Daffodil International University

Faculty of Allied Health Sciences => Pharmacy => Topic started by: mustafiz on November 20, 2014, 04:34:23 PM

Title: করলা ,স্বাদে তেতো, গুণে মিষ্টি
Post by: mustafiz on November 20, 2014, 04:34:23 PM
নামটা শুনলেই মুখটা অনেকের ব্যাজার হয়ে যায়! বিশেষ করে বাচ্ছাদের। এটি শুধু সব্জি নয়, চিকিৎসকদের মতে, করলা হল একটি ঔষধি গাছ। প্রাচীনকাল থেকে করলার ব্যবহার হয়ে আসছে নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে। এছাড়া শরীরকে ফিট রাখতে ও সুস্থ রাখতে করলার নানান খাদ্যগুণ রয়েছে।

(http://www.lastnewsbd.com/wp-content/uploads/2014/11/korola.jpg)

করলার গুণাবলী
১. ম্যালেরিয়ায় করলা পাতার রস খেলে খুব উপকার মেলে। এছাড়া ম্যালেরিয়ার রোগীকে দিনে তিনটে করলার পাতা ও সাড়ে তিনটি আস্ত গোলমরিচ একসঙ্গে থেঁতো করে নিয়ম করে ৭ দিন খেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
২. করলার পাতার রস খেলে জ্বর সেরে যায়। এছাড়া শিশুদের শরীর থেকে কৃমিও নাশ হয়ে যায়।
৩. করলার ফুল বা পাতা ঘিয়ে ভেজে বা কাঁচা নুন মিশিয়ে ৩-৪ দিন খেলে পিত্তের বিষ বমি বা মলের আকারে বেড়িয়ে যায়।
৪. এই পাতার রসে একটু হিং মিশিয়ে খেলে প্রস্রাব পরিষ্কার হয়ে যায়। কোনও কারনে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে এটি ওষুধের মতো করে খাওয়া যেতে পারে।
৫. ডায়াবেটিস রোগীদের করলার রস খুব ভাল। কচি করলা টুকরো করে কেটে ছায়ায় শুকিয়ে নিয়ে মিহি করে প্রথমে বেটে রাখুন। এরপর সকালে ও বিকেলে নিয়মিত দু-চামচ করে খেলে ডায়াবেটিস পুরোপুরি সেরে যাবে।
৬. করলার রস প্রতিদিন এক চামচ করে খেলে অর্শ সেরে যায়। উল্লেখ্য, করলার রসে চিনি দিতে পারেন।
৭. শিশুরা বারবার বমি করলে করলার রস ও অল্প গোলমরিচ গুঁড়ো একসঙ্গে জল দিয়ে মিশিয়ে ২-৩ দিন খাওয়ান। বাচ্ছাদের বমি করা বন্ধ হয়ে যাবে।
৮. করলার পাতার রস নাকি জোলাপের কাজ করে। এটি একটি প্রাচীন প্রথা।