Daffodil International University
Bangladesh => Heritage/Culture => Topic started by: Sahadat on February 24, 2015, 12:42:11 AM
-
বাঙালি নারীদের নিয়ে কত কথাই না হয়। কারো মতে, বাঙালি নারীরা রান্না, বায়না আর কান্না এই তিনটি কাজ ছাড়া আর কিছুই করতে পারেন না।
আবার কেউ কেউ বলেন, বাঙালি নারী হচ্ছে লাজুক ঘোমটা টানা কাজল দেয়া নারী। বাঙালি নারীদের যারা খুব কাছ থেকে দেখেছেন তাদের কাছে কথাটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। মমতাময়ী বাঙালি নারীরা নিজের আদর, ভালোবাসা দিয়ে খুব সহজে জয় করে নিতে পারেন মানুষের মন। বাঙালি নারীর বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে তুলে ধরা হলো-
উৎসবপ্রেমী
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। নববর্ষ, ঈদ কিংবা দুর্গা পূজা – সব উৎসবই যেন বাঙালি নারীর জন্য তৈরি। প্রতিটি উৎসবের সঙ্গে মানানসই পোশাক পরতে এবং সেই উৎসবের উপযুক্ত রান্নায় পারদর্শী তাঁরা। ডয়চে ভেলের পাঠক সুজন খানের কথায়, বঙ্গের নারী লাজুক প্রকৃতির, কিন্তু যেকোনো উপলক্ষেই প্রাণ খোলা হাসি উপচে পড়ে তাঁদের।
শাড়িতে সবচেয়ে সুন্দর
বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে শাড়ি। সেই শাড়ি বাঙালি নারীর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে চমৎকারভাবে। বিভিন্নভাবে শাড়ি পরতে জানেনও তাঁরা। আর উপহার হিসেবে শাড়ি? কোন বাঙালি মেয়ে না চায় বলুন?
ভ্রমণপ্রিয়
বাংলাদেশি কিংবা ভারতীয় বাঙালি নারীর গুণ কি আর অল্পতে জানানো যায়, বলুন? কিছু গুণ না হয় অজানাই থাক। তবে একটির কথা বলে শেষ করি, বাঙালি মেয়েরা কিন্তু ঘুরতে খুব ভালোবাসেন।
আবেগী, স্বাধীনচেতা
গরবিনি, আবেগী এবং স্বাধীনচেতা, বাঙালি নারীর সঙ্গে এই তিনটি বিশেষণই মানানসই। আবেগ যেমন তাঁদের দ্রুত স্পর্শ করে, তেমনি স্বাধীনতার প্রশ্নে কিন্তু তাঁরা সত্যিকার অর্থে অনড়। নিজের সত্ত্বা নিয়ে অহংকার তাঁদের আছে বটে, তবে তার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মধ্যে রয়েছে অসীম ধৈর্য।
রান্নার শখ
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথাই ধরুন। দেশ সামলানোর কঠিন দায়িত্ব পালনের মাঝেও রান্না ঘরে যেতে ভোলেন না তিনি। গত বছর ছেলের জন্য রান্না করার সময় তোলা তাঁর এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তুলেছিল। বাঙালি মেয়েরা রাঁধতে যে ভীষণ ভালোবাসেন!
অল্পতেই সন্তুষ্ট
বাঙালি মেয়েদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা কি খুব কঠিন? না। সকলেই জানেন যে, কাজটা সহজই। একটি লাল গোলাপ পেলে কিংবা প্রিয় রেস্তোরাঁয় নিয়ে গেলেই তাঁরা সন্তুষ্ট। ডয়চে ভেলের পাঠক রনজু খালেদের মতে, বাঙালি নারীর মধ্যে একই সাথে দৃঢ়তা ও নমনীয়তা এবং প্রজাপতির চপলতা রয়েছে।
কাজল কালো চোখ
জীবনানন্দ দাসের বনলতা সেন কিংবা রবিঠাকুরের কৃষ্ণকলি- বাঙালি নারীর কাজল কালো চোখের প্রশংসা পাবেন অনেক কবির কবিতাতেই। সত্যি বলতে কি, বাঙালি নারীর চোখ পুরুষকে টানে সবচেয়ে বেশি।
বাকপটু
বাংলাদেশের কিংবা ভারতের মেয়েরা চুপ করে বসে আছেন- এমন দৃশ্য কল্পনা করাও কঠিন। তাঁরা কথা বলতে ভালোবাসেন। রান্না থেকে রাজনীতি- সব বিষয়েই একটা মতামত আছে তাঁদের। ডয়চে ভেলের পাঠক জি এন এস নয়নের কথায়, নারী পুরুষের যেকোনো কষ্ট অতি সহজে ভুলিয়ে দিতে পারে। এই গুণই আমাকে মুগ্ধ করে, আবার সাথে অবাকও করে।
নারীবাদী
বাঙালি মেয়েরা নারীবাদী। বিতর্কিত বাঙালি লেখিকা তসলিমা নাসরিন তাঁদের অনেকেরই প্রিয়। নাসরিনের আমার মেয়েবেলা পড়েনি এমন নারী পাওয়া মুশকিল।
নো ডায়েট
বাঙালি নারী ডায়েট করছেন, এমনটা বেশ বিরল। তাই খাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা বেশ উদার। কথায় বলে না, মাছে-ভাতে বাঙালি? অবশ্য মাছ-ভাতের পাশাপাশি ফুসকা কিংবা চটপটি পেলে তো আর কথাই নেই। আসলে টক, ঝাল, নোনতা, মিষ্টি, এমনকি তেতোও পছন্দ এই নারীদের।
-
বাঙালি মেয়েরা নারীবাদী। দ্বিমত পোষণ করছি।
-
Thanks a lot for the informative post.