Daffodil International University

Faculty of Allied Health Sciences => Pharmacy => Topic started by: Saqueeb on January 26, 2015, 01:53:31 PM

Title: আদার যত গুণ
Post by: Saqueeb on January 26, 2015, 01:53:31 PM
আদার রয়েছে নানারকম গুণাগুণ। প্রায় সকলের রান্নাঘরে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে আদা থাকবেই। যদি জানা থাকে আদার উপকারিতা আর ব্যবহারের নিয়ম তাহলে ঘরে বসেই নিজের এবং পরিবারের অন্যদের বিভিন্ন অসুখ সারিয়ে নিতে পারেন।
 
(http://www.bd-pratidin.com/assets/images/news_images/2015/01/26/aada_58819.jpg)


আদার গুণাগুণ:

- জ্বর হলে কিংবা ঠাণ্ডা লাগলে আদা খেতে পারেন। কারণ আদায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে ঠাণ্ডার মধ্যে আদা চা বেশ আরামদায়ক।

- ঋতু পরিবর্তনের সময় কারো কারো মাইগ্রেন পেইন, অ্যাজমার সমস্যা দেখা যায়। এই সময়কার খাদ্য তালিকায় আদা রাখুন। সর্দি-কাশির প্রকোপের সময় মুখে আদা রাখলে আরাম পাওয়া যায়।

- গা গোলানো ও বমিভাব থেকে রেহাই পেতে খানিকটা আদা কুচি চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। সমস্যা অনেকটা কমবে।

- আর্টারি ওয়ালে ব্যাড কোলস্টেরল ও ফ্যাটি অ্যাসিড জমে করোনারি হার্ট ডিজিজের সমস্যা দেখা যায়। ফলে রক্ত চলাচলে অসুবিধা দেখা যায়। আদা রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। লিভার ও ব্লাডে কোলেস্টেরল অ্যাবজ়র্বশন কম রাখতে আদা সাহায্য করে।

- গবেষণায় জানা গিয়েছে যে অতিরিক্ত ওজন ঝরাতেও আদা সাহায্য করে। টিস্যু বেশি এনার্জি ব্যবহার করায়, বেশি ক্যালরি বার্ন হয়।

- আদায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে। ক্যানসার ও হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ওভারিয়ান ক্যানসার প্রতিরোধে আদা উপকারী।

- আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগলে সারা দিনের খাবারে অল্প পরিমাণে আদা রাখার চেষ্টা করুন। আদা দিয়ে চা খেতে পারেন, সালাদে আদার সরু, লম্বা কুচি মেশাতে পারেন। ব্যথার সমস্যা ধীরে ধীরে কমবে। ঘন ঘন পেইনকিলার খাওয়ার অভ্যেস কমিয়ে হার্বাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি হিসেবে আদা খেয়ে দেখতে পারেন। এছাড়া আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে জিঞ্জার অয়েল উপকারী।

- মেয়েদের পিরিয়ডের সময় পেটে ক্র্যাম্পের সমস্যায় প্রায় নাজেহাল হতে হয়। সে ক্ষেত্রে আদা থেঁতো করে, সামান্য নুন দিয়ে খেতে পারেন।

- প্রেগনেন্ট নারীদের মর্নিং সিকনেসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে আদা।

- আদা হজমে সাহায্য করে।

 
যা মনে রাখতে হবে:

গলস্টোনের সমস্যা থাকলে কত পরিমাণ আদা খাবেন তা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। কারণ আদা বাইল ফ্লো বাড়াতে সাহায্য করে। আর প্রেগনেন্সির সময় সারাদিনে ২৫০ গ্রামের বেশি আদা খাওয়া যাবে না। এবিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।