Daffodil International University

Faculty of Allied Health Sciences => Pharmacy => Topic started by: Saqueeb on December 01, 2014, 11:06:07 AM

Title: শীতের মেওয়া কমলা
Post by: Saqueeb on December 01, 2014, 11:06:07 AM
(http://paimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/643x0x1/uploads/media/2014/11/30/4ecf1adf43d46e77f6673550a1cba6b3-KAMALA-LEBUR.jpg)

   

চাইলেই সব সময় মেওয়া না পাওয়া গেলেও শীতের শুরুতেই হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে কমলালেবু।খাবার-দাবার থেকে শুরু করে পোশাক-আশাক কিংবা সেবা! সবকিছুতেই আমাদের কিছু না-কিছু বেছে নিতে হয়। যার যার সাধ আর সাধ্যের মধ্যেই এই বেছে নেওয়া। কিন্তু হাল দুনিয়ায় এই বেছে নেওয়া নিয়েও কিছু কথা চালু হয়েছে। কেউ কেউ বলে থাকেন, ‘তুমি যা কেনো তুমি তাই’ কিংবা ‘তুমি যা খাও তুমি তাই’। আমাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কি বাজারি ফলের রস খাব, নাকি সরাসরি ফলটাই কিনে খাব। চাইলেই সব সময় মেওয়া না পাওয়া গেলেও শীতের শুরুতেই হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে কমলালেবু। কমলার নানা গুণ নিয়েই এই প্রতিবেদন।

কমলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা

এই মৌসুমে প্রতিদিন একটা কমলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কমলার সমৃদ্ধ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে দূষণমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। ভিটামিন-সিসমৃদ্ধ কমলালেবু সাধারণ ভাইরাল সংক্রমণ রোধে দারুণ কার্যকর। এ ছাড়া ত্বক আর চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও সহায়ক। কমলালেবু সম্বন্ধে এক নিঃশ্বাসেই এমন আরও অনেক কথা বলে ফেলা যায়। যেকোনো সাধারণ চিকিৎসকই হয়তো আপনাকে এগুলো বলবেন।

কমলার পুষ্টি কথা

একজন পুষ্টি বিশারদের কাছে গেলে আপনি জানতে পারবেন—মাঝারি আকারের একটা কমলায় ক্যালরির পরিমাণ প্রায় ৮০। আর এতে কোনো ফ্যাট নেই। এটা এমন এক জনপ্রিয় ফল, যা মনকে সতেজ করে। ভিটামিন-সির পাশাপাশি কমলায় ভালো ভিটামিন-এ আছে; যা চোখের জন্য খুবই উপকারী। কমলা একটা আঁশযুক্ত ফল এবং এতে পটাশিয়াম আছে। এ দুই-ই সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। অন্যান্য বিষয় ছাড়াও এই আঁশের কারণেই কেবল রস না খেয়ে আস্ত কমলা খাওয়াই বেশি উপকারী।

ত্বকের যত্নে কমলা

কমলায় থাকা প্রাকৃতিক তেল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে দারুণ। কমলায় থাকা প্রাকৃতিক সাইট্রিক অ্যাসিড অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে ভালো কাজ করে। এক কাপ বিশুদ্ধ পানিতে কয়েক ফোঁটা তাজা কমলার রস মিশিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এবার একটু নাইট-ক্রিমের সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ কমলার রস মিশিয়ে তুলোর বল দিয়ে আলতো করে মুখে-ঘাড়ে-গলায় ম্যাসাজ করুন। শীতকালীন শুষ্কতা দূর করে সতেজ আর তারুণ্যদীপ্ত ত্বক পেয়ে যাবেন আপনি। এ ছাড়া, শুকিয়ে নেওয়া কমলার খোসার সঙ্গে দই মিশিয়ে বানানো মণ্ড শরীর মাজার জন্য দারুণ উপকারী।

চুলের যত্নে কমলা

কমলার রস চুলের কন্ডিশনার হিসেবেও দারুণ। একটা আস্ত কমলার রসের সঙ্গে আধা চামচ মধু মেশান। এবার এক বাটি পানিতে কমলা-মধুর দ্রবণটি ভালো করে মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই দ্রবণ চুলে মাখুন। মিনিট দশেক রেখে দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং খুশকি দূর হবে। আর চুলে বাড়তি উজ্জ্বলতার সঙ্গে যুক্ত হবে একটা হালকা মিষ্টি সুগন্ধিও।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে।