Daffodil International University

Health Tips => Health Tips => Topic started by: Badshah Mamun on March 01, 2015, 10:47:32 AM

Title: Honey (মধু)
Post by: Badshah Mamun on March 01, 2015, 10:47:32 AM
Information about pure honey and supplier

মধু কি?
মধু হলো মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত অপূর্ব নেয়ামত। স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং যাবতীয় রোগ নিরাময়ে মধুর গুণ অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) একে ‘ খাইরুদ্দাওয়া’ বা মহৌষধ বলেছেন। খাদ্য ও ঔষধ- উভয়বিধ সমৃদ্ধ এ নির্যাস প্রাচীনকাল থেকেই পারিবারিকভাবে ‘ পুষ্টিকর ও শক্তিবর্ধক ’ পানীয় হিসেবে সকল দেশের সকল পর্যায়ের মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে ব্যবহার করে আসছে।
 
মধুর উপাদান
মধুতে যে সকল উপাদান রয়েছে এর মধ্যে প্রধান উপাদান সুগার। সুগার বা চিনি আমরা অনেকেই এড়িয়ে চলি। কিন্তু মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ এ দুটি পদার্থ সরাসরি মেটাবলাইজড হয়ে যায় এবং ফ্যাট হিসেবে জমা হয়। এতে অ্যালুমিনিয়াম, বোরন, ক্রোমিয়াম, কপার, লেড, জিংক, ও জৈব এসিড (যেমন- সাইট্রিক এসিড, টারটারিক এসিড, এবং অক্সাইড এসিড), কতিপয় ভিটামিন, প্রোটিন, হরমোন, এসিটাইল কোলিন, এন্টিবায়োটিকস, ফাইটোনসাইডস এবং পানি (১৯-২১%) ছাড়াও আরও অনেক রকম পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। মধুতে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন যেমন- ভিটামিন সি বা অ্যাসকারবিক এসিড, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫, বি-৫, বি-৬, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-এ বা ক্যারোটিন ইত্যাদি বিদ্যমান। মধু এমন ধরনের ঔষধ, যার পচন নিবারক (এন্টিসেপটিক), কোলেস্টেরল বিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়া বিরোধী ধর্ম আছে। মধু দ্বারা ব্রঙ্কোনিউমোনিয়ার জীবাণু চথুর্থ দিনে, টাইফয়েডের জীবাণু পঞ্চম দিনে এবং আমাশয়ের জীবাণু ১০ ঘন্টায় ধ্বংস হয়।
 
মধুর উপকারিতা
হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, রক্তনালী প্রসারনের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে এবং হৃদপেশির কার্যক্রম বৃদ্ধি করে। ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ৩. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ৪. দাঁতকে পরিষ্কার ও শক্ত করে। ৫. দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করে। ৬. মধুর রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা, যা দেহের অভ্যন্তরের নানা ঘাত প্রতিঘাত প্রতিহত করে অকাল বার্ধক্য ঠেকাতে সাহায্য করে। ৭. মধুর ক্যালরি রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমান বাড়ায়, ফলে রক্ত বৃদ্ধি পায়। ৮. মধু আন্ত্রিক রোগে উপকারী, মধুকে এককভাবে ব্যবহার করলে পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগের উপকার পাওয়া যায়। ৯. দুর্বল শিশুদের মুখের ভেতর পচনশীল ঘা এর জন্য খুবই উপকারী। ১০. শরীরের বিভিন্ন ধরনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং উষ্ণতা বৃদ্ধি করে। ১১. ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ মধু স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের কলা সুদৃঢ় করে। ১২. মধুতে স্টার্চ ডাইজেস্টিভ এনজাইমস এবং মিনারেলস থাকায় চুল ও ত্বক ঠিক রাখতে মধু একটি অনন্য উপাদান। ১৩. মধু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ১৪. যারা রক্ত স্বল্পতায় বেশি ভোগে বিশেষ করে মহিলারা, তাদের জন্য নিয়মিত মধু সেবন অত্যন্ত ফলদায়ক। ১৫. শিশুদের প্রতিদিন অল্প পরিমান মধু খাওয়ার অভ্যাস করালে ঠান্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর ইত্যাদি সহজে হয় না। ১৬. ক্ষুধা, হজমশক্তি ও রুচি বৃদ্ধি করে। ১৭. রক্ত পরিশোধন করে। ১৮. শরীর ও ফুসফুস্কে শক্তিশালী করে।
 
