Daffodil International University
Faculty of Engineering => EEE => Topic started by: Esrat on January 15, 2015, 04:19:12 PM
-
গবেষণাগারে তৈরি কৃত্রিম ক্রোমোজোম ইস্টের শারীরিক কাঠামোর মধ্যে বাস্তব ক্রোমোজোমের মতোই কাজ করেছে। জীববিজ্ঞানে কৃত্রিম বা বিকল্প উপাদানের প্রয়োগের ক্ষেত্রে এটি এক বড় অগ্রগতি। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাংগন মেডিকেল সেন্টারের গবেষক জেফ বোয়েক কৃত্রিম ক্রোমোজোমগুলোর কার্যকারিতা আরও বাড়ানোর কৌশল বের করা চেষ্টা করছেন।
কৃত্রিম ক্রোমোজোম তৈরির প্রথম প্রচেষ্টায় ইস্টকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো শিল্পোৎপাদনে এই ছত্রাক ব্যবহারের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান ইস্টের একটি অনুরূপ কাঠামো তৈরি করেছে, যা ম্যালেরিয়ার ওষুধ তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। পাউরুটি ও চোলাইশিল্পে ইস্টের ব্যবহার বহু আগে থেকেই হয়ে আসছে।
বিজ্ঞানীরা এর আগে ব্যাকটেরিয়ার মতো তুলনামূলক সরল জীবসত্তার জন্য প্রযোজ্য কৃত্রিম ডিএনএ তৈরি করেন। কিন্তু ইস্টের গুরুত্ব হলো, অন্যান্য জীবসত্তার মতোই এই ছত্রাকের কোষে রয়েছে একটি নিউক্লিয়াস। এটির সঙ্গে উদ্ভিদ ও প্রাণীর সম্পর্ক রয়েছে। মানুষের প্রায় দুই হাজার জিনের সঙ্গে ইস্টের জিনের মিল পাওয়া যায়।
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, জৈব উপাদানের কৃত্রিম সংস্করণ বা বিকল্প তৈরি করার মাধ্যমে ওষুধ প্রস্তুতি এবং জৈব জ্বালানি তৈরির ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। জিনগত পরিবর্তনের মধ্যে জিনকে একটি জীবসত্তা থেকে অন্যটিতে স্থানান্তর করার ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে ‘কৃত্রিম’ মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন জিনগত উপাদান তৈরির ফলে জীববিজ্ঞানের গবেষণা অনেক দূর এগিয়ে যাবে। অবশ্য এ ধরনের গবেষণা কার্যক্রমের সমালোচনাও রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে এ ধরনের কাজের পরিণামে অপ্রত্যাশিত ও নজিরবিহীন বিপদ হতে পারে। জবাবে গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা নিয়ন্ত্রিতভাবেই কৃত্রিম জৈব উপাদান তৈরির চেষ্টা করছেন।
মার্কিন বিজ্ঞানী ক্রেইগ ভেন্টার ২০১০ সালে ব্যাকটেরিয়ার জন্য প্রথম কৃত্রিম জিনোম তৈরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। এ বছর ইস্টের ক্রোমোজোম তৈরির মাধ্যমে জৈবপ্রযুক্তি গবেষণায় কৃত্রিম উপাদান সংযোজনের যাত্রা অব্যাহত রইল।
-
Hmm, interesting.