(http://paimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/350x0x1/uploads/media/2014/12/01/17920fce31caf2b7d0601407afe574a1-3.jpg)
নানা রকম খাবার খাওয়ার সময় মানুষের স্বাদের অনুভূতি আশপাশের পরিবেশ ও অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু আপনি যদি হঠাৎ করে খাবার পছন্দ করার ব্যাপারে খুব বেশি বাছবিচার শুরু করেন, তাহলে খাবারের গুণাগুণ বা পরিবেশের দোষ দেবেন না। কারণ, হয়তো জিনগত কারণেই আপনার আচরণে এই পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক এ কথা জানিয়েছেন।
চার থেকে সাত বছর বয়সী একদল যমজ শিশুর ওপর গবেষণা চালিয়ে গবেষকেরা দেখতে পান, টিএএসটুআরথার্টিএইট নামের একটি বিশেষ জিন মানুষের স্বাদের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে ব্যক্তিভেদে এই জিনের পার্থক্য রয়েছে।
স্মিথসোনিয়ান ডট কম নামের ওয়েবসাইটে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ফিলাডেলফিয়ার মনেল কেমিক্যাল সেনসেস সেন্টারের গবেষকেরা আরও দেখতে পান, ওই একই জিন মিষ্টি খাবারের প্রতি শিশুদের আকর্ষণ নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষকেরা বলেন, যেসব শিশু তেতো স্বাদের খাবারের প্রতি তীব্র অনীহা প্রকাশ করে, তারা সাধারণত মিষ্টিজাতীয় খাবার পছন্দ করে। আর বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে তেতো স্বাদের প্রতি যাঁরা আকর্ষণ বোধ করেন, তাঁরা সাধারণত মিষ্টিজাতীয় খাবার অপছন্দ করেন।
জন্মের পর শিশুরা মায়ের দুধের মধ্য দিয়ে স্বাদের অনুভূতি চিনতে শেখে। তবে গর্ভে থাকার সময়ই তারা অ্যামনিওটিক তরল খাবার গ্রহণের মাধ্যমে কিছুটা স্বাদের অনুভূতি পায়। শিশুদের অনেকে শাকসবজি খেতে চায় না। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় তাদের এই প্রবণতাকে একধরনের অসুখ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওষুধ বা আচারজাতীয় খাবার খাইয়ে তাদের এই অসুখ সাময়িক সারানো সম্ভব হয়। তবে স্বাদের অনুভূতি বা তেতো খাবারের প্রতি অনীহা ইত্যাদি প্রবণতার কারণে অনেকে বৈচিত্র্যময় খাবার খাওয়ার সুযোগ পায়।