এপিয়ারি
এপিয়ারি শব্দটি মূলত ব্যবহৃত হয় ‘ মৌচাষের ’ বৈজ্ঞানিক ভাষা হিসেবে। যার বাংলা প্রতিশব্দ মৌ খামার। বাণিজ্যিকভাবেই মূলত খামারগুলি গড়ে উঠে। তবে অনেকেই আবার শখের বশে ঘরের আঙ্গিনায়ও খামার তৈরি করে থাকেন।
 
মৌমাছি প্রকারভেদ
আমাদের দেশে তিন প্রজাতির মৌমাছি চোখে পড়ে।
(১) প্রথমটিকে আমরা দেশি ভাষায় বলি ‘ক্ষুদে মাছি’। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল ‘এপিস ফ্লোরিয়া’। এটিকে ঘর-বাড়ির আঙ্গিনায় সচরাচর দেখতে পাই। এই মাছির উৎপাদন কম বলে বাণিজ্যিকভাবে কেউ পালন করে না।
(২) এই মাছিটির আকার অনেক বড় এবং খুবই বিষাক্ত। এদেরকে দেশি ভাষায় ‘ডাশ, পাহাড়ি, রাক্ষুসে, মধুবলতা, দৈত্য মাছি’ ইত্যাদি বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল ‘এপিস ডরসাটা’। এরা গাছের ডালে বড় আকারের বাসা তৈরি করে। এদেরকে পালন করা যায় না। তবে আমাদের দেশের পাহাড়ি অঞ্চল ও সুন্দরবনের গহিন জঙ্গল থেকে এদের মধু সংগ্রহ করা হয়। অন্যান্য মধুর চাইতে এদের মধুর ফ্লেভার, শক্তি, ঝাজ তথা গুণমান অনেক বেশি।
(৩) তিন নাম্বার মাছিটি হলো এক ও দুই নম্বরে বর্ণিত মাছির মধ্যবর্তী আকারের একটি মাছি। এরা না বর না ক্ষুদে। এদের বৈজ্ঞানিক নাম হলো ‘এপিস মেলিফেরা’। এটি মূলত আমাদের দেশি মাছি না। বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের উপযোগী বলে সরকারীভাবে ইউরোপীয় দেশ সমূহ থেকে এদেরকে আমদানী করা হয়েছে। আমাদের দেশে এটাই একমাত্র চাষ কাজে ব্যবহৃত হয়। এদের উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি।
 
মৌমাছির বৈশিষ্ঠ্য
(১) মৌমাছিরা সর্বদা দলবদ্ধভাবে জীবন যাপন করে।
(২) একটি কেক সকল মাছি একটি রানী মাছির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। কেক দুটি রানী থাকলে একটি রানী চাকের কিছু মাছি নিয়ে অন্যত্র চলে যায়।
(৩) পুরুষ মাছিরা কোন কাজ করে না। তাদের একমাত্র কাজ হলো, রানীকে সঙ্গ দেওয়া। চাকের মেয়ে মাছিরা মূলত কর্মী মাছি এবং তারাই মধু সংগ্রহ করে।
 
আমরা যে মধু আপনাকে সরবরাহ করতে পারবো
 
সুন্দরবনের চাষ করা মধুঃ
আমরা সুন্দরবনের একেবারে কোলঘেষে/ কিনারায় বাক্সভর্তি মৌচাকগুলি সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে রাখি। যেখান থেকে মাছি সরাসরি সুন্দরবন থেকে সংগ্রহ করছে যাকে আমরা বলি সুন্দরবনের চাষের মধু। সুন্দরবনের মধু সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যায় না যে আসলে এটি কোন ফুলের মধু। এখানে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, কেওড়া, মৌ ফুলসহ ২৪৫-৩০০ প্রজাতীর উদ্ভিদ রয়েছে। এই মধুর ফ্লেভার বিভিন্ন ফুলের মিশ্রণ। এই মধু বসে/জমে না। যদি বসে যায় তাহলে বুঝতে হবে যে মধু খাটি নয়। এই মধুটি নিজস্ব ফার্ম থেকে আসে বলে আমরা ১০০% গুণগত মান বা গ্যারান্টি দিয়ে বিক্রয় করি। চাষের মধু মেশিনের মাধ্যমে অপসারন করা হয় বলে এই মধু ৩-৫ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। প্রতি কেজি মধুর মুল্য- ৬০০/-
 
