Daffodil International University
General Category => Common Forum => Topic started by: ashiqbest012 on September 23, 2010, 12:48:04 PM
-
টাইটানিকের ডুবে যাওয়াটা নিছক কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। নাবিকদের ভুলেই জাহাজটি ডুবেছে। যে হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে জাহাজটি ডুবেছে, সেটি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু নাবিকেরা বোকার মতো ভুল পথে জাহাজটি পরিচালনা করায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নতুন প্রকাশিত একটি বইয়ে এসব দাবি করা হয়েছে। গুড অ্যাজ গোল্ড নামের বইটি লিখেছেন লেডি প্যাটেন। ওই ট্র্যাজেডি থেকে বেঁচে যাওয়া টাইটানিকের সেকেন্ড অফিসার চার্লস লাইটোলারের নাতনি হলেন প্যাটেন।
১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে টাইটানিক। ১৫ এপ্রিল আটলান্টিক মহাসাগরে বিশালকায় এক হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এটি ডুবে যায়। এতে এক হাজার ৫১৭ জন আরোহীর প্রাণহানি ঘটে। এত দিন বিশ্বাস করা হয়েছে, অতি দ্রুতগতিতে চালানোর কারণে ও নাবিকেরা সঠিক মুহূর্তে হিমশৈলটি দেখতে না পাওয়ায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
কিন্তু ঘটনার প্রায় ১০০ বছর পর নতুন এ বইয়ে বলা হয়েছে, হিমশৈলটি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। তবে নাবিকেরা এটি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ভুল পথে জাহাজটি পরিচালনা করেন। নাবিকেরা পরক্ষণেই ভুল বুঝতে পারলেও ততক্ষণে বড় দেরি হয়ে যায়। দানবাকৃতির হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিলাসবহুল এ জাহাজের পার্শ্বদেশ ছিদ্র হয়ে যায়।
বইটিতে বলা হয়েছে, তার পরও যাত্রী ও নাবিকদের বাঁচানো সম্ভব ছিল। যদি জাহাজটি চালানো তখনই বন্ধ করে দেওয়া হতো। কিন্তু সেখানেও মারাত্মক ভুল করা হয়েছে। জাহাজটি চালিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে জাহাজের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে এটি ডুবে গেছে।
এত দিন এসব তথ্য গোপন রেখেছিলেন চার্লস লাইটোলার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। চার্লস লাইটোলার এ ট্র্যাজেডি নিয়ে করা দুটি তদন্তেই তথ্য আড়াল করেছেন। তাঁর আশঙ্কা ছিল, এসব তথ্য ফাঁস করে দিলে জাহাজের মালিকেরা ক্ষতিপূরণ পাবেন না। তা ছাড়া সহকর্মীদের চাকরির কথা চিন্তা করেও এ তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি।
কিন্তু লাইটোলারের নাতনি লেডি প্যাটেন এত দিন পর তথ্য প্রকাশ না করে আর পারেননি। তিনি বলেছেন, টাইটানিকের ব্যাপারটি দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কিন্তু সত্য হলো, নাবিকেরা হিমশৈলটি এড়াতে পারতেন। ভুল করেছেন তাঁরা।
বইটিতে বলা হয়েছে, পালের পরিবর্তে বাষ্পের সাহায্যে জাহাজ চালাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাষ্পের সাহায্যে জাহাজ চালানোর সময় বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুতগতিতে চলছিল জাহাজটি।
লেখিকা লেডি প্যাটেন আরও বলেছেন, টাইটানিকের ফার্স্ট অফিসার উইলিয়াম মুরডক দুই মাইল আগে থেকেই হিমশৈলটি দেখতে পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর নির্দেশ সঠিকভাবে বুঝতে পারেননি থার্ড অফিসার রবার্ট হিচিনস। উইলিয়াম মুরডক ‘সামনের দিকে তাকিয়ে এ নির্দেশ দেওয়ায়’ তাঁদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। মারডকের নির্দেশমতো হিচিনস জাহাজের মোড় বাঁ দিকে না ঘুরিয়ে ডান দিকে ঘুরিয়েছিলেন। অবশ্য পরক্ষণেই তাঁকে ভুল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে হিমশৈলের খুব কাছাকাছি চলে আসে জাহাজ। এর অগ্রভাগ হিমশৈলের সঙ্গে আঘাত লেগে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্যাটেনের দাদা লাইটোলার গুরুতর এ ভুলের কথা তখনকার একটি বৈঠক থেকে জানতে পারেন। জাহাজটি ডুবে যাওয়ার একেবারে শেষ মুহূর্তে চারজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে নিয়ে মারডকের কেবিনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্যাটেন বলেন, এরই মধ্যে টাইটানিকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান হোয়াইট স্টার লাইনের চেয়ারম্যান ব্রুস ইসমেই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে পাল তুলে চালিয়ে যেতে বলেন। এতে জাহাজের গতি কমে যায়। এর ফলে জাহাজের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢোকার পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে জাহাজটি দ্রুত ডুবে যায়।
Source: Prothom alo
-
Important post....
-
Nice and informative story....I enjoy it..........~
-
I am agree with ashiq . may be he says right ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
JAFAR IQBAL
ID: 091-27-128
Department of Real Estate
Daffodil International University
-
If you really agree with me, Why you mentioned "may be". Mr. Jafar, Don't mind do some effective things in the DIU forum, Plz avoid writing like nice post, you are right, informative post, you r right bro etc. Nobody likes it. We know that you want to be a Hero member as soon as possible. It's my opinion.
Best of luck