Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Hair Loss / Hair Maintenance => Topic started by: Karim Sarker(Sohel) on January 01, 2015, 11:50:50 AM
-
শীতে আবহাওয়া হঠাত্ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলেও রুক্ষ্মতা আসে। এই সময় একে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান কমে যায়, ফলে চুলও আর্দ্রতা হারিয়ে রুক্ষ্ম হয়ে যায়।
আবার এই সময় বাতাসে ধুলো বালির পরিমান বেশি থাকায় চুল সহজে নোংরা হয়ে যায়। তাই চুলের যত্ন নিতে হবে খুব সচেতন ভাবে। রইল চুলের যত্ন নেওয়ার ১০টি টিপস-
১. শ্যাম্পু-
চুল নিয়মিত পরিষ্কার রাখা চুলের যত্নের প্রথম ধাপ। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করা প্রয়োজন। রোজকার শ্যাম্পু বদলে ফেলে ব্যবহার করুন ক্রিম বেসড বা বিয়ার বেসড শ্যাম্পু। এই শ্যাম্পু চুল পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি আর্দ্রতাও বজায় রাখবে। শ্যাম্পু কিন্তু সবসময় তালুতে লাগাবেন। চুলে লাগাবেন না। ধোয়ার সময় ফেনাতেই চুল ধুয়ে যাবে।
২. ডিপ কন্ডিশনিং-
সব ঋতুতেই চুল নিয়মিত কন্ডিশনিং করা জরুরি। আর এই সময় হঠাত্ রুক্ষ্ম হয়ে যাওয়া চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনিং অব্যর্থ। শ্যাম্পুর মতোই ক্রিম বা বিয়ার বেসড কন্ডিশনার চুলের রুক্ষ্মতা দূর করবে।
বাড়িতে চায়ের লিকারের সঙ্গে ঘরোয়া কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কন্ডিশনিং করতে পারলে খুব ভাল।শ্যাম্পুর করার পর বিয়ার দিয়ে চুল ধুয়ে নিলেও রুক্ষ্মতা কেটে গিয়ে সুন্দর ঔজ্জ্বল্য আসে।কন্ডিশনার কিন্তু সবসময় চুলে লাগাবেন, তালুতে নয়।
৩. তেল-
এই সময় রুক্ষ্ম চুলকে বশে রাখতে তেলের প্রয়োজন যেমন আছে, তেমনই চুলে তেল মেখে রাস্তায় বেরনো একেবারেই নৈব নৈব চ। এতে মাথায় আরও বেশি ধুলোবালি বসে যাবে। তাই শ্যাম্পু করার আগের দিন রাতে তেল গরম করে মাথার তালুতে লাগিয়ে মাসাজ করুন। চুলে লাগানোর দরকার নেই। এরপর গরম জলে নরম তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় ভাল করে জড়িয়ে ঘুমোতে যান। পরদিন অবশ্যই শ্যাম্পুর করে চুল শুকিয়ে রাস্তায় বেরোবেন।
৪. প্যাক-
ঘরোয়া পদ্ধতিতে সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলে প্যাক লাগান। হেনা একেবারেই করবেন না বা ডিম জাতীয় কন্ডিশনার এড়িয়ে চলুন। এই ধরণের জিনিস চুল আরও রুক্ষ্ম করে তোলে। তার বদলে লাগাতে পারেন কলা ও মধুর প্যাক। এই প্যাক চুল নরম করবে। প্যাক কিন্তু সবসময় চুলে লাগাবেন। কখনই মাথার তালুতে লাগাবেন না।
৫. স্পা-
চুলের যত্ন নিতে মাসে ১ থেকে ২ বার স্পা করা খুব জরুরি। পার্লারে গিয়ে বাড়িতে স্পা কিট কিনে এনে স্পা করুন। বাড়িতে করলে মাসে দু’বার ও পার্লারে গিয়ে করালে মাসে অন্তত একবার স্পা করান।
৬. চুল বেধে রাখুন-
এই সময় রাতে শোওয়ার সময় চুল বেধে রাখুন যাতে চুলের ডগা বেশি ঘষা না লাগে। রাস্তায় বেরনোর সময়ও চুল বেধে বেরনো ভাল এতে ধুলোবালি কম ঢুকবে। যদি কোনও পার্টিতে খোলা চুলের স্টাইল করতে চান তাহলে অবশ্যই রাস্তায় চুল কোনও ক্লিপ দিয়ে হালকা আটকে রাখুন। পুরো খুলে রাখবেন না। পার্টিতে গিয়ে চুল খুলে ব্রাশ করে নিন।
এসি অফিসে কাজ করলে কখনই চুল খুলে রাখবেন না। এসিতে চুল বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। তবে ভেজা চুল বাধবেন না।
৭. চুল ট্রিম করুন-
যদি আপনার চুলের ডগা ফাটা থাকে তাহলে শীত পড়ার আগেই ট্রিম করে পছন্দ মতো হেয়ারস্টাইল করে নিন। কারণ ডগা ফাটা থাকলে শীতকালে চুল আরও বেশি রুক্ষ্ম হয়ে যাবে। ফলে চুল উঠবে অনেক বেশি।
৮. কালার ও কেমিক্যাল-
যদি চুলে কালার করা থাকে তাহলে নিয়মিত যত্ন নেওয়া জরুরি। যদি কালার করা না থাকে তাহলে এখন নতুন করে না করাই ভাল। কেমিক্যাল থেকেও এই সময় দূরে থাকুন যাতে চুল বেশি শুকিয়ে না যায়।
৯. স্ট্রেটনার ও ড্রায়ার-
স্ট্রেটনার বা ড্রায়ার চুলে সরাসরি হিট দেয়। যার ফলে রুক্ষ্ম তো হয়ে যায়ই, অন্যান্য ক্ষতিও হয়। তাই যতটা সম্ভব এগুলো এড়িয়ে চলুন। যদি চুল সুন্দর স্টাইল করে কেটে রাখেন তাহলে স্ট্রেটনার চালানোর দরকারই পড়ে না। তবে যদি চুল আগে থেকেই স্ট্রেট করা থাকে তাহলে অবশ্যই দ্বিগুণ যত্ন নিতে হবে। তেমনই চুল ড্রায়ার দিয়ে না শুকিয়ে স্নাকে এমনি পিঠের ওপর বিছিয়ে হাওয়ায় শুকিয়ে নিন। তবে ভেজা চুলে একেবারেই রাস্তায় বেরোবেন না।
১০. খাওয়া দাওয়া-
চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুব প্রয়োজন। তাই খাওয়া দাওয়ার ওপর বিশেষ নজর দিন। খাদ্যতালিকায় প্রচুর মরসুমি ফল, শাকসবজি রাখুন। তেল জাতীয় খাবার কম খান। আর খান প্রচুর জল। জানবেন শরীর সুস্থ থাকলেই চুল সুস্থ থাকবে।