Daffodil International University

Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: subartoeee on March 05, 2015, 05:13:02 PM

Title: পাঁচ গ্রহ নিয়ে যে নক্ষত্রের সংসার
Post by: subartoeee on March 05, 2015, 05:13:02 PM
আমাদের এই পৃথিবী থেকে ১১৭ আলোকবর্ষ দূরে একটি প্রাচীন নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আকারে সূর্যের ২৫ ভাগের ১ ভাগ কেপলার ৪৪৪ নামের একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে পৃথিবীসদৃশ পাঁচটি গ্রহ। খবর আইএএনএসের।
নাসার কেপলার মহাকাশযান থেকে পাওয়া তথ্য চার বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে একদল গবেষক অতিপ্রাচীন এই নক্ষত্র ও তার সংসারের খোঁজ পাওয়ার দাবি করেছেন। গবেষকেরা বলছেন, এই নক্ষত্রটি ১ হাজার ১২০ কোটি বছরের পুরোনো হতে পারে।
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক টিগো ক্যাম্পনেট এই গবেষণা প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর দাবি, ‘নতুন আবিষ্কৃত এই পাঁচটি গ্রহ এক হাজার ৩৮০ বছরের বিশ্বমণ্ডল সৃষ্টির ধাপে ধাপে তৈরি হয়েছে। এর খোঁজ পাওয়ার মাধ্যমে মিল্কিওয়ে ছায়াপথের ভেতর প্রাচীন জীবনের উৎস খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেল।
এই নক্ষত্রটির যে পাঁচটি গ্রহ রয়েছে সেগুলোর আকার বুধ ও বৃহস্পতির মতো হতে পারে। এই গ্রহগুলো নক্ষত্রটির এত কাছে আবর্তন করছে যে তাদের কক্ষপথ পরিভ্রমণ করতে ১০ দিনের মতো সময় লাগে। সেই হিসাবে গ্রহগুলো বুধ গ্রহের মতো উত্তপ্ত ও বসবাসের অযোগ্য হতে পারে।
আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক স্টিভ কাউলার বলেন, ‘কেপলার ৪৪৪ অত্যন্ত উজ্জ্বল নক্ষত্র, যা বাইনোকুলার দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা যায়। ছায়াপথের অন্যতম প্রাচীন নক্ষত্র এটি। এটি ছায়াপথের প্রথম প্রজন্মের নক্ষত্রগুলোর মধ্যে পড়ে।
কাউলার আরও বলেন, ‘আদিম এই নক্ষত্র ও তার গ্রহগুলোর আবিষ্কার থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, আমাদের সৌরজগৎ সৃষ্টির ৭০০ কোটি বছর আগে ওই গ্রহগুলো তার নক্ষত্রের চারপাশে তৈরি হতে শুরু করেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে গ্রহের সৃষ্টির বিষয়টি আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথের সবচেয়ে পরিচিত বৈশিষ্ট্য হিসেবে দেখা হয়।’
অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ।
গবেষকেরা বলছেন, পাথুরে পৃথিবীসদৃশ এক্সোপ্লানেট থেকে শুরু করে অন্য নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকা পৃথিবীর সমান আকারের গ্রহের সন্ধান পাওয়ার মাধ্যমে মহাকাশের ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে আমাদের পরিচয় ঘটছে এবং ছোট ছোট বিশ্ব তৈরির বিষয়টিও আমাদের নজরে আসছে। আমাদের সামনে এত দিন গ্রহ সৃষ্টির বিষয়ে যে অজানা বিষয়গুলো ছিল, তা ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে উঠছে।