সুন্দরবনের ন্যাচারাল মধুঃ
গহিন জঙ্গলের ভিতর থেকে মৌয়াল দ্বারা মধু সংগ্রহ করি যাকে আমরা বলি সুন্দরবনের ন্যাচারাল মধু। এর স্বাদ যখন যে ফুল ফোটে তখন সেই ফুলের স্বাদ হয়। এই মধুর শক্তি, ফ্লেভার ও ঝাজ বেশি। কারণ এই মৌমাছিটির আকার অনেক বড়  এবং খুবই বিষাক্ত। এদেরকে দেশি ভাষায় ‘ডাশ, পাহাড়ি, রাক্ষুসে, মধুবলতা, দৈত্য মাছি’ ইত্যাদি বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল ‘এপিস ডরসাটা’। আগুনের ধোয়া দিয়ে চাক থেকে মাছি সরিয়ে গাছের ডাল থেকে বিভিন্ন সাইজে অস্ত্র দিয়ে চাক কেটে নেওয়া হয়। তারপর হাত দিয়ে নিংড়িয়ে চাক থেকে মধু বের করে নেওয়া হয়। যে কারণে এই মধুর সাথে কেক অবস্থানরত বাচ্চামাছির দেহের নিংড়ানো রস মধুর সাথে চলে আসে। এ কারণে এই মধু ৫-৬ মাসের মধ্যে গন্ধ হতে থাকে।
 
সরিষা ফুলের মধুঃ
যখন সরিষা ফুল হয় তখন মৌচাকগুলি সরিষা ক্ষেতে/মাঠে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে মোউমাছি ৮০-৮৫ ভাগ সরিষা ফুলের মধু আহরন করে থাকে আর ঐখান থেকে যে মধু সংগ্রহ করি তাকে সরিষা ফুলের মধু বলি। বাকি ১০-১৫ ভাগ অন্য ফুলের মধুর মিশ্রণ এখানে থাকে। সরিষা ফুলের মধু দেখতে সাদাটে। এই মধুর ফ্লেভার সরিষা ফুলের ফ্লেভারের মত। এই মধু জমে/বসে যায়। এমন কি বেশি ঠান্ডা পেলে মিছরির মতো দানা আকার ধারন করবে। ঠান্ডা পেলে সরিষা ফুলের মধু যদি না বসে তাহলে বুঝতে হবে, ঐ মধুতে কোন ক্যামিকেল মিশ্রিত আছে। বসে যাওয়া মধু দেখে অনেকে চিনির শিরার মিশ্রণ বলে মনে করে। কিন্ততু সরিষা এবং ধনিয়া ফুলের মধু ঠান্ডা পেলে বসবেই। এটাই তাদের বৈশিষ্ঠ্য।
 
ধনিয়া ফুলের মধুঃ
যখন ধনিয়া ফুল হয় তখন আমাদের মৌচাকগুলি ধনিয়ার মাঠে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে মৌমাছি ৮০-৮৫ ভাগ ধনিয়া ফুলের মধু আহরন করে থাকে যাকে আমরা ধনিয়া ফুলের মধু বলি। বাকি ১০-১৫ ভাগ অন্য ফুলের মধুর মিশ্রণ এখানে থাকে। এই মধুর ফ্লেভার ধনিয়া ফুলের ফ্লেভারের মত।
 
লিচু ফুলের মধুঃ
যখন লিচু ফুল হয় তখন আমাদের মৌচাকগুলো লিচুর বাগানে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে মৌমাছি ৮০-৮৫ ভাগ লিচু ফুলের মধু আহরন করে থাকে যাকে আমরা লিচু ফুলের মধু বলি। বাকি ১০-১৫ ভাগ অন্য ফুলের মধুর মিশ্রণ এখানে থাকে। এই মধুর ফ্লেভার লিচু ফুলের ফ্লেভারের মত সুন্দুর। এই মধু বসবে না। যদি বসে যায় তাহলে বুঝতে হবে মধু খাটি নয়।
 
কালোজিরা ফুলের মধুঃ
যখন কালোজিরার ফুল হয় তখন আমাদের মৌচাকগুলো কালোজিরার বাগানে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে মৌমাছি ৮০-৮৫ ভাগ কালোজিরা ফুলের মধু আহরন করে থাকে যাকে আমরা কালোজিরা ফুলের মধু বলি। বাকি ১০-১৫ ভাগ অন্য ফুলের মধুর মিশ্রণ এখানে থাকে। এই মধুর ফ্লেভার অনেকটা গুড়ের ফ্লেভারের মতো। এই মধু বসবে না। যদি এই মধু বসে তাহলে বুঝতে হবে মধু খাটি নয়। 


Source: Internet