Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Pharmacy => Topic started by: Md. Fouad Hossain Sarker on March 06, 2015, 12:33:42 PM
-
দীর্ঘদিন ধরে প্যারাসিটামল সেবন ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনতে পারে
বিভিন্ন কারণে বা অনেক সময় অকারণেও আমরা প্যারাসিটামল গ্রহণ করে থাকি। আমাদের অনেকের মধ্যেই এ ভুল ধারণা রয়েছে যে প্যারাসিটামল দেহে ক্ষতি করে না। এক সাথে অনেকগুলো প্যারাসিটামল খেলে জীবনের জন্য হুমকি হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে গবেষকরা সম্প্রতি এ মর্মে সতর্ক করেছেন যে, দীর্ঘদিন ধরে সামান্য বেশি পরিমাণ প্যারাসিটামল খেয়ে গেলেও তা জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। যারা ব্যথার কারণে দীর্ঘদিন ধরে প্যারাসিটামল খেয়ে যাচ্ছেন তারা অনেক সময়ই বুঝতে পারেন না, তারা মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল সেবন করছেন। তারা অনেক সময় এটার কারণে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হবার লক্ষণগুলোও ধরতে পারেন না।
ব্রিটিশ জার্নাল অব ফার্মাকলজিতে গবেষকরা প্রকাশ করেছেন যে একটানা দীর্ঘদিন প্যারাসিটামল ব্যবহার করার কারণে হৃদরোগ, পাকস্থলীতে রক্তক্ষরণ এবং কিডনি রোগের আশংকা সৃষ্টি করতে পারে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হবার লক্ষণগুলো অধিকাংশ সময়ই এমনকি ডাক্তারের নজরও এড়িয়ে যায়। কারণ একসাথে অনেক প্যারাসিটামল সেবন করলে রক্ত পরীক্ষায় যে ধরনের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়, দীর্ঘদিন ধরে সামান্য বেশি সেবনকারীদের রক্তে তা পরিলক্ষিত হয় না। কিন্তু ক্ষতির পরিমাণ এ ক্ষেত্রে বেশি বই কম নয়। স্কটিশ ইউনিভার্সিটি হসপিটালের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের একটি গবেষণায় ড. কেনিথ সিম্পসন দেখিয়েছেন যে দীর্ঘদিন ধরে প্যারাসিটামল সেবনকারীদের লিভার ও ব্রেইনের ড্যামেজ হবার হার অত্যাধিক বেশি এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন হলে এদের ডায়ালাইসিস ও ক্ষেত্রবিশেষে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হয়।
ড. সিম্পস বলেন, আত্মহত্যার জন্য অনেকেই একসাথে অত্যাধিক প্যারাসিটামল সেবন করে থাকেন, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে প্যারাসিটামল সেবনকারীদের ক্ষেত্রেও জীবন নাশের আশংকা কম নয়, বরং বেশি। রয়্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটির প্রফেসর রজার ন্যাগ বলেন, ব্যথা না কমলে প্যারাসিটামল এর ডোজ না বাড়িয়ে উচিৎ হবে আপনার ফার্মাসিস্টের সাথে কথা বলা অথবা এ সংক্রান্ত প্রফেশনালদের সাথে দেখা করা। প্যারাসিটামল জ্বরের সবচেয়ে কার্যকরী ও সুরক্ষিত ওষুধ হিসেবে এতদিন সারা বিশ্বেই সমাদৃত ছিল প্যারাসিটামল। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে প্যারাসিটামল শিশুদের মস্তিষ্কের ক্রমবিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। এমনকি গর্ভস্থ ভ্রƒণের মস্তিষ্কের বিকাশেও ভয়াবহ ভূমিকা নিতে পারে প্যারাসিটামল। উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ব্যথা ও জ্বরের জন্য ব্যবহৃত প্যারাসিটামল ১০ দিন বয়সী কিছু ইঁদুরের উপর প্রয়োগ করেন। তারা দেখেন পরিণত বয়সে এই ইঁদুরগুলির ব্যবহারে অসামঞ্জস্যতা দেখা যাচ্ছে। এমনকি ইঁদুরগুলির স্মৃতিশক্তিও হ্রাস পেয়েছে। গবেষকরা দাবি করেছেন শিশু বা ভ্রƒণ অবস্থায় মস্তিষ্কের বিকাশের সময় প্যারাসিটামলের প্রয়োগ মস্তিষ্কের পরিণত হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এর প্রভাব সুদূরবিস্তারি হতে পারে। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল প্রয়োগের ব্যাপারে বাবা-মাকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছেন গবেষকরা।
-
প্যারাসিটামল সম্পর্কে ১০টি তথ্য-
১। প্যারাসিটামল সাধারণত ব্যথানাশক ও তাপমাত্রা কমাতে ব্যবহৃত হয়।
২। পৃথিবীতে একশটিরও বেশি ওষুধের সাথে মিশ্রিত করে এটি ব্যবহার করা হয় এবং বিশ্বজুড়ে ওটিসি ড্রাগ হিসেবে পাওয়া যায়।
৩। প্রাপ্ত বয়স্কদের চার গ্রাম অর্থাৎ আটটি ট্যাবলেট এর বেশি কোনভাবেই একদিনে গ্রহণ করা যাবে না।
৪। কোন ওষুধের কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্যারাসিটামল মিশ্রিত করা আছে কিনা এ বিষয়ে অবগত থাকতে হবে।
৫। কখনো অ্যালকোহল পান করার পর প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে না।
৬। প্যারাসিটামল খাওয়ার পর অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্ট জাতীয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
৭। পাকস্থলীতে ব্যথা, অতিরিক্ত ঘাম, বমি বমি ভাব, বমি করা, ডায়রিয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে প্যারাসিটামল গ্রহণকারীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
৮। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল খেলে সঠিক নির্দেশিকা যেমন-জ্বরের জন্য সর্বোচ্চ তিন দিন, ব্যথার জন্য সর্বোচ্চ দশ দিন এরূপ নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।
৯। গর্ভবতী মহিলা ও দুগ্ধবতী মায়েদের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ অবস্থায় কোনভাবেই ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া খাওয়া যাবে না।
১০। সঠিক নির্দেশনা অনুযায়ী খেলে প্যারাসিটামল একটি নিরাপদ ওষুধ কিন্তু অতিমাত্রায় গ্রহণ বা দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে কিডনি ও লিভার এর মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ওয়েবসাইট।
See more at: http://www.dailyinqilab.com/2015/03/04/243877.php#sthash.NIbL0Hld.mj0xowxv.dpuf
-
Horrible.
-
Thanks sharing