Daffodil International University
Entertainment & Discussions => Animals and Pets => Topic started by: Karim Sarker(Sohel) on January 11, 2015, 07:14:20 PM
-
৬/ মাদাগাস্কার :-
মাদাগাস্কার, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ। আয়তন ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৪১ বর্গ কিমি। মাদাগাস্কার সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত এর অসাধারণ আর অদ্ভুতুড়ে জীববৈচিত্র্যের কারণে। মাদাগাস্কারের জীবজন্তুগুলোর ৮০ ভাগই পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। মাদাগাস্কারে প্রায় ৬০০ প্রজাতির জীব আছে। এই দ্বীপের ৬০০ প্রজাতির জীবের মধ্যে নানারকম গাছপালা আছে ৩৮৫ প্রজাতির, কীটপতঙ্গ আছে ৪২ প্রজাতির, মাছ আছে ১৭ প্রজাতির, উভচর প্রাণী আছে ৬৯ প্রজাতির, সরীসৃপ আছে ৬১ প্রজাতির আর স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে ৪১ প্রজাতির।বিজ্ঞানীদের হিসাবমতে, মাদাগাস্কারে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২ লক্ষ প্রাণী এবং গাছ আছে, যার মধ্যে প্রায় দেড় লক্ষ প্রজাতিই পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। এদের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৫ প্রজাতির লেমুর, ৩৬ প্রজাতির পাখি এবং আরো অনেক অদ্ভূত অদ্ভূত সব প্রাণী। আবার মাদাগাস্কারের অসংখ্য ব্যাঙের মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগই শুধু মাদাগাস্কারেই পাওয়া যায়।
৭/ নিউজিল্যান্ড : অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বের ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড। দেশটির পরিবেশ এবং প্রাণীকূল বৈচিত্র্যময়। কিইউ পরিচালক পিটার জ্যাকসনের বিখ্যাত সিনেমা ‘লর্ড অফ রিংগস’ এ নিউজিল্যান্ডের প্রায় সব জীব বৈচিত্র্যের দেখা পাওয়া যায়। দেশটিতে রয়েছে বিরল প্রজাতির প্রায় বাদুর,সরিসৃপ আর ফিসওয়াটার মাছ। এছাড়াও রয়েছে ২০ হাজার প্রজাতির ছত্রাক।
৮/ তাসমানিয়া :-
তাসমানিয়া একটা অস্ট্রেলিয়ান দ্বীপ রাজ্য যা মূল ভূমি থেকে ২৫০ কিমি দক্ষিনে, বস প্রনালী দ্বারা বিভিক্ত। এইটা হলো পৃথিবীর ২৬ তম বৃহত্তম দ্বীপ। তাসমানিয়াকে বলা হয় তার দেশের জীববৈচিত্রের হটস্পট।তাসমানিয়ায় রয়েছে মাংশাসী প্রানী; যেগুলোকে বলা হয় তাসমানিয়ান শয়তান। এছাড়াও রয়েছে হুয়ান পাইন গাছ,যেগুলো খুব ধীরে বড় হয় কিন্তু বেচে থাকে অবিশ্বাস্যভাবে প্রায় ৩ হাজার বছর।আরো আছে পেঙ্গুইন, তোতা এবং বিরল প্রজাতির সুদর্শন পামলিক গাছ ।
৯/ পালাউ :-
পালাউ প্রজাতন্ত্র পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের একটি স্বাধীন প্রজাতান্ত্রিক দ্বীপরাষ্ট্র। দেশটি কালো দ্বীপপুঞ্জ নামেও পরিচিত। আয়তন মাত্র ১৭০ বর্গ মাইল।কিন্তু আয়োতন কম হলে হবে কি, দ্বীপটির জলে আর স্থলে রয়েছে প্রাকৃতিক সব বন্যপ্রানীতে ভরপুর। উপকুলবর্তী অঞ্চলে রয়েছে কোরাল ও ক্রাস্টেসিয়ান এর সমারোহ। আরো আছে ওয়াটার ফিস, জেলি ফিস ।
১০/ কোইবা দ্বীপ, পানামা :-
পানামার মূল ভূখণ্ড থেকে ১৫ মাইল দূরে অবস্থিত ১ লাখ ২২ হাজার একর বিস্তৃত ইসলা কোইবা পানামার সবচেয়ে বড় দ্বীপ। এই দ্বীপের চারদিকের সমুদ্রে রয়েছে হাঙরের অবাধ বিচরণ। এখানকার মতো এমন ম্যানগ্রোভ বন, আদিম বেলাভূমি পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না। কোইবা দ্বীপ হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র স্থান যেখানে এখনও লম্বা লেজওয়ালা লাল রঙের টিয়ে পাখি এবং ঝুঁটিওয়ালা ঈগল টিকে আছে। ২০০৫ সালে ইউনেস্কো ৩৭টি ছোট ছোট দ্বীপ পরিবেষ্টিত কোইবা ন্যাশনাল পার্ককে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।কোইবা দ্বীপে প্রায় ৭০০ এর মত সামুদ্রিক মাছের সন্ধান পাওয়া গেছে।
Collected from
Latest BD News