Daffodil International University

Health Tips => Food => Topic started by: mustafiz on November 20, 2014, 12:23:10 PM

Title: About Carrot
Post by: mustafiz on November 20, 2014, 12:23:10 PM
গাজর নানাভাবে খাওয়া যায়। কাঁচাও খেতে পারবেন আবার রান্না করেও খাওয়া যায়। গাজর সবজিটি রূপে যেমন, গুণেও তেমন। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলো বলেন, সম্রাট আকবর ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন এক থালা করে গাজর খাওয়া শুরু করেন। বেশ কিছুদিন পর দেখা গেল তাঁর ত্বক স্বাভাবিক রং হারিয়ে সাদাটে হয়ে গেছে।
(http://paimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/300x0x1/uploads/media/2014/11/18/52ac14bd321c3813f4bafa0e68c42656-Untitled-13.jpg)

সত্যিটা হলো, অতিরিক্ত গাজর খাওয়ার দরকার নেই। দিনে দুটি গাজরই যথেষ্ট। গাজরে পটাশিয়াম থাকায় যাঁরা কিডনি রোগে ভুগছেন, তাঁদের গাজর খেতে কিছু বিধিনিষেধ আছে। এ ছাড়া অন্যদের জন্য গাজর বড় ভালো সবজি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউট্রিশন অ্যাসোসিয়েশনের এক গবষেণায় দেখা যায়, গাজরে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক এবং ক্যানসারের কোষ তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। নিয়মিত গাজর খেলে স্তন ক্যানসার, কোলন ক্যানসার ও ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। এ ছাড়া গাজরের অন্য গুণগুলোও জেনে নেওয়া যাক।
 শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় দ্রুত। গাজর খেলে ত্বকে পটাশিয়ামের অভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

 চুল পড়া রোধে গাজরে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল কার্যকর। গাজর চুল পড়া কমায়, চুলকে শক্ত ও মজবুত করে।
 গাজরের থাকা বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন ‘এ’-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।

 অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে এই সবজি। তাই শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়।
 এই সবজির আলফা ক্যারোটিনসহ আরও কিছু উপাদান হৃদ্রোগ ও হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।

 গাজরের উপকারী উপাদানগুলো ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধে অংশ নেয়। এ ছাড়া শ্বাসনালির প্রদাহ ভালো করে।
 গাজর দাঁতের সুরক্ষা দেয়। দাঁত পরিষ্কারক হিসেবে যেমন কাজ করে, তেমনি দাঁতের গোড়ায় ক্যালকুলাস জমতেও বাধা দেয়।

 গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য গাজর খুব ভালো সবজি। গাজরের রসে শিশুর জন্ডিস হওয়ার ঝুঁকি কমে।
 যাঁরা দীর্ঘদিন পেটের সমস্যায় ভুগছেন, এবার গাজরে সমাধান খুঁজতে পারেন, এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করারও ভালো ওষুধ।

 এটি অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে। শরীরের যেকোনো ক্ষত দ্রুত শুকিয়ে ফেলে সবজিটি। এ ছাড়া যেকোনো সংক্রমণের বিরুদ্ধেও লড়ে।
 এটি কৃমিনাশক হিসেবে পরিচিত। নিয়মিত গাজর খেলে পেটে কৃমি হওয়ার শঙ্কা কমবে।

 গাজরে ক্যারোটিনয়েড রঞ্জক পদার্থ রয়েছে। এ উপাদানটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
 গাজর খেলে পেট ভরবে ঠিকই, আবার বেশি ক্যালরিও যোগ হবে না শরীরে। তাই ওজন কমাতে বেশি বেশি গাজর খেতে পারেন