Daffodil International University
Health Tips => Protect your Health/ your Doctor => Topic started by: mustafiz on November 20, 2014, 04:50:32 PM
-
বাইরে খেতে গেলে মূল খাবার অর্ডার দেয়ার পরপরই আমরা যে জিনিসটি অর্ডার করি তা হলো কোমল পানীয়। ঝাঁঝালো, মিষ্টি এই পানীয়টি যেন আমাদের জীবনেরই অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রচন্ড গরমে কিংবা অকারণেই এই কোমল পানীয় পান করছেন সব বয়সের মানুষ। কোমল পানীয় ভালো নয়, সে কথা কমবেশি সপবাই জানেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, কোমল পানীয় কী ভীষণ ক্ষতিকর আপনার শরীরের জন্য? জেনে নিন কোমল পানীয়ের ব্যাপারে এমন কিছু সত্য, যেগুলো জানার পর এসব পানের ইচ্ছা আপনার একেবারে কমে যাবে।
দাঁত ধ্বংস করে দেয়
অস্ট্রেলিয়ার এডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় জানা যায়, কোমলপানীয়তে থাকে উচ্চমাত্রার এসিডিক উপাদান। এই উপাদানগুলো দাঁতের স্থায়ী করে দিতে পারে মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই। দাঁতের এনামেল এর ক্ষতি এবং দাঁত ক্ষয়ের পাশাপাশি দাঁতে দাগও ফেলে দেয় কোমল পানীয়। বিশেষ করে শিশুদের দাঁতের জন্য কোমল পানীয় অত্যন্ত ক্ষতিকর।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে মেদ জমা
নিয়মিত কোমল পানীয় খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে জমে যায় মেদ। কোমল পানীয়ে গ্রহণ করলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় লিভারের মেদ এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মেদ। ফলে নানান রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
যৌন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়
ইউরোপ ও জাপানের দুটি ভিন্ন ভিন্ন গবেষণার ফলাফল ছিলো একই। আর তা ছিলো নিয়মিত কোমল পানীয় খাওয়ার অভ্যাসে পুরুষদের যৌন ক্ষমতা কমে যায়। কোমল পানীয়তে উপস্থিত BVO নামের একটি উপাদান পুরুষদের যৌন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়ার জন্য দায়ী। যারা কোমল পানীয় এড়িয়ে চলেন তাদের চাইতে নিয়মিত কোমল পানীয় পানকারীদের যৌন ক্ষমতা কম থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
আসক্তি
নিয়মিত কোমল পানীয় পান করতে করতে ধীরে ধীরে কোমল পানীয়ের প্রতি আসক্তি তৈরি হয়ে যায়। তখন কোমল পানীয় না খেলে তৃষ্ণা মেটে না কিছুতেই। কোমল পানীয়ের এই আসক্তি মাদকাসক্তির মতোই ছাড়া কঠিন।
বয়সের ছাপ ফেলে দ্রুত
নিয়মিত কোমল পানীয় খেলে চেহারায় দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে যায়। ত্বকে বলিরেখা, ত্বকের শুষ্কতা, চোখের নিচে ভাঁজ পড়া এবং আরো নানান রকমের সমস্যা হতে পারে। ফলে কম বয়সেই বুড়িয়ে যেতে হয়।
কিডনির ক্ষতি
যারা প্রতিনিয়ত কোমল পানীয় পান করেন তাদের কিডনির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নিয়মিত কোমল পানীয় পানে দ্রুত কিডনি নষ্ট হয়ে যায় এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।