Daffodil International University
Entertainment & Discussions => Sports Zone => Cricket => Topic started by: khairulsagir on November 20, 2014, 10:11:08 AM
-
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর রান ৩৪ হাজারেরও বেশি। সব ধরনের স্বীকৃত ক্রিকেট মিলিয়ে রান তুলেছেন ৫০ হাজার। সেই শচীন টেন্ডুলকার রান চুরি করেছিলেন। তাও মাত্র ৬ রান!
শুনে অনেকের বিশ্বাস নাও হতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি। আত্মজীবনী প্লেয়িং ইট মাই ওয়েতে এই রান ‘চুরি’র কথা লিখেছেন টেন্ডুলকারই।
সেটি অবশ্য একেবারে টেন্ডুলকারের শৈশবের ঘটনা। মাত্রই ক্রিকেটটা শুরু করেছেন। মহল্লার গলি ক্রিকেট ছেড়ে সারদাশ্রম বিদ্যামন্দিরের স্কুল ক্রিকেটে শুরু হয়েছে পদযাত্রা। আর স্কুলের হয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচেই ঘটেছিল এই রান চুরির ঘটনা।
স্কুলের হয়ে অভিষেক ম্যাচটিতে টেন্ডুলকার ২৪ রান করেন। যেটা খুব একটা খারাপ ছিল না। অন্তত এর আগে ক্লাব ক্রিকেটে তাঁর ভয়াবহ অভিষেকের তুলনায় অনেক ভালো ছিল। গুরু রমাকান্ত আচরেকার পরিচালিত কামাথ মেমোরিয়াল ক্লাবের হয়ে শুরুতে বেশ কটা শূন্য মেরেছিলেন টেন্ডুলকার। সেই তুলনায় স্কুল ক্রিকেটের শুরুতে ২৪ করা তাঁকে সে সময় বেশ স্বস্তি দিয়েছিল।
এরপরই ঘটল সেই চুরির ঘটনা। টেন্ডুলকার লিখেছেন, ‘স্কুলের হয়ে আমার প্রথম ম্যাচটা আজীবন মনে রাখব, সেটিও অন্য একটি কারণে। কারণ এই ম্যাচ থেকে আমি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যক্তিগত শিক্ষা পেয়েছিলাম। এটা আমাকে শিখিয়েছিল, অন্যায়ভাবে কোনো কিছুর চেষ্টা না করতে, ন্যয় ও সততার সঙ্গে খেলাটি খেলতে।’
টেন্ডুলকারের অন্যায়টি তো আগেই জেনেছেন, রান চুরি। সেটিও অবশ্য তিনি নিজে সরাসরি করেননি, করেছেন অন্যের প্ররোচনায়। কিন্তু তাতে সায় তো দিয়েছেন। টেন্ডুলকার অনেক বড় মাপের মানুষ বলেই খুবই ‘ছোট’ এই ঘটনা আজও ভুলতে পারেননি।
ঘটনা হলো, সেই সময় মুম্বাইয়ের পত্রিকাগুলো একটি অলিখিত নিয়ম বেঁধে দিয়েছিল। খেলার খবরগুলোতে তারা যে কোনো ম্যাচ রিপোর্টে শুধু সেই ব্যাটসম্যানদের নাম উল্লেখ করত, যারা কমপক্ষে ৩০ রান করেছে। কিন্তু টেন্ডুলকার করেছিলেন ২৪।
এরপর কী হলো? টেন্ডুলকার লিখেছেন, ‘আমি ২৪ করেছিলাম, কিন্তু ম্যাচে আমাদের ইনিংসে অনেকগুলো অতিরিক্ত রান এসেছিল। ফলে স্কোরার এক্সট্রা থেকে ছয়টি রান আমার নামের পাশে লিখে দিয়েছিল, যেন আমার স্কোর ৩০ হয়। স্কোরারের যুক্তি ছিল, এতে দলের মোট রানের তো আর হেরফের হবে না। কী হতে পারে না ভেবেই আমি তাতে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।’
পরিণতি হয়েছিল ভয়াবহ। তাঁর গুরু রমাকান্ত আচরেকার পরদিন পত্রিকায় টেন্ডুলকারের নাম এবং নামের পাশে রান দেখে রীতিমতো খেপে যান। যে রান টেন্ডুলকার করেননি, সেটি তাঁর নামের পাশে লেখা হবে কেন। হয়তো ছোট একটা অপরাধ। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুতেই এই ছোট অপরাধের জন্য টেন্ডুলকারকে ভীষণ বকেন আচরেকার।
এটার প্রয়োজনও ছিল। পুরো ক্যারিয়ারে টেন্ডুলকার তাই শতভাগ বিশুদ্ধ সততা নিয়েই ক্রিকেটটা খেলেছেন। আর সেভাবে খেলেছেন বলেই হয়তো টেন্ডুলকার ‘টেন্ডুলকার’ হতে পেরেছেন।
Source: www.prothom-alo.com
-
Interesting post.