Daffodil International University
Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Topic started by: faruque on November 25, 2014, 11:19:12 AM
-
অধীনস্থদের সঙ্গে সু-আচরণ রসুল (সা.) এর সুন্নাত
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের সূরা নিসায় বলেছেন, নিজের দাসদাসীর সঙ্গে সদয় ব্যবহার করো। দাসদাসী বা অধীনস্থ লোকজনের সঙ্গে মানবিক আচরণের জন্য রসুল (সা.) বার বার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি নিজে সবার সঙ্গে সুআচরণের দৃষ্টান্ত রেখেছেন।
বোখারি ও মুসলিমে বর্ণিত এক হাদিসে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন : 'যে ব্যক্তি অধীনস্থদের মিথ্যা দোষারোপ করবে, কেয়ামতের দিন অপবাদের জন্য তাকে সুনির্ধারিত বেত্রাঘাতের শাস্তি সইতে হবে।' মুসলিম বর্ণিত এক হাদিসে আছে, ঝি-চাকরদের প্রয়োজনীয় খাদ্যবস্ত্র দিতে হবে এবং তাদের ক্ষমতার বেশি কোনো কাজ করতে দেওয়া যাবে না। তাবারানি বর্ণিত অন্তিম মুহূর্তের অসিয়তের হাদিসে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন : 'নামাজ ও দাস-দাসীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। দাস-দাসী ঝি-চাকরদের যখন যা দরকার খাদ্যবস্ত্র দিতে হবে এবং তাদের সাধ্যাতীত কোনো কাজের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। নিতান্ত বাধ্য হয়ে যদি দায়িত্ব দিতেই হয়, তাহলে নিজেও উক্ত কাজে অংশ নিতে হবে। এ হাদিসে রসুল (সা.) আরও বলেন, 'আল্লাহর সৃষ্টজীবকে কষ্ট দিও না। তিনি তোমাদের তাদের ওপর প্রভুত্ব দান করেছেন, যদি তিনি ইচ্ছা করতেন তোমাদের ওপর তাদেরকেও প্রভুত্ব দান করতে পারতেন।'
হাকেম বর্ণিত এক হাদিসে আছে, এক মহিলা এসে রসুল (সা.)-কে জানাল : ইয়া রসুলুল্লাহ! আমি আমার দাসীকে 'ব্যভিচারিণী' বলে গালি দিয়েছি। রসুলুল্লাহ (সা.) বললেন : 'তাকে কি তুমি তা করতে দেখেছ?' মহিলাটি বললেন : 'না, ইয়া রসুলুল্লাহ!' রসুল (সা.) বললেন : 'সাবধান! এ মেয়ে কেয়ামতের দিন তোমার থেকে প্রতিশোধ নেবে।' মহিলাটি তৎক্ষণাৎ দাসীর কাছে গিয়ে তার হাতে একটি লাঠি দিয়ে বললেন : আমাকে প্রহার করো। দাসীটি তাতে সম্মত হলো না। মহিলা তখন তাকে আজাদ করে দিলেন। অতঃপর মহিলা রসুল (সা.)-এর দরবারে এসে দাসীকে আজাদ করে দেওয়ার কথা প্রকাশ করলেন। শুনে রসুল (সা.) বললেন : 'আশা করা যায়, তোমার অপরাধ ক্ষমা করা হবে।'
বর্ণিত আছে, হজরত সালমান ফারসি (রা.) মাদায়েনের গভর্নর থাকাকালীন একদল মুসলমান তার সঙ্গে দেখা করতে এলেন। তারা দেখতে পেলেন, হজরত সালমান ফারসি (রা.) নিজে স্বীয় পরিবার-পরিজনের জন্য আটা গোলাচ্ছেন। এ দেখে আগন্তুক দল বললেন : আপনি কেন আটা গোলানোর জন্য আপনার দাসীকে নিযুক্ত করছেন না? প্রত্যুত্তরে তিনি বললেন : তাকে আমি অন্য কাজে পাঠিয়েছি। তাকে দিয়ে যদি এটাও করাই তবে তা তার জন্য (অতিরিক্ত) আরও একটি কাজ বেড়ে যাবে, যা আমার পছন্দ নয়।
লেখক : খতিব, আল আমিন জামে মসজিদ, খুলনা।
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/islam/2014/11/24/45476#sthash.g7kfwZ1B.dpuf