Daffodil International University

Faculty of Allied Health Sciences => Pharmacy => Topic started by: Saqueeb on December 06, 2014, 11:04:42 AM

Title: ফুলকপি
Post by: Saqueeb on December 06, 2014, 11:04:42 AM
খাদ্যগুণের প্রাচুর্যে ভরা এক ফুল

ফুলকপি পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। সবুজ-সাদার এক অপূর্ব সৃষ্টি ফুলকপি বেশ জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি। খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে ইউরোপে উত্পত্তি হওয়া ফুলকপির আদিস্থান ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা। ফুলকপি পুষ্টিকর একটি সবজি। ফুলকপির ফুল অর্থাত্ সাদা অংশটুকুই খাওয়া হয় আর সাদা অংশের চারপাশে ঘিরে থাকা ডাঁটা এবং পুরু, সবুজ পাতা দিয়ে স্যুপ রান্না করা হয় অথবা ফেলে দেওয়া হয়। এটি রান্না বা কাঁচা যেকোনোভাবে খাওয়া যায়।

মলাশয় ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়

বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, মলাশয় ক্যানসারে আক্রান্তের ঝুঁকি অর্ধেক কমাতে হলে সপ্তাহে প্রায় দুই পাউন্ড ফুলকপি এবং এ জাতীয় শাকসবজি খেতে হবে। বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, ফুলকপির কচিপাতা সপ্তাহে এক আউন্সের কিছু বেশি খেলে তার দেহে ক্যানসারের ঝুঁকি অর্ধেক কমতে পারে।

রক্তস্বল্পতা দূর করে, হাড় মজবুত রাখে

ফুলকপিতে আয়রনের পরিমাণ আলু, মুলা, মিষ্টিকুমড়া, বেগুন, টমেটো, চিচিঙ্গা ও ঝিঙ্গার চেয়ে বেশি। ক্যালসিয়ামের পরিমাণও আলু, বাঁধাকপি, গাজর, মুলা, মুলাশাক, লাউ, চালকুমড়া, শসা, করল্লা, কাঁকরোল, বেগুন, পটোল, মটরশুঁটি, বরবটি ইত্যাদি সবজির চেয়ে বেশি থাকে। ফুলকপিতে ভ্যালিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। ফুলকপিতে গরুর দুধের চেয়ে ক্যালসিয়াম ও আয়রনের পরিমাণ যথাক্রমে ৫ গুণ এবং ২০০ গুণ বেশি।

ফুলকপির পাতাও অনেক উপকারী


পুষ্টিবিদদের মতে, খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপির পাতায় যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে, তা হল জলীয় অংশ ৮০ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ৩ দশমিক ২ গ্রাম, আঁশ ২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি, প্রোটিন ৫৯ গ্রাম, চর্বি ১ দশমিক ৩ গ্রাম, শর্করা ৭ দশমিক ৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৬২৬ মিলিগ্রাম ও আয়রন ৪০ মিলিগ্রাম। ফুলকপির পাতায় ভিটামিন এ-এর পরিমাণ বেশি থাকায় চোখকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।বাল্টিমোরে জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকরা ফুলকপির পাতায় আইসোথায়াসায়ানেটস নামক রাসায়নিক পদার্থ পেয়েছেন, যা দেহে সৃষ্ট জৈব রাসায়নিক পদার্থের স্বাভাবিক বিষক্রিয়া দূর করতে শক্তি জোগায়।

জীবনব্যাপী রোগসমূহে উপকারী

সারাজীবনের রোগগুলোর মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হূদরোগ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়ে থাকে। এসব রোগের সার্বিক নিরাময়ে ভূমিকা রাখে ফুলকপি। ফুলকপি সব রোগেরই উপকারে আসে। কোলেস্টেরল কমায়, ওজন কমায়। ডায়াবেটিসের কারণে রক্তনালির যে ক্ষতি হয় ফুলকপি তা প্রতিরোধে সহায়তা করে। তা ছাড়া ফুলকপি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।