
নিউমোনিয়াকে ‘না’
মারাত্মক নিউমোনিয়ায় শিশুর মৃত্যুঝুঁকি বেশি। তাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নিউমোনিয়া প্রতিরোধ। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই শিশুর জন্য বুকের দুধ নিশ্চিত করতে হবে। সঙ্গে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি ৫০ ভাগ কমে বলে প্রমাণিত। শিশুকে চুলার ধোঁয়া, মশার কয়েল ও সিগারেটের ধোঁয়া থেকে দূরে রাখাও জরুরি। জিংক ট্যাবলেট খাওয়ালে এবং সময়মতো নিউমোনিয়ার টিকা দিলে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সুখবর হলো, আগামী বছর থেকে শিশুদের সরকারিভাবেই নিউমোনিয়ার টিকা দেওয়া হবে।
Source: www.prothom-alo.com
-
Informative.
-
helpful
-
Thanks for the information... :)
-
helpful post. thanks for sharing