Daffodil International University
Faculty of Engineering => EEE => Topic started by: mostafiz.eee on March 01, 2015, 06:32:45 PM
-
পুরুষ মশারা উদ্ভিদের মধু থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে বাঁচে। কিন্তু স্ত্রী মশাদের ডিমের পরিপুষ্টতার জন্যে ও প্রোটিনের গঠনের জন্য রক্তের দরকার। মশকি যখন তার সূচাল শুঁড় (নাসিকা) ত্বকের ওপর অন্তর্নিবিষ্ট করে রক্ত চোষার জন্য তখন এর লালা ত্বকের ভিতর ঢুকে যায়। এই লালায় পরিপাকীয় এনজাইম ও দ্রুত রক্ত প্রবাহিত করার যোগ্য উপাদান উপস্থিত যা কিনা রক্ত জমাট বাধায় বাঁধা দেয়।দেহের কোনো ক্ষত স্থানে রক্ত সহজেই জমাট বেঁধে যায়। তাই মশকিরা আঘাত করার তথা রক্ত বের করার পদ্ধতি না ব্যবহার করে দেহের ভিতর তারা তদের কারসাজি সারে তাদের লালার মাধ্যমে। তাদের লালায় এমন রাসায়নিক বস্তু আছে যার সংস্পর্শে অল্প সময়ের জন্য রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এই অল্প সময়ই তদের রক্ত পানের জন্য যথেষ্ট।
লালারসের উপস্থিতির কারণেই আমাদের দেহে অনেকটা অ্যালার্জির বিরুদ্ধ স্বরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে আমাদের আত্নরক্ষার সংবেদনশীল প্রক্রিয়াগুলো। যে কারণে হিস্টামিন ও অ্যান্টিবডি নির্গত হয়, যা মশকির লালার অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে। আর তারই বহিঃ প্রতিক্রিয়া স্বরূপ অল্প লালারসের কারণেই স্বল্প সময়ের জন্য আক্রান্ত জায়গা ফুলে উঠে ও চুলকানির সৃষ্টি হয়। তবে এই চুলকানির একটি সুবিধাজনক দিক হলো এর কারণে আমরা মশা মারতে উদ্যত হই। যা মশাবাহিত নানা জটিল রোগ সংক্রামণের প্রতিবন্ধকতাস্বরূপ। ফোলা অংশ চুলকানো উচিৎ না, কারণ এতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। এক্ষেত্রে ক্যালামাইন লোশন কিংবা বেনাড্রিল, ক্লোরিটিন ইত্যাদি কঠিন অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে।