Daffodil International University
Faculty of Engineering => EEE => Topic started by: mostafiz.eee on March 01, 2015, 12:12:42 PM
-
রোবটযান কিউরিওসিটি মঙ্গলে এমন পাথর খুঁজে পেয়েছে, যা এর আগে পাওয়া মঙ্গলের পাথরের মতো নয়। বিজ্ঞানীরা এ ঘটনায় অভিভূত। তবে পৃথিবীর দু-একটি স্থানে এ ধরনের পাথরের নমুনা রয়েছে। রাসায়নিক গঠনের দিক দিয়ে এ ক্ষেত্রে উভয়ের মধ্যে যথেষ্ট মিলও রয়েছে। ফুটবলের সমান ওই পাথরটি নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গবেষক জেক মাটিজেভিকের নামানুসারে নামকরণ করা হয়। কিউরিওসিটির লেজারের মাধ্যমে পাথরটি ভেঙে এর রাসায়নিক গঠন জানার চেষ্টা করা হয়। বিজ্ঞানীরা প্রথমে ভেবেছিলেন, পাথরটি মঙ্গলের আর দশটি সাধারণ পাথরের মতোই। তবে পাথরটি ভিন্ন। গবেষকেরা দেখতে পান, হাওয়াই বা সেন্ট হেলেনার মতো সামুদ্রিক দ্বীপগুলো এবং রিও গ্রান্ডির মতো মহাদেশীয় উপত্যকা অঞ্চলে (যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো থেকে মেক্সিকোর চিহুয়াহুয়া পর্যন্ত এই অঞ্চলের বিস্তৃতি) প্রাপ্ত অস্বাভাবিক ধরনের পাথরের সঙ্গে এই পাথরটির যথেষ্ট মিল আছে।নাসার বিজ্ঞানীরা জানান, মঙ্গলের ওই পাথরে ম্যাগনেসিয়াম এবং লৌহ উপাদান নেই। এর আগে নাসার পাঠানো যান স্পিরিট ও অপারচুনিটির মাধ্যমে মঙ্গলের যেসব আগ্নেয়শিলার পাথর পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেগুলোতেও ওই দুটি উপাদানই ছিল। কানাডাভিত্তিক কিউরিওসিটির গবেষক এবং কানাডার অন্টারিও প্রদেশের ইউনিভার্সিটি অব গুয়েলফের শিক্ষক রালফ গেলার্ট বলেছেন, এটা আগ্নেয়শিলায় তৈরি, যা গলিত পদার্থ জমে তৈরি হয়। তবে এ পর্যন্ত মঙ্গলে যেসব পাথর পরীক্ষা করা হয়েছে, তার চেয়ে এটা আলাদা। এটা নতুন ধরনের শিলাখণ্ড। পাথরটিতে ‘ফিল্ড-স্পার’-এর মতো খনিজ পদার্থ রয়েছে। বিজ্ঞানীরা পৃথিবী সৃষ্টির প্রথম অবস্থার মতো ওই লালগ্রহেও একই অবস্থায় বিশেষ ওই পাথর গঠনের আভাস পাচ্ছেন। জ্বলন্ত অবস্থা থেকে ক্রমান্বয়ে তাপ বিকিরণ করে পৃথিবীর উপরিভাগ শীতল ও কঠিন হয়েছে। এভাবে গলিত অবস্থা থেকে কঠিন হয়ে গঠিত হয় আগ্নেয় শিলা। পৃথিবীর অভ্যন্তরে গলিত ম্যাগমা ঘন ও ঠান্ডা হয়ে যেভাবে ক্রিস্টালে পরিণত হয়েছে সেভাবেই তৈরি হয়েছে মঙ্গলের ওই নতুন পাথর। কিউরিওসিটি এখন মঙ্গলের মাটি (সয়েল স্কুপ) পরীক্ষার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মূলত, বিজ্ঞানীরা এখন রোবটযানটির গবেষণাগারে মাটির নমুনা নিয়ে সেখানকার রাসায়নিক গঠন আরও নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করতে চাইছেন। যানটি বর্তমানে এর প্রথম বৈজ্ঞানিক গন্তব্য গ্লেনেগ্লের দিকে যাচ্ছে। ওই এলাকায় রয়েছে পৃথক তিন ধরনের শিলা।